তুও কোতো নান আম্পেক মসজিদ
তুও কোতো নান আম্পেক মসজিদ বা গদাং বলাই নান দুয়ো মসজিদ নামেও পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার কোতো নান আম্পেক শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি।[২] প্রশাসনিকভাবে বর্তমানে মসজিদটি পশ্চিম সুমাত্রার পাইকুম্বুহের পশ্চিম পাইকুম্বুহ জেলার বালাই নান ডুও গ্রামে অবস্থিত। [৩] ১৮৪০ সালে মিনাঙ্গ্কাবাউ স্থাপত্যের আদলে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মসজিদের ছাদ টিন দিয়ে প্রতিস্থাপনের আগে ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। [৪][৫][৬] বর্তমানে মসজিদে নামাজ পড়া ছাড়াও আশেপাশের সম্প্রদায় ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়।[৭]
তুও কোতো নান আম্পেক মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | পাইকুম্বুহ |
প্রদেশ | পশ্চিম সুমাত্রা |
নেতৃত্ব | ওয়াকফ |
অবস্থান | |
অবস্থান | কোতো নান আম্পেক শহর, পাইকুম্বুহ, পশ্চিম সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া |
পৌরসভা | কোতো নান আম্পেক শহর |
দেশ | ইন্দোনেশিয়া |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মিনাঙ্গ্কাবাউ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮৪০ |
ধারণক্ষমতা | ৫০০[১] |
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদটি কবে নির্মাণ করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায় নি। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ বইয়ের লেখক আবদুল বাকির জেইন তার বইতে লিখেছেন, ১৮৪০ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয় এবং নির্মাণ করার পর তুও কোতো নান আম্পেক মসজিদ নামকরণ করা হয়।[৮] মসজিদের নির্মাণ কাজ মিনাঙ্গ্কাবাউয়ের তিনজন ভিন্ন ভিন্ন নিজ গোত্রের নেতা পরিচালনা করেছেন। তারা হল কাম্পাই গোত্র থেকে দাতুক কুনিয়াং, পিলিয়াং গোত্র থেকে দাতুক পাংকাই সিনারো এবং মালয়ু গোত্র থেকে দাতুক সিরি দিরাজো।[২][৪][৩][৬]
মসজিদের বেশিরভাগ মাস্তুল, মেঝে এবং দেয়াল কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। মসজিদটি প্রথমবার নির্মাণ হওয়ার পরে আর কখনও সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়নি।[৭] মসজিদটি পরে বেশি সংস্কার করা হয়নি, তাই পুরানো স্থাপত্য শৈলী বজায় আছে।[৯][১০]
ফাইবার থেকে তৈরি করা ছাদটি নষ্ট যাবার কারণে পরে টিন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- পাদটীকা
- ↑ Padang Ekspres 2011।
- ↑ ক খ Kaya, Indonesia। "Masjid Tuo Koto Nan Ampek, Keagungan yang Bertahan 170 Tahun : Pariwisata - Situs Budaya Indonesia"। IndonesiaKaya (Indonesia ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৫।
- ↑ ক খ Departemen Agama Indonesia 2008।
- ↑ ক খ Indonesia, Hello (২০১৯-১০-০৪)। "Tuo Koto Nan Ampek Mosque 170 Years Old"। Hello Indonesia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৫।
- ↑ Gayo 1985।
- ↑ ক খ গ Balai Kajian dan Pengembangan Budaya Melayu 2011।
- ↑ ক খ Zein 1999, পৃ. 47।
- ↑ Zein 1999, পৃ. 45।
- ↑ ANTARA 2008।
- ↑ Indonesia Travel।
- গ্রন্থপঞ্জি
- Zein, Abdul Baqir (১৯৯৯)। Masjid-masjid Bersejarah di Indonesia। Jakarta: Gema Insani। আইএসবিএন 979-561-567-X। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৯।
- Gayo, Iwan (১৯৮৫)। "Masjid Bersejarah di Indonesia"। Buku Pintar Seri Senior। Grasindo। আইএসবিএন 979-025-294-3।
- Sekretariat Wakil Presiden Indonesia (২০০৮)। Direktori Masjid Bersejarah। Jakarta: Departemen Agama Indonesia। আইএসবিএন 979-25-0050-2।
- "Masjid Tuo Koto Nan Ampek"। ANTARA। ২০০৮-০৬-২৫। ২০১৩-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-০৩।
- "Masjid Bersejarah Nagari Koto Nan Ampek, Payakumbuh, Sumatera Barat"। Melayu Online। Balai Kajian dan Pengembangan Budaya Melayu। ২০১১-০৫-২৮। ২০১২-০৪-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৯।
- "Payakumbuh: Keindahan Alam Berbalut Nikmatnya Batiah"। Indonesia Travel। Kementerian Pariwisata dan Ekonomi Kreatif Indonesia। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৯।
- "Sambut Puasa, Tabligh Akbar Digelar"। Padang Ekspres। ২০১১-০৭-২৬। ২০১৭-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৯।