টেগর লজ
টেগর লজ বা কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ি হলো কুষ্টিয়া জেলার একটি দর্শনীয় স্থান। এখানে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য কবিতা লিখেন যা পরবর্তিকালে “ক্ষণিকা”, কথা ও কাহিনীতে প্রকাশিত হয়েছে।[১]
টেগর লজ কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
ঠিকানা | মিল পাড়া |
শহর | কুষ্টিয়া |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৪′০৬″ উত্তর ৮৯°০৮′৪৬″ পূর্ব / ২৩.৯০১৬৩৪১° উত্তর ৮৯.১৪৬২৩০১° পূর্ব , |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৮৯৫ |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | দ্বিতল |
ইতিহাস সম্পাদনা
১৮৯৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেকে ব্যবসার সাথে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি ও তার দুই ভাগ্নে সুরেন্দ্রনাথ ও বলেন্দ্রনাথ এর সহায়তায় শিলাইদহে টেগর এন্ড কোম্পানী গড়ে তোলেন যৌথ মুলধনী ব্যবসা। ভুসিমাল ও পাটের ব্যবসা করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘টেগর অ্যান্ড কোম্পানি’।[২] সে বছরই ব্যবসায়িক সুবিধার্থে টেগোর এন্ড কোম্পানী শিলাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তরিত করেন। কোম্পানী দেখাশুনার জন্য কবি শহরের মিল পাড়ায় একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেন। বর্তমানে এ ভবনটিই টেগর লজ নামে পরিচিত।[৩]
কাঠামো সম্পাদনা
নয় কাঠা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত টেগর লজের প্রবেশ পথে কবিগুরুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। নিচের তলায় একটি বড় হল ঘর এবং উপরের তলার তিনটি ঘরের একটিতে কবিগুরুর রচিত গ্রন্থমালা এবং কবিগুরুর আঁকা ১২ টি ছবির অনুকৃতি রাখা আছে। একতলা থেকে দোতলায় উঠার জন্য পশ্চিম পাশের কুঠুরির কোণে আছে একটি সুদৃশ্য প্যাঁচানো লোহার সিঁড়ি। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ১৮৯৫ সালে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কুষ্টিয়া রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে এই বাড়ি নির্মাণ করে। বাড়িটি থেকে কুষ্টিয়া রেলস্টেশন অল্প দূরে অবস্থিত। তৎকালীন এই বাড়ির জায়গা অনেক বেশি ছিল।
স্থিরচিত্র সম্পাদনা
-
ভবনের পিছনের অংশ
-
ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দা
-
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "টেগর লজ"। কুষ্টিয়া জেলা, জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৬।
- ↑ "ইতিহাসের সাক্ষী কুষ্টিয়ার টেগর লজ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৬।
- ↑ "সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, টেগর লজ"। কুষ্টিয়া জেলা, জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৬।