তিন দরজার মসজিদ
তিন দরজার মসজিদ (আরবি: مسجد الأبواب الثلاثة); অথবা মুহাম্মাদ ইবনে খাইরুনের মসজিদ (আরবি: مسجد ابن خيرون) তিউনিশিয়ার খাইরুয়ান শহরের একটি মসজিদ। ৮৬৬ সালে মুহাম্মদ ইবনে খাইরুন কর্তৃক তৈরিকৃত এ মসজিদটি বিশ্বের প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি এবং আঘলাবিদ-যুগের স্থাপত্য নকশার প্রাচীনতম বিদ্যমান প্রমাণগুলির মধ্যে একটি।
তিন দরজার মসজিদ | |
---|---|
مسجد الأبواب الثلاثة | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
অবস্থান | |
অবস্থান | খাইরুন, তিউনিসিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৫°২৪′১৩″ উত্তর ১০°০৩′৪০″ পূর্ব / ৩৫.৪০৩৭° উত্তর ১০.০৬১০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সৃষ্টিকারী | মুহাম্মদ ইবনে খায়রুন |
সম্পূর্ণ হয় | ৮৬৬ |
ইতিহাসসম্পাদনা
কাইরুয়ানে ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নের জন্য মুহাম্মদ ইবনে খাইরুন মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মদ ইবনে খাইরুন ছিলেন একজন ভ্রমণকারী এবং কুরআন পাঠকারী, যিনি বাগদাদ এবং কায়রোর মতো একাধিক স্থান পরিদর্শন করার পর কাইরুয়ানে এসেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
মসজিদের নির্মাণের তারিখ ৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দ (২৫২ হি.) আঘলাবিদ সময়কালে। মিনারটি হাফসিদ আমলে ১৪৪০ খ্রিস্টাব্দে (৮৪৪ হিজরি) যুক্ত করা হয়।
স্থাপত্যসম্পাদনা
স্থানীয় স্থাপত্য ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার এবং আব্বাসীয় শহর শৈলী এবং কৌশলগুলির যুগপৎ ব্যবহার হয়েছে বলে এটিকে আগলবিদের স্থাপত্য নকশা বলা হয়। মসজিদটি তিনটি দরজা এবং ঘোড়ার নালেরমত খিলান দ্বারা কেন্দ্রীয় কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যা উকবার কাইরুয়ান জামে মসজিদের অনুরূপ। এই খিলানের উপরিভাগে ফুলের নকশা এবং কুফিক লিপিতে আরবি শিলালিপি খোদাই করা হয়েছে।[১]এই সজ্জিত সম্মুখভাগটিকে কেউ কেউ ইসলামি স্থাপত্যের প্রাচীনতম আলংকারিক সম্মুখভাগ বলে মনে করেন। মসজিদটি ছোট কিন্তু মোটামুটি বর্গাকার মেঝের পরিকল্পনা সহ চারটি কলাম রয়েছে যা হলটিকে তিনটি নেভ বা আইলে বিভক্ত করে। এটিতে মোট নয়টি খিলান রয়েছে । [২]কিবলার দিকের দেয়ালে একটি মৌলিক মিহরাব কুলুঙ্গি এম্বেড করা আছে।মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বর্গাকার মিনার রয়েছে যা হাফসিদ যুগের পরবর্তী সংযোজন মুরিশ স্থাপত্য থেকে প্রাপ্ত একটি নকশা (যা আলমোহাদের সময়কালে সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল)। মিনারের দ্বি-খিলানযুক্ত জানালাগুলির আলংকারিকে টালিকৃত ফ্রেমযুক্ত।[৩]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Bloom, Jonathan M. Blair, Sheila S. (2009) The Grove Encyclopedia of Islamic Art and Architecture. Oxford University Press. p.86.
- ↑ Petersen, Andrew. (2002) Dictionary of Islamic Architecture. p.24.
- ↑ Binous, Jamila; Baklouti, Naceur; Ben Tanfous, Aziza; Bouteraa, Kadri; Rammah, Mourad; Zouari, Ali (২০০২)। Ifriqiya: Thirteen Centuries of Art and Architecture in Tunisia (2nd সংস্করণ)। Museum With No Frontiers, MWNF। আইএসবিএন 9783902782199।