জিন্দা পার্ক
জিন্দা পার্ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক ও অবকাশ যাপন কেন্দ্র। পার্কটির আয়তন ১০০ বিঘা (৩৩ একর)।[১] পার্কটি নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি আকর্ষণস্থল।[২]
জিন্দা পার্ক | |
---|---|
![]() জিন্দা পার্কের ভিতর | |
![]() | |
ধরন | অবকাশ যাপন কেন্দ্র |
অবস্থান | দাউদপুর ইউনিয়ন, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫১′৫৮″ উত্তর ৯০°৩০′৩৭″ পূর্ব / ২৩.৮৬৬০৪২৩° উত্তর ৯০.৫১০৩৭৪১° পূর্ব |
আয়তন | ৩৩ একর (০.১৩ বর্গকিলোমিটার) |
নির্মিত | ১৯৮১ |
পরিচালিত | অগ্রপথিক পল্লী সমিতি (১৯৮১-১৯৯৩) (২০১৪-বর্তমান) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (১৯৯৩-২০১৪) |
পরিদর্শক | ৭০-৮০ (২০১৮ হিসেবে) |
ওয়েবসাইট | zindapark |
অবস্থান
সম্পাদনাজিন্দা পার্ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় দাউদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৭ কিমি দূরে নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলের উত্তর-পূর্ব কোণে ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস সড়কঘেঁষে এই পার্কটি অবস্থিত। উত্তরে ও পূর্বদিকে একটি ছোট হ্রদ একে ঘিরে রেখেছে।
ইতিহাস
সম্পাদনা“অগ্রপথিক পল্লী সমিতি” ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৮১ সালে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] পার্কটির আয়তন ১০০ বিঘা, যার মধ্যে ৬০ বিঘা জায়গা প্রদান করেন তবারক হোসাইন কুসুম। শুরুতে এর নাম শান্তিকানন দেওয়া হয়, পরে নাম পরিবর্তন করে জিন্দা পার্ক নামকরণ করা হয়।[১] শুরুতে একটি বিদ্যালয় এবং অফিস স্থাপনের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পাঠাগার, স্বাস্থকেন্দ্র, মসজিদ ইত্যাদি গড়ে ওঠে।
১৯৯৫ সালে রাজউক তার পূর্বাচল প্রকল্পের জন্য জিন্দা পার্ক এলাকাটি অধিগ্রহণ করে।[১] তারপর বেশ কয়েকবার রাজউক ও গ্রামবাসীর মধ্যে দখলচেষ্টা ও প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আদলতেও নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাজউক ‘অধিগ্রহণবলে জমির মালিক রাজউক/প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও উন্নয়নে অগ্রপথিক কল্যাণ সমিতি’ লিখে একটি সাইনবোর্ড লাগায়।[১] ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জিন্দা পার্ক থেকে লোকজনকে সরানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।[৪] জিন্দা পার্কের নাম তখন “রাজউক জিন্দা পার্ক” রাখা হয়। একই বছর অগ্রপথিক পল্লী সমিতি আবার পার্কটি এলাকাটি অধিগ্রহণ করে ও নাম পরিবর্তন করে জিন্দা পার্ক রাখে।[৫]
বর্ণনা
সম্পাদনাজিন্দা পার্ক প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে প্রায় ২৫০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার গাছ রয়েছে। পাঁচটি জলাধার রয়েছে, যা মোট জায়গার ২৫ শতাংশ।[১] আছে বৃক্ষ-ঘর, টিলা, ফুলের বাগান এবং হ্রদের ওপর ব্রিজ। এছাড়া বিদ্যালয়, মসজিদ, পাঠাগার, কটেজ, অফিসসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা রয়েছে।[২][৩]
ছবিঘর
সম্পাদনা-
প্রধান প্রবেশ পথ
-
প্রধান প্রবেশ পথ
-
মসজিদ
-
অতিথিশালা
-
গ্রন্থাগার
-
বিদ্যালয় ও সবুজ উদ্যান
-
বৃক্ষ-ঘর
-
বৃক্ষরাজি
-
প্রবেশ পথের সামনে কৃত্রিম জলাধার
-
দিঘী
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "পাঁচ কিশোরের উদ্যোগ বদলে দিল গ্রাম"। প্রথম আলো। ৫ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ "জিন্দা পার্ক"। রূপগঞ্জ উপজেলা বাতায়ন। ২০১৯-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০১।
- ↑ ক খ "অবসরে ঘুরে আসুন জিন্দা পার্ক"। বৈশাখী টেলিভিশন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আন্দোলনে রক্ষা পেল জিন্দা পার্ক"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৩ এপ্রিল ২০১৪। ২৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায় জিন্দা পার্ক এখন রাজউকের দখলে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৪ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।