জাইন ইয়ার জং (১৫ জানুয়ারি ১৮৮৯- ১৬ মে ১৯৬১) [১]ছিলেন একজন ভারতীয় স্থপতি।[২][৩] তিনি তদানীন্তন দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদের মুখ্য স্থপতি ছিলেন। [৪] পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে অসামান্য কাজের জন্য ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সরকার দ্বারা দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ প্রাপ্ত হন।[৫]

জাইন ইয়ার জং
জন্ম
সৈয়দ জৈনুদ্দিন হুসেন খান

(১৮৮৯-০১-১৫)১৫ জানুয়ারি ১৮৮৯
মৃত্যু১৬ মে ১৯৬১(1961-05-16) (বয়স ৭২)
জাতীয়তাভারতীয়
পুরস্কারপদ্মভূষণ (১৯৫৬)
ভবনসমুহ
  • জুবিলী হল, হায়দ্রাবাদ
  • আজা খানে জেহরা
  • রাজ ভবন, হায়দ্রাবাদ
জাইন ইয়ার জং (প্রথম সারি, ডান থেকে ষষ্ঠ),উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের সাথে।

জীবনী সম্পাদনা

জাইন ইয়ার জং ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি অধুনা তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মীর সুজ্জাত আলি খান এবং মাতা ফতিমা বেগম বিলগ্রামী। তার অন্য নাম ছিল জৈনুদ্দিন হুসেন খান। জাইন ইয়ার জং-এর উচ্চ শিক্ষা ইংল্যান্ডে। শিক্ষালাভের পর তিনি রাজকীয় প্রাসাদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নিযুক্ত হন। হায়দ্রাবাদের নিজাম উসমান আলি খান দুই প্রখ্যাত স্থপতি, নবাব জাইন ইয়ার জং এবং প্রকৌশলী, সৈয়দ আলী রাজাকে বিশ্বের সুন্দর সুন্দর ভবন দর্শনে ও তাদের স্থাপত্য নিয়ে বিশদভাবে জানতে সফরে পাঠান। মিশরে প্রখ্যাত বেলজিয়ান স্থপতি আর্নেস্ট জ্যাসপারের সঙ্গে তাদের আন্টভের্পে সাক্ষাৎ হয়।[১]১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে হায়দ্রাবাদ সরকারের পরামর্শে জাইন ইয়ার জং জ্যাসপারের সহযোগিতায় উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের নকশা প্রস্তুত করেন[৬] [৭] ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জং হায়দ্রাবাদের মুখ্য স্থপতি নিযুক্ত হন। তিনি ওসমান সাগর , বাদশাহী মসজিদ এবং হিমায়ত সাগর ইত্যাদি নির্মাণের সাথে যুক্ত ছিলেন।

রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনা

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে জাইন ইয়ার জং পূর্ত, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের মন্ত্রী হন এবং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে নিজামের প্রতিনিধি হন। তিনি ভারতের সঙ্গে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের একীকরণের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনার জন্য নিজামের দূত হিসাবে কাজ করেন।

সম্মাননা সম্পাদনা

হায়দ্রাবাদের নিজাম জাইন ইয়ার জং-কে নবাব উপাধি প্রদান করেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অসামান্য কাজের জন্য দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত করে।[১][৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Nawab Zain Yar Jung"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 
  2. Akbar, Syed (২৩ এপ্রিল ২০১৭)। "OU architect was Nizam's emissary before merger"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৮ 
  3. "Arts College: a historic masterpiece"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১০-০৮। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৮ 
  4. Lang, Jon T. (২০০২)। A Concise History of Modern Architecture in India (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 9788178240176 
  5. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। অক্টোবর ১৫, ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  6. "On the heritage trail"The New Indian Express। ৭ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. Nanisetti, Serish (২০১৭-০৪-০৮)। "Arts College building, a hand-me-down architectural gem"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৪