তিগরিয়া রাজ্য
তিগরিয়া রাজ্য, (যা তিগিরিয়া নিজিগড় নামেও পরিচিত ছিলো), ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷[১] ওড়িশার কটক জেলার তিগরিয়া ব্লক মোটামুটি ভাবে এই রাজ্যটির সীমা নির্দেশ করে৷ এই রাজ্য ওড়িশার দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন আয়তনবিশিষ্ট ও সর্বাধিক জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য ছিলো৷ [২] ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিগরিয়া রাজ্যের শেষ রাজা ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন৷ [৩]
তিগরিয়া রাজ্য ତିଗିରିଆ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দী–১৯৪৮ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত তিগরিয়া রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৩১ | ১১৯ বর্গকিলোমিটার (৪৬ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৩১ | ২৪,৮৫২ | ||||||
• ধরন | রাজতন্ত্র | ||||||
ঐতিহাসিক যুগ | ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশ | ||||||
• প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দী | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | ওড়িশা, ভারত |
এই রাজ্যটির উত্তর দিকে ছিলো ঢেঙ্কানাল রাজ্য, পূর্বদিকে ছিলো আটগড় রাজ্য, দক্ষিণ দিকে ছিলো প্রবাহমানা মহানদী নদী এবং পশ্চিম দিকে ছিলো বড়ম্বা রাজ্য৷[২]
ইতিহাস
সম্পাদনারাজা নিত্যনন্দ তুঙ্গ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে এই তিগরিয়া রাজ্যের পত্তন ঘটান, তবে এর সঠিক সনটি জানা যায় নি৷ জনশ্রুতি অনুসারে তিনি পুরীতে তীর্থ করতে যাওয়ার সসময়ে স্বপ্নে এই অঞ্চল দেখতে পান এবং পুরীর পশ্চিমে তাঁর খোঁজ পান৷
তিগরিয়া রাজ্যের শাসকরা মূলত শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতেন এবং রাজ্যে বহু বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে তিগরিয়া রাজ্যের শেষ রাজা একীভূতকরণের দলিলে স্বাক্ষর করে ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন৷ [৩]
তিগরিয়া বা তিগিরিয়া নামটি খুব সম্ভবত সংস্কৃত শব্দ "ত্রিগিরি" থেকে এসেছে যার অর্থ তিনটি পাহাড়ের অবস্থান৷ রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও চাস সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিলেন৷ রাজ্যটিতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মন্দিরও ছিলো৷
শাসকবর্গ
সম্পাদনাতিগরিয়া রাজ্যের শাসকরা রাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন৷ [৪]
- ১৬৮২ – ১৭৪২ শঙ্করেশ্বর মান্ধাতা
- ১৭৪৩ – ১৭.. গোপীনাথ চমুপতি সিংহ
- ১৭.. – ১৭৯৭ যদুমণি রায় সিংহ
- ১৭৯৭ – ১৮৪৪ জগন্নাথ চমুপতি সিংহ
- ১৮৪৪ – ৮ এপ্রিল ১৮৮৬ হরিহর ক্ষত্রিয় বীরবর চমুপতি সিংহ
- ৮ এপ্রিল ১৮৮৬ – ১৯৩৩ বনমালী ক্ষত্রিয় বীরবর চমুপতি সিংহ
- ১৯৩৩ – ১৯৪৩ সুদর্শন ক্ষত্রিয় বীরবর চমুপতি সিংহ
- ১৯৪৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ব্রজরাজ ক্ষত্রিয় বীরবর চমুপতি সিংহ [৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Malleson, G. B.: An historical sketch of the native states of India, London 1875, Reprint Delhi 1984
- ↑ ক খ Imperial Gazetteer of India, v. 23, p. 357.
- ↑ ক খ "Tigiria Princely State – "The Golden Book of India"; LETHBRIDGE, Roper, MacMillan & Co., 1893 p. 539"। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Princely States of India K-W
- ↑ Mohanty, Debabrata (১ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Erstwhile king of Tigiria Brajraj Mahapatra dies in Odisha"। The Indian Express।