জগৎ শেঠ
জগৎশেঠ বাংলার একটি মর্যাদাকর পদবী, যা একজন ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিকে নির্দেশ করতো। তবে এই পদবীধারী “মহাতপ চাঁদ” নবাব সিরাজউদ্দৌলার সময়ে একজন বিশেষ ক্ষমতাধর রাজন্য ছিলেন। তৎকালীন সময়ে বাংলার শ্রেষ্ঠ ধনী ছিলেন তিনি। এমনকি জমিদার ও নবাবরা পর্যন্ত কর পরিশোধের ক্ষেত্রে তার অর্থের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। যাঁদের চক্রান্তের শিকার হয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন, তাঁদের একজন হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। শুধু চক্রান্তই না পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের অর্থসাহায্যের সাথেও জড়িত ছিলেন জগৎ শেঠ । পরবর্তীতে বক্সার যুদ্ধে মীর কাশেমের পরাজয়ের পিছনেও তার হাত আছে বলে অনুমান করা হয়। মীর কাশেম তাঁকে সুউচ্চ এক ভগ্নপ্রায় দূর্গ থেকে নীচের নদীতে ফেলে হত্যা করেন। আনুমানিক ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাগ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে মারোয়ারি ব্যবসায়ী হিরাপদ শাহ রাজস্থান থেকে পাটনায় চলে আসেন। তার বড়ো ছেলে মানিকচাঁদ ঢাকায় মহাজনি কারবার শুরু করেন এবং এরপর বাংলার তৎকালীন নবাব মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য তিনি মুর্শিদাবাদে ব্যাবসা শুরু করেন। এই মানিকচাঁদেরই ভাগ্নে ছিলেন ফতেহচাঁদ। দিল্লির মুঘল সম্রাটের দরবারে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেলে মুঘল সম্রাট ফতেহচাঁদকে জগৎ শেঠ উপাধি প্রদান করেন যার প্রকৃত অর্থ হল জগতের শেঠ। এই উপাধি পরবর্তীকালে পারিবারিক উপাধিতে পরিণত হয়।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহি:সংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাপিডিয়ায় - ইংরেজি ভার্সন