আহোম রাজ্য
আহোম রাজ্য (অসমীয়া: আহোম ৰাজ্য) ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় স্থিত ছিল একটি মধ্যযুগীয় রাজ্য। আহোম রাজ্য প্রায় ৬০০ বৎসর নিজের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেছিল ও অসমে মোগল সাম্রাজ্য স্থাপনে বাধা দিয়েছিল। মং মাও বংশের টাই রাজকুমার চুকাফা উত্তরে চুতীয়া রাজ্য ও দক্ষিণে কছাড়ী রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানে আহোম রাজ্য স্থাপন করেন। কালক্রমে চতুর্দিকে এই রাজ্যের সীমানা বিস্তারিত হয় ও আহোম রাজা চুহুংমুং বা স্বর্গণারায়ণের রাজত্বকালে এই রাজ্য রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। প্রতাপ সিংহের শাসনকালে রাজ্যের প্রশাসনকে নতুন রূপ দেওয়া হয় ও প্রথমবার মোগলদের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। গদাধর সিংহের রাজত্বকালে ব্রহ্মপুত্রের উপত্যকা থেকে মোগলদের প্রভাব নিশ্চিহ্ন করা হয়। তাঁর পুত্র রুদ্র সিংহের রাজত্বকালে আহোম রাজ্য উন্নতির শিখরে উপনীত হয়। মোয়ামরীয়া বিদ্রোহ থেকে আহোম রাজ্য দুর্বল হতে থাকে ও মানের আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। বৃটিশদের হাতে মান পরাজিত হওয়ার পর ১৮২৬ সালে ইয়াণ্ডাবু সন্ধিমতে অসমের শাসনভার বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে ন্যস্ত হয়। পূর্বে অসমকে আহোম রাজ্য বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অসম ছিল বিভিন্ন জাতির মিলনভূমি। পরবর্তী সময়ে জনগণনা করে জানা যায় আহোমের সংখ্যা মোট অসমের জনসংখ্যার ১০% থেকেও কম। আহোমেরা এই রাজ্যটিকে মং ডুন চুন খাম নাম দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্যান্য জাতিরা অসম নামকরণ করেন। ১৮৩৮ সালে বৃটিশ শাসিত অঞ্চল ও পরবর্তীকালে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর রাজ্যটির নাম অসম বলে অক্ষুণ্ণ থাকে।
ইতিহাসসম্পাদনা
১২২৮ সালে চুকাফা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় প্রবেশ করে আহোম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আহোম রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য কোন প্রতিষ্ঠিত রাজার সহিত যুদ্ধ করার প্রয়োজন হয়নি। দক্ষিণ পাড়ের কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা দখল করে তিনি নিজের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তখন আহোম রাজ্যের সীমানা ছিল উত্তরে বুঢ়িদিহিং নদী ও দক্ষিণে দিখৌ নদী ও পূর্বে পাটকাই পর্বত। [১] তিনি স্থানীয় বরাহী ও মরান মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে চরাইদেউ নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন এবং বরগোহাই ও বুঢ়াগোহাই পদবীর সৃষ্টি করে তাঁদের রাজকার্যে নিয়োগ করেন। আহোমেরা তাঁদের ধান চাষের পদ্ধতি অন্যান্য লোকেদের শেখান। ধীরে ধীরে অন্যান্য জাতির লোকেরা আহোম জীবনযাত্রা গ্রহণ করেন ও একসময়ে তাঁরা আহোম জাতিতে বিলীন হয়ে যান। ফলস্বরূপ বরাহী জাতি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায় ও বহুসংখ্যক নগা ও মরান জাতি আহোমে পরিণত হয়; ফলে আহোমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ষোড়শ শতাব্দীতে আহোম স্বর্গদেউ চুহুংমুং চুতীয়া ও কছাড়ী রাজ্য জয় করে রাজ্য বিস্তারের সময় আহোমকরণ প্রক্রিয়ায় মনোযোগ দেন। আহোমকরণ প্রক্রিয়া এতই দ্রুত ছিল যে একসময়ে প্রকৃত আহোম জাতির লোকেরা নিজ রাজ্যে সংখ্যালঘু হয়ে যায়। ফলে রাজ্যটির রূপ পরিবর্তন হয়ে বহুজাতিক হয়ে উঠে। চতুর্দশ শতকে বামুনী রাজকুমারের শাসনকালে আহোম রাজ্যে হিন্দুদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আহোম রাজ্যে টাই ভাষার সঙ্গে অসমীয়া ভাষার ব্যবহার আরম্ভ হয়। পরবর্তী সময়ে দুইটি উচ্চ পদের মন্ত্রীর সাথে নতুন করে বরপাত্রগোহাই নামক নতুন পদের সৃষ্টি করা হয়। চুতীয়া রাজ্য ও কছাড়ী রাজ্য জয় করার পর অঞ্চলসমূহ পর্যবেক্ষণ করার জন্য শদিয়াকোয়া গোহাই ও মরঙ্গীখোয়া গোহাই নামক বিশেষ পদের সৃষ্টি করা হয়। ফৈদ পদ্ধতিতে আধারিত পাইক প্রথায় সাধারণ জনগণকে সৈন্য রূপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বঙ্গের মোগল ও আফগানী আক্রমণকারীদের আহোমেরা সফলভাবে প্রতিহত করেছিল। আহোম সেনাপতি টংখাম বরগোহাই আক্রমণকারীদের তাড়িয়ে করতোয়া নদী পার করে আসেন। ফলস্বরূপ আহোমেরা নিজেদের কামরূপ রাজ্যের যোগ্য উত্তরাধিকারী রুপে গণ্য করেন। প্রতাপ সিংহের শাসনকালে আহোম রাজ্য পূর্ণতা লাভ করে। তিনি বরফুকন ও বরবরুয়ার পদ সৃষ্টি করেন। তারপর থেকে রাজ্য পতনের আগে পর্ষন্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়নি। সপ্তদশ শতাব্দীতে মোগলেরা আহোম রাজ্য অনেকবার আক্রমণ করে। ১৬৬২ সালে মীর জুমলার নেতৃত্বে মোগলরা আহোমের রাজধানী গড়গাও দখল করে। কিছুদিন পর শরাইঘাট যুদ্ধে লাচিত বরফুকন মোগল বাহিনীকে পরাস্ত করে গড়গাও আহোমের অধীনে করে ও মানস নদী পর্যন্ত নিজেদের রাজ্যসীমা বিস্তার করে। শাসন নিয়ে মতভেদ হওয়ার জন্য গদাধর সিংহ রাজ্যে তুংখুঙীয়া ফৈদ রাজার শাসন আরম্ভ করেন। তুংখুঙীয়া রাজার শাসনকালে শান্তি, কলা ও অভিযান্ত্রিক ক্ষেত্রে আহোম রাজ্য সফলতা লাভ করে। শাসনের পরবর্তী সময়ে মতভেদের সৃষ্টি হয় ও মোয়ামরীয়া বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। বিদ্রোহকারীরা রাজধানী রংপুর অধিকার দখল করে কিন্তু অবশেষে ক্যাপ্টেন ইয়েলসের নেতৃত্বে বৃটিশরা তাঁদের সেই অঞ্চল থেকে বঞ্চিত করে। রাজ্যের শক্তি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে ও মানের আক্রমণে আহোম রাজ্যের পতন হয়। অবশেষে ইয়ান্ডাবু সন্ধিমতে অসম বৃটিশ শাসনের অধীনে আসে।
আহোম অর্থনৈতিক ব্যবস্থাসম্পাদনা
আহোম রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল পাইক প্রথা। পাইক প্রথা একধরনের বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় ব্যবস্থা। আহোমেরা উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে খাল কেটে ও বাঁধ নির্মাণ ও জলসিঞ্চন করে চাষের উপযুক্ত ব্যবস্থা করেছিল। ফলে আহোম রাজ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হয়েছিল। ষোড়শ শতিকায় আহোম স্বর্গদেউ চুক্লেনমুংয়ের রাজত্বকালে মুদ্রার প্রচলন হয়। সতেরো শতিকায় আহোম রাজ্য পশ্চিমে কোচ রাজ্য ও মোগল সাম্রাজ্যের কিছু অংশ নিজের অধীনে করতে সক্ষম হন। তারপর আহোম রাজ্যে রাজস্ব বা কর আদায় ব্যবস্থা চালু করা হয় ও প্রয়োজন অনুসারে কিছু পরিবর্তন করে নতুন রাজস্ব প্রবর্তন করা হয়েছিল।
