জয়মতী (১৯৩৫-এর চলচ্চিত্র)
জয়মতী ১৯৩৫ সনে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম অসমীয়া ভাষার চলচ্চিত্র। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সতী জয়মতী নাটককে কেন্দ্র করে জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রে জয়মতীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আইদেউ সন্দিকৈ। ১৯৩৩ সনে চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ আরম্ভ করা হয় ও ১৯৩৫ সনে মুক্তি দেওয়া হয়। ভোলাগুরি চা-বাগানে অবস্থিত চিত্রবন ষ্টুডিওতে চলচ্চিত্রটির সুটিং করা হয়[১]।
জয়মতী | |
---|---|
পরিচালক | জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা |
প্রযোজক | জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা |
রচয়িতা | 'লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া |
শ্রেষ্ঠাংশে | আইদেউ সন্দিকৈ, ফুনু বড়ুয়া (পরশুরাম বড়ুয়া) |
সুরকার | জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা |
চিত্রগ্রাহক | ভুপাল শঙ্কর মেহতা |
পরিবেশক | চিত্রলেখা মুভিটোন |
দেশ | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া ভাষা |
কাহিনীর সারাংশ
সম্পাদনাআহোম সাম্রাজ্যের জয়মতী নামক নারীর বাস্তব জীবনের কাহিনী চলচ্চিত্রে প্রস্ফুটিত হয়েছে। আহোম সাম্রাজ্যের নিয়মমতে কোন অংগক্ষত রাজকুমার রাজা হতে পারবেন না। তাই লালুকসোলার পরামর্শে লরা রাজা বা চুলিক্ফা রাজ্যের রাজকুমারদের অংগক্ষত করার নির্দেশ দেয়। এই অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তুংখুঙীয়া ফৈদের রাজকুমার গদাপানি রাজ্য থেকে পালিয়ে নগা পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। গদাপানির সন্ধান না পেয়ে চুলিক্ফা গদাপানির পত্নী জয়মতীকে বন্দী করে জেরেঙা পাথার নামক স্থানে অসহ্যকর অত্যাচার করে। কিন্তু অত্যাচার সহ্য করেও জয়মতী তার স্বামীর আত্মগোপন করা স্থানের নাম প্রকাশ করেন নাই।
জয়মতী নির্মাণের কাহিনী
সম্পাদনাইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার সময় জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা ইউ.অ্যাফ.এ ষ্টুডিও থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল আয়ত্ত করেন। ১৯৩৫ সনের ১০ মার্চ তারিখে গুয়াহাটির কুমার ভাস্কর নাট্য মন্দিরে মুক্তি দেওয়া হয়। ছবিটির উদ্ঘাটন করেন সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া। চলচ্চিত্রটি দর্শকের জনপ্রিয়তা অর্জনে অক্ষম হয় যার ফলে বাণিজ্যিক লোকসান হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Tamuli, Babul (2002) The making of Joymoti ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে, The Assam Tribune. আহরণ করা তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২০১২