টম বেরেঞ্জার
টম বেরেঞ্জার (ইংরেজি: Tom Berenger; জন্ম: থমাস মাইকেল মুর; ৩১শে মে ১৯৪৯)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে একটি এমি পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং একটি একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন।
টম বেরেঞ্জার | |
---|---|
Tom Berenger | |
জন্ম | থমাস মাইকেল মুর ৩১ মে ১৯৪৯ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা | স্নাতক (সাংবাদিকতা) |
মাতৃশিক্ষায়তন | মিজুরি বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক |
কর্মজীবন | ১৯৭২-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | বারবারা উইলসন (বি. ১৯৭৬; বিচ্ছেদ. ১৯৮৪) লিসা উইলিয়ামস (বি. ১৯৮৬; বিচ্ছেদ. ১৯৯৭) প্যাট্রিসিয়া আলভারান (বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০১১) লরা মোরেত্তি (বি. ২০১২) |
সন্তান | ৬ |
পুরস্কার | গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (১ বার) এমি পুরস্কার (১ বার) |
মিজুরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি অভিনয়ে কর্মজীবন শুরুর পরিকল্পনা করেন। ১৯৭৫-৭৬ সালে তিনি ওয়ান লাইফ টু লিভ সোপ অপেরায় আইনজীবী টিম সিগাল চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৬ সালে রাশ ইট দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লুকিং ফর মিস্টার গুডবার (১৯৭৭), দ্য ডগস্ অব ওয়ার (১৯৮০), দ্য বিগ চিল (১৯৮৩), এডি অ্যান্ড দ্য ক্রুইজার্স (১৯৮৩), বিট্রেয়েড (১৯৮৮), দ্য ফিল্ড (১৯৯০), গেটিসবার্গ (১৯৯৩), দ্য সাবস্টিটিউট (১৯৯৬), ওয়ান ম্যান্স হিরো (১৯৯৯), ট্রেইনিং ডে (২০০১), ও ইনসেপশন (২০১০)। তিনি ১৯৮৬ সালে প্লাটুন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনেও নিয়মিত অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি চিয়ার্স টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেতা বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারে মনোনীত হন এবং ২০১২ সালে হার্টফিল্ডস অ্যান্ড ম্যাককয়স মিনি ধারাবাহিকে জিম ভ্যান্স চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মিনি ধারাবাহিক বা টিভি চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাবেরেঞ্জার ১৯৪৯ সালের ৩১শে মে ইলিনয় রাজ্যের শিকাগো শহরে এক রোমান ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম থমাস মাইকেল মুর। তার পিতা শিকাগো সান-টাইমসের মুদ্রণকারী ও পর্যটন বিক্রয়কর্মী ছিলেন। তার সুজান নামে এক বোন রয়েছে।[১]
মুর ১৯৬৭ সালে ইলিনয়ের পার্ক ফরেস্টের রিচ ইস্ট হাই স্কুল থেকে পাস করেন। তিনি মিজুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৭১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
ব্যক্তিজীবন
সম্পাদনাবেরেঞ্জার চারবার বিয়ে করেন এবং তার ছয় সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী বারবারা উইলসন। তিনি ১৯৭৬ সালে তাকে বিয়ে করেন এবং ১৯৮৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের দুই সন্তান অ্যালিসন মুর ১৯৭৭ সালে ও প্যাট্রিক মুর ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী লিসা উইলিয়ামস। তিনি তাকে ১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন এবং ১৯৯৭ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের তিন কন্যা চেলসি মুর ১৯৮৬ সালে, ক্লোই মুর ১৯৮৮ সালে ও শিলোহ মুর ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করে। তার তৃতীয় স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া আলভারান। তিনি তাকে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন এবং ২০১১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাকে এক কন্যা স্কাউট মুর ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যারিজোনার সেডোনায় তিনি লরা মোরেত্তিকে বিয়ে করেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Tom Berenger (1949–)"। বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৮।
- ↑ "America Online Chat with Tom Berenger"। টম বেরেঞ্জার অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- অলমুভিতে টম বেরেঞ্জার
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে টম বেরেঞ্জার (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে টম বেরেঞ্জার (ইংরেজি)