জ্যোৎস্নাকান্ত বসু

ড. জ্যোৎস্নাকান্ত বসু (আগস্ট ১৯০৯ – ১২ জুন ১৯৮২) ছিলেন খ্যাতনামা নৃতত্ত্ববিদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপক।[১] তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী- কুকি , গারো ইত্যাদি সম্প্রদায়ের উপর বহু গবেষণা করেছেন[২] এবং নৃবিজ্ঞানের গ্রন্থ রচনা করেছেন। লন্ডনের রয়াল অ্যানথ্রোপলজিকাল সোসাইটির ফেলোও ছিলেন তিনি।

জ্যোৎস্নাকান্ত বসু
জন্মআগস্ট ১৯০৯
মৃত্যু১২ জুন ১৯৮২
পরিচিতির কারণনৃতত্ত্ববিজ্ঞানী
পুরস্কারপ্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি
মোয়াট পদক
গ্রিফিথ পুরস্কার

জীবনী সম্পাদনা

মেধাবী জ্যোৎস্নাকান্ত ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৩২ -১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি'র রিসার্চ ফেলো ছিলেন। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতি বিষয়ে কয়েকটি ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কুকি নামক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপর গবেষণা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি ও মোয়াট পদক লাভ করেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দেই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবাসী কলেজে নৃতত্ত্ব বিভাগ শুরু করার জন্য স্থানান্তরিত হন। পরে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে আর এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারোদের উত্তরাধিকার সম্পর্ক গবেষণা করে রচনা করেন দ্য গারো ল' অফ ইনহেরিটেন্স। এই গবেষণার জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কার লাভ করেন এবং লন্ডন যান। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফেরার পর তিনি ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন এবং বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'-এ যোগ দেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজে একটি ম্যানেজমেন্ট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ড. বসুর রচিত গ্রন্থসমূহ হল-

  • দ্য গ্লিম্পসেস অফ ট্রাইবাল লাইফ ইন নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া (১৯৮০) এএসআইএন B004UC6LOS
  • হ্যান্ডবুক অফ অ্যানথ্রোপলজি (১৯৩৬), বিশ্বভারতী, কলকাতা
  • কালচারাল চেঞ্জ অ্যামাং দ্য গারোজ (১৯৮৫)
  • দ্য গারো ল' অফ ইনহেরিটেন্স (১৯৪১)

ড.জ্যোৎস্নাকান্ত বসু লন্ডনের রয়াল অ্যানথ্রোপলজিকাল সোসাইটির ফেলো ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন অ্যানথ্রোপলজির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৫৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "ফিরে দেখাঃ শতবর্ষ পেরিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৭