টুনস ম্যাগ
টুনস ম্যাগ একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্টুন সাময়িকী। সম্পাদকীয় কার্টুন, কমিক্স, কেরিকেচার, ইলাস্ট্রেশন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ এবং নিবন্ধ প্রকাশনা। এবং আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনীর আয়োজক।[১][২][৩]
বিভাগ | কার্টুন সাময়িকী |
---|---|
প্রকাশক | আরিফুর রহমান |
প্রতিষ্ঠাতা | আরিফুর রহমান |
প্রতিষ্ঠার বছর | ২০০৯ |
প্রথম প্রকাশ | ১ নভেম্বর ২০০৯ |
দেশ | নরওয়ে |
ভিত্তি | দ্রব্যাক, নরওয়ে |
ভাষা | ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, স্পেনীয়, আরবি |
ওয়েবসাইট | bd |
আইএসএসএন | 2535-7492 |
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সম্পাদনা২০০৯ সালে অক্টোবরের শেষের দিকে আরিফুর রহমান ইন্টারনেটে কার্টুন সাময়িকী টুনস ম্যাগের প্রকাশনা শুরু করেন এবং বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন কার্টুনিস্টদের আমন্ত্রণ জানান কার্টুন প্রকাশের জন্য।[২] বিভিন্ন দেশের শতাধিক কার্টুনিস্ট নিয়মিত কার্টুন প্রকাশ করে থাকেন।[৩]
পুরস্কার এবং সম্মাননা
সম্পাদনা২০১৫ সালে জার্মানির ডয়েচে ভেলে আয়োজিত বেস্ট অফ অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ণ পায় এবং বিপুল গণভোটে জয় লাভ করে।[৪]
কার্টুন প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনী
সম্পাদনাটুনস ম্যাগ প্রতি বছর ২০১৫ সাল থেকে মানবাধিকারের বিষয়ে, যেমন: শিশু অধিকার, নারী অধিকার, বাক স্বাধীনতা, সম অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযেগীতা এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
২০১৫: যুদ্ধের শিশু
সম্পাদনা২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর বিষয় ছিলো “যুদ্ধের শিশু”। এটি মুলত শিশু অধিকার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী ছিলো। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশ থেকে ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছিলেন। প্রদর্শনী হয়েছিলো নরওয়ে এবং সুইডেনের একাধিক স্থানে।[৫][৬]
টুনস ম্যাগের সঙ্গে সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিলো নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারী এবং আর্থিক সহযোগীতায় ছিলো ফ্রিত উর নামে নরওয়ের একটি দাতব্য সংস্থা।[৭][৮]
২০১৬: নারী অধিকার
সম্পাদনানারী অধিকার এবং বিভিন্ন দেশ এবং সমাজের নারীদের প্রকৃত অবস্থা উঠে এসেছিলো এই প্রদর্শনীতে। সব মিলিয়ে ১৬২৫ টি কার্টুন জমা পড়েছিলো, প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৯ টি দেশ থেকে ৫৬৭ জন কার্টুনিস্ট।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ৮ মার্চ ২০১৬ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, একই দিনে দুইটি দেশের তিনটি গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয়েছিলো। যথাক্রমে: নরওয়েজিয়ান কার্টুন গ্যালারী দ্রবাক, নরওয়ে, ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইন্সটিটিউট গ্যালারী ব্যাঙ্গালুর, এবং আগ্রা, উত্তর প্রদেশ ভারত।[৯][১০][১১][১২][১৩] ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ প্রদর্শনীটি স্লোভাকিয়ার প্রেশব শহরে প্রদর্শিত হয়েছিলো।[১৪][১৫][১৬] বিচারকদের ভোটে ৫৬৭ জন কার্টুনিস্টদের মধ্যে ১২ জন এ প্রদর্শনীতে পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন।
২০১৭: বাক স্বাধীনতা
সম্পাদনাবিশ্বব্যাপী মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং এবং কার্টুনে মুক্তমত প্রচারের লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছিলো। প্রতিযোগিতায় মোট ১৫৫৬ টি কার্টুন জমা পরেছিল, কার্টুন নিয়ে ৮৩ টি দেশের ৫১৮ জন কার্টুনিস্ট অংশগ্রহণ করেছিলেন। নির্বাচিত ৮৪ টি দেশের ১২০ জনের ১২০ টি কার্টুন দিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এবং ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়।[১৭]
বর্ষসেরা কার্টুনিস্ট পদক
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটি সেরা কার্টুনের মূল্যায়ন এবং কার্টুনিস্টদের অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বর্ষসেরা কার্টুনিস্ট পুরস্কার প্রবর্তন করে।[১৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "অনলাইন কার্টুন ম্যাগাজিন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ "অনলাইন কার্টুন ম্যাগাজিন :: দৈনিক ইত্তেফাক"। archive.ittefaq.com.bd (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ "প্রথম অনলাইন কার্টুন ম্যাগাজিন"। www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "People's Choice for Bengali - The Bobs - Best of Online Activism"। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Biskopen åpner utstilling i Drøbak om barns lidelser i krig"। www.amta.no (নরওয়েজীয় ভাষায়)। ২০১৫-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Utstilling: Barn i krig @TicketCo"। solvberget.ticketco.events (নরওয়েজিয়ান বোকমাল ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ Sätre, Trond (২০১৬-১১-২৫)। "Stribefeber om karikaturer • serienett.no"। serienett.no (নরওয়েজিয়ান বোকমাল ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Karikaturtegner på Stribefeber: - Jeg risikerer å bli drept i hjemlandet"। Fædrelandsvennen। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নারী দিবসে টুনস ম্যাগের আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ Welle (www.dw.com), Deutsche। "কার্টুন বাংলাদেশের সমাজে বিশাল প্রভাব বিস্তার করে | DW | 04.05.2015"। DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "'টুনস ম্যাগে'র কার্টুন প্রতিযোগিতার কার্টুন আহবান"। প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ Quintano, Kristina (২০১৭-০১-১১)। "PENs Fribyer - En trygg havn å skrive i"। 55pluss (নরওয়েজিয়ান বোকমাল ভাষায়)। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ Madhukar, Jayanthi MadhukarJayanthi; Feb 27, Bangalore Mirror Bureau | Updated:; 2016; Ist, 21:01। "The feminist half"। Bangalore Mirror (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Pozvánka na výstavu - Správy - MZV MZV PORTAL"। www.mzv.sk। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Správy RTVS"। rtvs.sk (স্লোভাক ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Utstillingen "Women's Rights" på Avistegnernes Hus"। www.frittord.no। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Freedom of Expression - Avistegnernes Hus"। mia.no (নরওয়েজীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "Cartoonist Of The Year Award"। Toons Mag (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৮।