ছৈয়দ মাহমুদ আগা
হযরত ছৈয়দ মাহমুদ আগা শাহ সাহেব আফগানিস্তানের একজন সুফি সাধক ছিলেন। তিনি ছৈয়দ উল সাদাত হযরত ছৈয়দ মীর জান শাহ সাহেব এর বড় ভাই। মনে করা হয়ে থাকে যে ছৈয়দ মাহমুদ আগা শাহ সাহেব অক্টোবর ১৮৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
হযরত ছৈয়দ মাহমুদ আগা শাহ সাহেব | |
---|---|
জন্ম | অজানা |
মৃত্যু | অক্টোবর ১৮৮২ |
সমাধি | লাহোর |
উপাধি | ছৈয়দ উল সাদাত (ছৈয়দদের নেতা) খাজা-এ-খাজেগান জাহান (বিশ্বের গুরুদের গুরু) ওয়ালি-উল্লাহ (আল্লাহর বন্ধু) মাহবুব রসুল আল্লাহ (নবীর প্রিয় বন্ধু) নূর চশমে খাজেগান (খাজেগানের চোখের জ্যোর্তি)ছৈয়দ আল-ইসলাম (আল্লাহ লিকট আত্মসমর্পণকারীদের নেতা) |
পূর্বসূরী | ছৈয়দ মীর জান |
উত্তরসূরী | অজানা (ওয়াইসিয়া তরিকা) |
পিতা-মাতা | হযরত ছৈয়দ মীর হাসান |
বংশপরিচয়
সম্পাদনামাতা এবং পিতার উভয়ের দিক থেকে ছৈয়দ মীর জান ছৈয়দ বংশের (মুহাম্মাদ (দঃ) এর কন্যা ফাতিমা এবং তার চাচাত ভাই আলী ইবনে আবি তালিবের বংশ হয়ে মুহাম্মাদ (দঃ) এর বংশের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে) সন্তান ছিলেন। তার পিতা যে বংশের উত্তরসূরী ছিলেন সে বংশে বার ইমামের সাতজন জন্মগ্রহণ করেন এবং মাতা যে বংশের উত্তরসূরী ছিলেন সে বংশে বার ইমামের এগার জন জন্মগ্রহণ করেন। এই বংশে ছৈয়দ বাহাউদ্দিন নকশবন্দি, ছৈয়দ আলাউদ্দিন আতার এবং খাজা থাওয়ান্দ মাহমুদও (হযরত ইহসান নামেও পরিচিত) জন্মান। কারবালার যুদ্ধের পর আহলে বায়াতের বংশধররা পুনরায় মদীনায় ফিরে যান।[১] সেখান থেকে মুসা আল কাজিম ইরাকে চলে যান। মুসা আল কাজিমের পুত্র হামযা পারস্যে চলে যান। এরপর কয়েকজন রোখারাতে এবং সেখান কাবুলে চলে যান, যেখানে মীর জান জন্মগ্রহণ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Imam Ali ibn al-Hussein (2001). The Complite Edition of the Treatise on Rights. Qum: Ansariyan Publications.