আহোম প্রশাসনসম্পাদনা
স্বর্গদেউ ও পাত্রমন্ত্রীসকলসম্পাদনা
আহোম রাজ্যের প্রথম রাজা চুকাফা মং মাও বংশের বংশধর ছিলেন। রাজাকে স্বর্গদেউ বলা হত।[২] বংশগতি ক্রমে রাজাদের নির্বাচন করা হত। কিন্তু পরিস্থিতি সাপেক্ষে মন্ত্রীরা অন্য কোন বংশকে রাজার পদে নির্বাচন করতে পারতেন বা অধিষ্ঠ রাজাদের পদচ্যুত করতে পারতেন।
ডাঙরীয়াসকলসম্পাদনা
স্বর্গদেউ চুকাফা রাজ্য শাসনের সাহ্যয্য করার জন্য বুঢ়াগোহাই ও বরগোহাই নামক দুইটি পদের সৃষ্টি করেন। ১২৮০ সালে তাঁদের শাসনের জন্য স্বতন্ত্র অঞ্চল দেওয়া হয়। বুঢ়াগোহাইদের এলেকা ছিল শদিয়া ও গেরেলুয়া নদীর মধ্যভাগ অঞ্চল এবং বরগোহাইদের অঞ্চল ছিল পশ্চিমে বুঢ়ৈ নদী পর্যন্ত। সেই অঞ্চলের পাইকদের উপর তাঁদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। উচ্চ আহোম পরিবারের লোকের দ্বারা তাঁদের পদ পূরন করা হত। রাজার পদের জন্য উপযুক্ত রাজকুমার মন্ত্রীর পদে জন্য উপযুক্ত ছিলনা ও মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল। ১৬ শতিকায় আহোম রাজা চুহুংমুং বরপাত্রগোহাই নামক একটি নতুন পদের সৃষ্টি করেন । তাঁদের এলেকা ছিল উপরিউক্ত দুই গোহাইয়ের শাসিত অঞ্চলের মধ্যবর্ত্তী অঞ্চল।
রাজকর্মীসকলসম্পাদনা
প্রতাপ সিংহ রাজার প্রত্যক্ষ অধীনস্থ দুইটি পদ বরবরুয়া ও বরফুকন পদের সৃষ্টি করেন। সামরীক ও ন্যায়িক দ্বায়িত্ব পালন করা ছিল বরবরুয়াদের প্রধান কর্তব্য। তাঁদের দ্বায়িত্বে থাকা অঞ্চলটি ছিল কলিয়াবরের পূর্ব অংশ। অপরদিকে বরফুকনেরা কলিয়াবরের পশ্চিম অংশের সামরীক ও অসামরীক দ্বায়িত্ব পালনে অধিস্থ ছিলেন ও তাঁরা রাজার পরিচালক রুপে কাজ করিতেন।
পাত্রমন্ত্রীসকলসম্পাদনা
পাঁচটি পদে পাত্রমন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। রাজা চুপিম্ফা রাজমন্ত্রী বা বরপাত্র নামক নতুন মন্ত্রী পদের সৃষ্টি করেন। রাজমন্ত্রী ১০০০ অতিরিক্ত পাইক ও অন্যান্য সুবিধা লাভ করেছিল।
অন্যান্য বিষয়সম্পাদনা
বরবরুয়া ও বরফুকন সামরীক ও ন্যায়িক দ্বায়িত্বে ছিলেন ও তাঁদের সাহায্য করার জন্য দুইটি ফুকনের চরা নিয়োগ করা হয়েছিল। বরফুকনদের চরা ছিল গুয়াহাটিতে । বরবরুয়াদের চরা ছিল রাজধানীতে। তদন্তকারী বিষয়াদের বরুয়া বলা হত।
পাইক প্রথাসম্পাদনা
আহোম রাজ্যে জনসাধারণকে জোরপূর্বক রাজ্যের কার্যে নিয়োগ করার প্রথাকে পাইক প্রথা বলা হত। প্রথাটি প্রাচীনকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রচলিত ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। ১২২৮ সালে আহোমেরা অসম আসার পর প্রথাটির প্রচলন করেন। ১৬০৬ সালে পাইক প্রথার কিছু পরিবর্তন করে মোমাই তামুলী বরবরুয়া পুনরায় প্রচলন করেন। বিজ্ঞ ব্যক্তিরা মত প্রকাশ করেছেন যে, পাইক প্রথা ছিল আহোমের পতনের মূল কারণ। আহোম রাজ্যের রাজবংশের লোক, পুরোহিত, উচ্চ শ্রেনীর লোক ও দাসদের বাদ দিয়ে সকল ১৫ থেকে ৫০ বৎসরের পুরুষকে পাইক বলা হত। স্বর্গদেউ রুদ্র সিংহের রাজত্বকালে রাজ্যের প্রায় ৯০% লোক এই শ্রেনীর অন্তর্গত ছিল।এই প্রথা অনুযায়ী অসমের প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের রাজ্যের বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই শ্রেনীর অন্তর্গত ব্যক্তিদের দিয়ে নৌকা তৈরী করা, গৃহ নির্মাণ করা, পথ-ঘাট নির্মাণ করা, রাজস্ব আদায় করা, হাতি ধরা, বন-জঙ্গল পরিদর্শন করা ইত্যাদি কাজ করানো হত।
