তপু

বাংলাদেশী সুরকার

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু (জন্ম: ২ জুন, ১৯৮১) যিনি তপু নামেই সমধিক পরিচিত, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, সঙ্গীত পরিচালক।[১]

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু
Topu.jpg
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম (1981-06-02) ২ জুন ১৯৮১ (বয়স ৪১)
ভোলা
ধরন
  • পপ
  • ধ্বনি
পেশা
  • সঙ্গীতশিল্পী
  • গান লেখক
  • রেকর্ড প্রযোজক
বাদ্যযন্ত্রকন্ঠ, গিটার
কার্যকাল২০০৪ থেকে বর্তমান
লেবেলজি সিরিজ
ওয়েবসাইটfacebook.com/TopuOfficial

ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা

তপুর পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলায়।[২] ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তপু বিয়ে করেন নাজিবা সুলতানাকে।[১][৩]

শিক্ষাজীবনসম্পাদনা

তপু তার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে। তিনি ১৯৯৮ সালে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে যশোর বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ তম স্থান অধিকারী হয়েছিলেন। তখন তার বাবা খুশি হয়ে তপুর কি পছন্দ সেটা জানতে চান। আর তাতে তপু তার বাবাকে একটা গিটার কিনে দিতে বলেন। বাবা তার কথা মত তাকে একটা অ্যাকুস্টিক গিটার কিনে দিলেন। আর সেটা নিয়ে সে সারাক্ষণ গান চর্চা করতে থাকলো তপু।[৩]

পেশাজীবনসম্পাদনা

বর্তমানে তপু একটি টেলিকম কোম্পানীতে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন। তার পাশাপাশি তিনি তার নিজের জন্য গান লিখেন, গানে সুর করেন এবং গান করেন।[৩]

যাত্রা ব্যান্ড ত্যাগসম্পাদনা

অভিনয়সম্পাদনা

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াকালীন সময়ে তপু ’০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের প্রথম সলো অ্যালবাম বের করলেন ‘বন্ধু ভাবো কি’ শিরোনামে। এই অ্যালবাম বের হবার পর চারপাশ থেকে অসংখ্য বন্ধু, গুনগ্রাহীরা একের পর এক ফোন করতে থাকলেন। তখন চারপাশ থেকে শুভেচ্ছার জোয়ারে একেবারে ভেসে যাবার মতো অবস্থা তপুর। ফারুকী তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। নিজের কাছের মানুষ বিখ্যাত গায়ক এবং আরেক বিখ্যাত মিউজিক কম্পোজার যথাক্রমে- অর্থহীনের সুমন এবং ফুয়াদকে নিয়ে ধানমন্ডির এক রেস্তোরায় তারা দেখা করলেন। ফারুকী তাকে বললেন, “আপনি অভিনয় করবেন? আমি একটা নতুন ছবি বানাতে যাচ্ছি। নাম থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার। আপনাকে এই ছবিতে অভিনয় করতে হবে।” তবে শেষ পর্যন্ত তিনি এই অফার গ্রহণ করলেন এবং অভিনয় করতে শুরু করলেন থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নামে তার জীবনের প্রথম এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্র ছবিতে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে কাজ করাকে জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তপু। এর পেছনে তার যুক্তি হলো- এখানে সবাই খুব কাছের মানুষ হিসেবে কাজ করেছেন। যেন পিকনিক করতে করতেই তারা অভিনয় করেছেন বলে মনে হয়েছে তার। ছবি শুটিং করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন অভিনেতা- অভিনেত্রীরা। তপুও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি যেখানেই অভিনয় করতে গিয়েছেন, সাধারণ মানুষ তাকে দেখতে হামলে পড়েছেন। আর তারা ‘শাকিব খান, শাকিব খান’ বলে চিৎকার করেছেন। তবে এখনো তপু আসলে জানেন না- শাকিবের সঙ্গে তার মিলটা কোথায়! থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার হলো মানুষের সমস্যা নিয়ে বানানো একটি ছবি। যেখানে এই সমাজে একা একা বসবাস করা একটি মেয়ের দুঃখ- কষ্টের কথা তুলে আনা হয়েছে। ছবিতে তিনি গায়ক তপুর চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। যে কি না ছবির নায়িকা তিশা বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। নিজের চরিত্রটি বেশ পছন্দই হয়েছে তার। যদিও তপু ভবিষ্যতে পারতপক্ষে অভিনয় করতে চান না। “কারণ ওটা আমার কাজ নয়”, বলেন তিনি।

এককসম্পাদনা

  • বন্ধু ভাবো কি (২০০৮)
  • সে কে (২০১০)
  • আর তোমাকে (২০১৩)[৪]

শীর্ষ সঙ্গীতসম্পাদনা

সংগীত আয়োজনসম্পাদনা

চলচ্চিত্রসম্পাদনা

তপু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ।[৩]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "তপু"। ১৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "Topu says"বিডিনিউজলাইভ। ৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  3. "তপু : কবি থেকে গায়ক"আমাদের কিশোরগঞ্জ। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "তপুর তৃতীয় একক অ্যালবাম 'আর তোমাকে'"ঢাকা অন এয়ার। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগসম্পাদনা