জামশেদ গুলজার কিয়ানি

জামশেদ গুলজার কিয়ানি (উর্দু: جمشید گلزار کیانی‎‎; ২০ জুলাই ১৯৪৪-১ নভেম্বর ২০০৮) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল ছিলেন, তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তা, রাওয়ালপিন্ডিস্থ ১০ কোরের অধিনায়ক এবং বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান অধিনায়ক (কর্নেল কমান্ড্যান্ট) ছিলেন। একজন মেধাবী এবং কর্মঠ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিগণিত জেনারেল কিয়ানি আলোচনায় আসেন সেনাসদর দপ্তরে প্রধান গোয়েন্দা কর্মকর্তা (গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) এবং ১০ কোরের অধিনায়ক হওয়ার পর।[১] জামশেদকে সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ 'কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন' এর সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

জেনারেল জামশেদ
জেনারেল জামশেদ (১৯৯৯)
জন্ম২০ জুলাই ১৯৪৪
মৃত্যু১ নভেম্বর ২০০৮(2008-11-01) (বয়স ৬৪)
রাওয়ালপিণ্ডি
সমাধি
রাওয়ালপিণ্ডি, পাকিস্তান
আনুগত্য পাকিস্তান
সেবা/শাখা পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৬৪ - ২০০৪
পদমর্যাদা লে. জেনারেল
ইউনিটবেলুচ রেজিমেন্ট
নেতৃত্বসমূহবেলুচ রেজিমেন্ট
১০ কোর
সেনাসদরে গোয়েন্দা পরিদপ্তরে মহাপরিচালক
আইএসআই এর মহাপরিচালক
এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল
১১১ পদাতিক ব্রিগেড
যুদ্ধ/সংগ্রামভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১

১৯৮৪-এর পাক-ভারত দ্বন্দ্ব
কার্গিল যুদ্ধ
২০০১-০২-এর পাক-ভারত দ্বন্দ্ব

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান যুদ্ধ
পুরস্কারসিতারা-ই-জুরাত
হিলাল-ই-ইমতিয়াজ
সিতার-ই-বাসালাত
তামঘা-ই-জুরাত
অন্য কাজফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশন-এর সাবেক চেয়ারম্যান

সামরিক জীবন সম্পাদনা

কিয়ানি ৩৮তম পিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে বেলুচ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন ১৯৬৪ সালে। তিনি পরে ইসলামাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে 'ওয়ার স্টাডিস' এর ওপর এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাকে সকল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেই নামানো হয়েছিলো, ১৯৭১ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডে (পূর্ব পাকিস্তানে) কর্মরত ছিলেন কিন্তু তাকে পরে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হয় ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির ফলে।[২] ঘটনাটির বহু বছর পরে জামশেদ বলেছিলেন যে, 'জেনারেল নিয়াজি ইস্টার্ন সেনাদলের নেতৃত্বদানে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন।'[৩] ১৯৭২ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং করাচিতে আইএসআই এর একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান।[৪] লেফটেনেন্ট কর্নেল পদবি পাওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরে বদলি হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি ব্রিগেডিয়ার র‍্যাঙ্কে ১১১ রাওয়ালপিন্ডি ব্রিগেডের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ২ জুলাই থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার কাছে আটক ও বন্দি ছিলেন এবং জিয়াউর রহমান সে সময় খালেদা জিয়ার সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে তাকে হুমকি দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেছিলেন। চিঠি তৎকালীন ক্যাপ্টেন জামশেদের কাছে পৌঁছেছিল।  

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Report, Staff (1 November 2008), Jamshed Gulzar Kiani dies, সংগ্রহের তারিখ 2008  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Shahid Masood (২০০৮)। "Meray Mutabiq Jamshed Gulzar Kiyani Part 2"সংবাদগোষ্ঠীTV Geo TV |newsgroup= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  3. LTG Kiani। Meray Mutabiq Jamshed Gulzar Kiyani Part 2 (Television Production)। GEO TV। 
  4. Bhattacharya, Brigadier Samir (২০১৪)। Nothing But!: Book Six: Farewell My Love (ইংরেজি ভাষায়)। Partridge Publishing। আইএসবিএন 9781482817867। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৭