জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ন)

পাকিস্তানের বিলুপ্ত রাজনৈতিক দল

জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ন) (উর্দু: (ن) جمیعت علمائے اسلام‎‎) পাকিস্তানের একটি বিলুপ্ত রাজনৈতিক দল। [১] ২০০৭ সালে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ) থেকে পৃথক হয়ে মুহাম্মদ আসমতুল্লাহর নেতৃত্বে এটি গঠিত হয়েছিল। ২০১৬ সালে এটির মাতৃ সংগঠন অর্থাৎ জমিয়তের (ফ) সাথে আবার একত্রিত হয়। [২] এর পূর্বে এটি ২০০৮ ও ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। [৩][৪]

ইতিহাস সম্পাদনা

২০০৮ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে তৎকালীন জমিয়তের (ফ) প্রাদেশিক প্রধান মুহাম্মদ খান শেরানির সাথে মতবিরোধের পর বালুচিস্তানের কিছু প্রথম সারির নেতা মাওলানা আসমতুল্লাহর নেতৃত্বে ২০০৭ সালে জমিয়ত (নজরিয়াতি) গঠন করেছিলেন। [২] এরপরে দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছিল। [১][৫] পরে, এটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে মুত্তাহিদা দিনি মাহজের ছত্রছায়ায় ২০০৮ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। [২] ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে, জমিয়ত নজরিয়াতির প্রধান মাওলানা আসমতুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৬৪-জাতীয় সংসদীয় আসনে জমিয়তের (ফ) প্রাদেশিক প্রধান মাওলানা খান মুহাম্মদ শেরানীকে পরাজিত করেছিলেন। [৬] যদিও জমিয়ত নজরিয়াতি ২০০৮ সালে কয়েকটি জাতীয় সংসদ এবং প্রাদেশিক সংসদীয় আসন জিতেছিল, তবে এটি ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলিতে কোনও আসনই পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। [৭]

তালেবান ও আল কায়েদার প্রতি সমর্থন সম্পাদনা

জমিয়ত নজরিয়াতির নেতারা প্রকাশ্যে আফগান তালেবান এবং আল-কায়েদাকে সমর্থন করেছিল। হাফিজ ফজল বারীচ এবং অন্যান্য দলীয় নেতাকর্মীরা ২০০৭ সালের জুনে 'শহীদ মোল্লা দাদুল্লাহ সম্মেলন' আয়োজন করেছিল, যেখানে তার ভাই মোল্লা দাদুল্লাহর পরে তালেবান সেনা কমান্ডার হিসেবে উত্তরাধিকারী মোল্লা দাদুল্লাহ মনসুরও একটি টেপ রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে জনতাকে সম্বোধন করেছিলেন।[৮]

২০১১ সালে, অপারেশন নেপচুন স্পিয়ারে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পরে, জমিয়ত নজরিয়াতি কোয়েটা এবং বালুচিস্তানের ও অন্যান্য পশতুন জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ এবং জানাজা-নামাজের আয়োজন করেছিল।[৯]

জমিয়তের (ফ) সাথে সংযুক্তি সম্পাদনা

২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে, জমিয়ত নজরিয়াতির নেতারা পুনরায় একত্রিত হওয়ার জন্য জমিয়তের (ফ) নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করেছিল।[৯] ২০১৬ সালের গোড়ার দিকে, মাওলানা আসমতুল্লাহ একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে জমিয়তের (ন) নিবন্ধন বাতিল করার জন্য ইসিপিকে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। পরে, মাওলানা ফজলুর রেহমান ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে কোয়েটায় একটি জনসমাবেশে দুটি দলকে একীভূত করার ঘোষণা দেন।[১০] এদিকে, মাওলানা আবদুল কাদির লুনি এবং আরও কয়েকজন সংযুক্তি এবং জমিয়তের (ফ) নীতির বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছিল। [২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "নির্বাচন কমিশন পাকিস্তান - জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ন)"। ২০১৩-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-০৫ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-০২-২৬)। "জমিয়তের দুটি দল সংযুক্ত"ডন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  3. প্রতিবেদন - সাধারণ নির্বাচন ২০০৮। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। ২০০৮। 
  4. প্রতিবেদন - সাধারণ নির্বাচন ২০১৩। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। ২০১৩। 
  5. ECP, Election Commission of Pakistan (২০১২)। List of Political Parties as exist on Our Record (as on 22 March 2012) (পিডিএফ)। Election Commission of Pakistan। পৃষ্ঠা 1–2। ২৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২০ 
  6. General Elections-2008 Report (Vol-II) (পিডিএফ)। Election Commission of Pakistan। ২০০৮। পৃষ্ঠা 101। ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২০ 
  7. "JUI-N to re-merge into JUI-F on 25th"The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  8. "Pakistani political party sponsors 'Martyred Mullah Dadullah Conference' | FDD's Long War Journal"www.longwarjournal.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  9. "The F and N of JUI | Dialogue | thenews.com.pk"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭ 
  10. Correspondent, The Newspaper's Staff (২০১৬-০২-২৬)। "Two JUI factions merge after patch-up"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৭