ডেভ সেক্সটন
এই নিবন্ধের ভূমিকাংশ তার সামগ্রিক দৈর্ঘের তুলনায় অতি দীর্ঘ। |
ডেভ সেক্সটন (জন্ম এপ্রিল ৬, ১৯৩০, লন্ডন) একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ ফুটবল ম্যানেজার ও খেলোয়াড়।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড সেক্সটন | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ (গোল) | |
১৯৫১-৫২ ১৯৫২-৫৫ ১৯৫৬-৫৭ ১৯৫৭-৫৮ ১৯৫৯ |
লুটন টাউন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড লেটন ওরিয়েন্ট ব্রাইটন & হোভ অ্যালবিওন ক্রিস্টাল প্যালেস |
৯ (১) ৭৪ (২৭) ২৪ (৪) ৪৯ (২৬) ২৭ (১১) | |
পরিচালিত দল | |||
১৯৬৫ ১৯৬৭-৭৪ ১৯৭৪-৭৭ ১৯৭৭-৮১ ১৯৭৭-৯০ ১৯৮১-৮৩ ১৯৯৪-৯৬ |
লেটন ওরিয়েন্ট চেলসি কুইনস পার্ক রেঞ্জারস ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ কনভেন্ট্রি সিটি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
সাবেক পেশাদার বক্সার আর্চি সেক্সটনের ছেলে, ডেভ ১৯৪৮ সালে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের হয়ে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। সাধারণত তিনি মাঝ-আক্রমনভাগে খেলতেন। তিনি লুটন টাউন, লেটন ওরিয়েন্ট, ব্রাইটন & হোভ অ্যালবিওন, এবং ক্রিস্টাল প্যালেস দলে খেলেছেন। তার শ্রেষ্ঠ সফলতা আসে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে যখন তিনি তৃতীয় বিভাগ লীগ জেতেন।
১৯৬৫ সালে তিনি লেটন ওরিয়েন্টের কোচ হিসেবে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে আর্সেনালের ম্যানেজার বার্টি মি তাকে প্রথম একাদশের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন। একবছর পর চেলসির ম্যানেজার টমি ডোচার্টি পদত্যাগ করলে তিনি সে দলের ম্যানেজার নিযুক্ত হন। তিনি দলকে ১৯৭০ সালে এফএ কাপ এবং ১৯৭১ সালে কাপ উইনার্স কাপ জেতান। চেলসি ১৯৭২ সালের লীগ কাপের ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেননি। পরে সেক্সটন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, যেমনঃ পিটার অসগুড এবং অ্যালান হাডসন প্রমুখকে বিক্রি করে দেন। এগুলো সহ ক্লাবের আরো নানান সমস্যার কারণে সেক্সটন সফলতা পাননি এবং ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমের শুরুতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
কিছুকাল পরেই তিনি কুইনস পার্ক রেঞ্জারস দলের ম্যানেজার হন। সে দলের উৎকৃষ্ট খেলোয়াড় স্ট্যান বোলস, জেরি ফ্রান্সিস প্রমুখের সাথে তিনি চেলসি থেকে জন হলিনস ও ডেভিড ওয়েব কে কিনে আনেন। সেক্সটন দলটিকে লীগ শিরোপার কাছাকাছি নিয়ে যান। তারা যখন সবগুলো খেলা শেষ করেন তখন তারা লীগে শীর্ষ অবস্থানে ছিলেন। তবে লিভারপুল শেষ খেলায় উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে হারালে তারা শিরোপা লাভে সমর্থ হননি।
তিনি পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের ম্যানেজার হয়। মজার ব্যাপার হলো চেলসির মত এখানেও তিনি টমি ডোচার্টির পরিবর্তে ম্যানেজার হন। তবে তিনি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলান যা সমর্থকের কাছে পছন্দনীয় ছিলনা। লাজুক স্বভাবের এই ব্যক্তি গণমাধ্যম ও খেলোয়াড়দের সাথে ঠিকমত কথাবার্তা চালাতে পারতেন না, যার ফলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার ক্যারিয়ার সফল হয়নি এবং তিনি একটি শিরোপাও জেতাতে পারেননি। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য খেলায় ১৯৭৯ সালের এফএ কাপের ফাইনালে তারা ৩-২ গোলে আর্সেনালের কাছে হেরে যান এবং লিভারপুলের পেছনে ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে লীগ রানার্স-আপ হন। ১৯৮১ সালের এপ্রিলে সেক্সটনকে বরখাস্ত করা হয়, যদিও তিনি তার শেষ সাত ম্যাচে জয়লাভ করেছিলেন। এরপর তিনি আধা-অবসরে যাওয়ার আগে কনভেন্ট্রি সিটির ম্যানেজার হয়েছিলেন।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে সেক্সটন অনেক সফল এবং তিনি দুবার উয়েফা অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। এরপর তিনি এফএ-এর প্রথম টেকনিক্যাল পরিচালক নিযুক্ত হন ১৯৮৪ সালে। তিনি সকল স্তরের কোচের জন্য ট্যাকল সকার নামে একটি বই লিখেছেন।