মাটির মাপসম্পাদনা
গদাধর সিংহ কামরুপে পালাতক অবস্থায় লুকিয়ে থাকার সময় মোগলদের মাটি বা জমির মাপ-জোখ করার পদ্ধতির সহিত পরিচিত হয়েছিলেন। মোগলের সহিত যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি নিজের রাজ্যে মাপ-জোখ পদ্ধতি অবলম্বন করার নির্দেশ দেন। এই কাজের জন্য কোচবিহার ও বঙ্গ থেকে জরীপকারী ব্যক্তিদের আমন্ত্রন করে অসমে আনা হয়। প্রথমে শিবসাগরে মাপ-জোখের কাজ আরম্ভ করা হয় কিন্তু গদাধর সিংহের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কার্য হয় নাই। গদাধর সিংহের পুত্র রুদ্র সিংহ নগাঁও নামক অঞ্চলে মাপের কার্য আরম্ভ করান। ইতিহাসবিদদের মতে ১২ফুট বাঁশ দিয়ে জমির চতুর্দিক মাপা হত। মাপের একক ছিল লেসা। অর্থাৎ ১লেসা=১৪৪ বর্গফুট ও ১০০লেসা=১বিঘা এবং ৪বিঘা=১পুরা। বর্তমান দিনে অসমে এই একক পদ্ধতিকে ভিত্তি করে জমি মাপ-জোখ করা হয়।
যুদ্ধের প্রস্তুতিসম্পাদনা
যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে আহোমেরা ট্রেন নামক উপাস্য দেবতাকে পূজা করিতেন। আহোমদের স্থলসেনা ও নৌসেনার দুইটি বিভাগ ছিল। স্থলসেনার প্রধান সেনাপতিকে ফুকন ও নৌসেনার প্রধানকে পানীফুকন বলা হত। সেনাপতির নিম্নবর্গদের বরনেওগ ও নেওগ বলা হত। যুদ্ধে যাওয়ার সময় আহোম সেনারা কয়েকজন বিজ্ঞপণ্ডিতদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন। এদের মধ্যে বেজবরুয়া, দেওধাই ও বাইলুং প্রধান ছিল। বেজবরুয়া শ্রেনীর ব্যক্তিরা সাধারনত যুদ্ধে আহত সৈন্যদের চিকিৎসা করিতেন ও দেওধাই ও বাইলুং গনকের কাজ করিতেন। কোন দিক থেকে আক্রমণ করার প্রয়োজন ও শত্রুরা কোন দিক থেকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা বেশি ইত্যাদি গনকেরা পূর্বানুমান করে বলতেন। প্রয়োজন সাপেক্ষে আহোম রাজ্যের মুখ্য বিষয়া যেমন বরফুকন ও বরবরুয়া ইত্যাদি শ্রেনীর ব্যক্তিরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করিতেন। কখনো স্বয়ং রাজা নিজে যুদ্ধ করিতেন। মুখ্য বিষয়ারা হাতির পিঠে চড়ে যুদ্ধ করিতেন। যুদ্ধের সময় কোন আহোম সেনা যুদ্ধ ছেড়ে আসার অণুমতি ছিলনা। সেনাপতি বা সৈন্য সবার জন্য নিয়ম এক ছিল। পালিয়ে আসা সৈন্যদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হত। অন্যান্য সৈন্যদের উপস্থিতে পালাতক সৈন্যকে হত্যা করা হত যাতে এমন ভুল অন্য কেউ না করে।
যুদ্ধের সামগ্রীসম্পাদনা
প্রথম অবস্থায় আহোমেরা হেংদা,দা ও যাঠি ইত্যাদি অস্ত্র রুপে ব্যবহার করতেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা কামানের ব্যবহার করেন। অসমের কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে যুদ্ধ সামগ্রী নির্মাণ করা হত। বারুদ প্রস্তুতে আহোমেরা নিপুন ছিল। বারুদ পর্যবেক্ষনকারী ব্যক্তিকে খারঘরীয়াফুকন বলা হত।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ http://www.assamtourism.org/history.php
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৪।