জর্জ অ্যাডামস্কি
জর্জ অ্যাডামস্কি (১৭ এপ্রিল ১৮৯১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৬৫) ছিলেন একজন পোলিশ-মার্কিন লেখক যিনি ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকে এলিয়েন মহাকাশযানের অসংখ্য ফটোগ্রাফ প্রদর্শন করার পরে ইউফোবিদ্যা সমাজে এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। যেখানে নর্ডিক এলিয়েন স্পেস ব্রাদার্সের সাথে তার সাক্ষাৎ এবং চাঁদ ও অন্যান্য গ্রহে তাদের সাথে তার মহাকাশ ভ্রমণের কথা বলেছেন।[২]
জর্জ অ্যাডামস্কি | |
|---|---|
 | |
| জন্ম | ১৭ এপ্রিল ১৮৯১ |
| মৃত্যু | ২৩ এপ্রিল ১৯৬৫ (বয়স ৭৪) সিলভার স্প্রিং, মেরিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
| সমাধি | আর্লিংটন জাতীয় সমাধিস্থান |
| পেশা | আত্মবর্ণিত "বিচরণকারী শিক্ষক",[১] ইউফোবিদ |
| প্রতিষ্ঠান | রয়েল অর্ডার অব তিব্বত জর্জ অ্যাডামস্কি ফাউন্ডেশন |
| পরিচিতির কারণ | যোগাযোগকারী |
| দাম্পত্য সঙ্গী | মেরি শিম্বারস্কি (বি. ১৯১৭; তার মৃত্যু ১৯৫৪) |
অ্যাডামস্কি ছিলেন প্রথমদিককার এবং সবচেয়ে বিখ্যাত, বেশকয়েকটি তথাকথিত ইউএফও যোগাযোগকারীদের মধ্যে একজন, যারা ১৯৫০-এর দশকে প্রসিদ্ধ হয়েছিলেন। অ্যাডামস্কি নিজেকে একজন "দার্শনিক, শিক্ষক, ছাত্র এবং সসার গবেষক" বলে অভিহিত করেছিলেন, যদিও বেশিরভাগ তদন্তকারীরা তার দাবিগুলিকে একটি বিস্তৃত প্রতারণা বলে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন। এছাড়াও অ্যাডামস্কি একজন চার্লাটান এবং কন শিল্পী ছিলেন। [৩]
অ্যাডামস্কি নর্ডিক এলিয়েনদের সাথে তার বৈঠক এবং তাদের স্পেসশিপে তাদের সাথে তার ভ্রমণের বর্ণনা দিয়ে তিনটি বই লিখেছেন: ১৯৫৩ সালে ফ্লাইং সসার হ্যাভ ল্যান্ডেড (ডেসমন্ড লেসলির সাথে লেখা), ১৯৫৫ সালে ইনসাইড দ্য স্পেস শিপস এবং ১৯৬১ সালে ফ্লাইং সসার ফেয়ারওয়েল। প্রথম দুটি বই বেস্টসেলার ছিল; ১৯৬০ সালের মধ্যে বইদুটি সম্মিলিত ভাবে ২০০,০০০ কপি বিক্রি করেছিল।[৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউফোলজিতে তার অবদানের পাশাপাশি, অ্যাডামস্কির কাজ জাপানে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং যুদ্ধোত্তর জাপানি সংস্কৃতি এবং মিডিয়াতে এলিয়েন ও ইউএফও-এর অনেক চিত্রায়নকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে।[৫]
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Zinsstag & Good 1983, pp. 5–6
- ↑ Peebles, pp. 93-96
- ↑ "The Queen & the Saucers"। Time। ১ জুন ১৯৫৯। ১৩ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Profile, gutenberg.org; accessed 8 June 2017.
- ↑ Archived at Ghostarchive and the Wayback Machine: Robinson, Nick। "Why do Japanese UFOs look so different?"। YouTube। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১।