চুউগোকু অঞ্চল
চুউগোকু অঞ্চল (中国地方 চুউগোকু-চিহোও), মতান্তরে সান্ইন্-সান্ইয়ো অঞ্চল (山陰山陽地方 সান্ইন্-সান্ইয়ো-চিহোও) হল জাপানের বৃহত্তম দ্বীপ হোনশুর পশ্চিমতম অংশ। এই ভৌগোলিক অঞ্চলের অন্তর্গত প্রশাসনিক অঞ্চলগুলো হল তোত্তোরি, শিমানে, ওকায়ামা, হিরোশিমা ও য়ামাগুচি।[২] ২০১০ এর জনগণনা অনুযায়ী এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল ৭৫,৬৩,৪২৮ জন।
চুউগোকু অঞ্চল 中国地方 | |
---|---|
অঞ্চল | |
আয়তন | |
• মোট | ৩১,৯২২.২৬ বর্গকিমি (১২,৩২৫.২৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (১লা অক্টোবর ২০১০)[১] | |
• মোট | ৭৫,৬৩,৪২৮ |
• জনঘনত্ব | ২৪০/বর্গকিমি (৬১০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | জেএসটি (ইউটিসি+9) |
ইতিহাস
সম্পাদনাচুউগোকু কথাটির আক্ষরিক অর্থ "মধ্যদেশ", যদিও অঞ্চলটির এহেন নামকরণের ইতিহাস স্পষ্ট নয়। ঐতিহাসিকভাবে জাপান কয়েকটি প্রদেশ বা "কোকু"-তে বিভক্ত ছিল, যাদের দেশের রাজধানী অঞ্চল কান্সাই থেকে দূরত্বের নিরিখে তিন ভাগে ভাগ করা হত, যথা নিকট অঞ্চল (近国, কিংগোকু), মধ্য অঞ্চল (中国, চুউগোকু) এবং দূর অঞ্চল (遠国, ওংগোকু)। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী চুউগোকু অঞ্চল বলতে রাজধানীর পশ্চিমে অবস্থিত "মধ্য অঞ্চল" ভুক্ত প্রদেশগুলোকে বোঝাত। কিন্তু বর্তমান চুউগোকু অঞ্চলের অন্তর্গত মাত্র পাঁচটি প্রশাসনিক অঞ্চলকে অতীতে বাস্তবিক মধ্য অঞ্চল বলে গণ্য করা হত, এবং কান্সাইয়ের পূর্বদিকের কোনও মধ্য অঞ্চলভুক্ত প্রদেশকেই চুউগোকু বলা হত না। অতঃপর একটি বিকল্প ব্যাখ্যা হল কান্সাই ও এশিয়ার মূল ভূভাগের সাথে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিউশুর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী অঞ্চলকে চুউগোকু বলা হতে থাকে।
জাপানি ভাষায় "চুউগোকু" উচ্চারণে 中国 চিত্রাক্ষর দুটিকে পড়লে এখন চীন বোঝায়। ১৯১১ খ্রিঃ চীনা প্রজাতন্ত্রের গঠনের সময় থেকে এই পাঠ চলে আসছে। চীনা ভাষাতেও চীন বোঝাতে এই দুটী চিত্রাক্ষরই ব্যবহৃত হয়, তবে তাদের উচ্চারণ হল ঝংগুও বা চুংকুও, যার মানে মধ্য রাজ্য।
প্রধানত পর্যটনশিল্পের ক্ষেত্রে চীনের সাথে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য চুউগোকু অঞ্চলকে "সান্ইন্-সান্ইয়ো অঞ্চল" বলে উল্লেখ করা হয়। সান্ইন্ হল জাপান সাগরের উপকূলবর্তী উত্তরাঞ্চল, এবং সান্ইয়ো হল সেতো সাগরের উপকূলবর্তী দক্ষিণাঞ্চল।
ভূগোল
সম্পাদনাচুউগোকু অঞ্চলের অন্তর্গত বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল হিরোশিমা, য়ামাগুচি, শিমানে, ওকায়ামা ও তোত্তোরি। সমগ্র অঞ্চলটিই অসম ঢালু পাহাড়সঙ্কুল। কেন্দ্র থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে প্রসারিত দুটি পর্বতশ্রেণি দ্বারা অঞ্চলটিকে ভৌগোলিকভাবে পূর্বোক্ত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
চুউগোকু অঞ্চলের "রাজধানী" হিরোশিমা নগর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে পুনর্গঠিত হয়েছে, এবং বর্তমানে এটি একটি দশ লক্ষাধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ট শিল্পভিত্তিক মহানগর।
সেতো সাগরের মৎস্যশিল্প বর্তমানে অত্যধিক মাছ ধরা ও দূষণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।[৩] সান্ইয়ো অঞ্চলটি এমনিতে ভারী শিল্পকেন্দ্রিক, সান্ইন্ অঞ্চলে চাষ আবাদের উপর অধিক নির্ভরশীল অর্থনীতি পরিলক্ষিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ministry of Internal Affairs and Communications Statistics Bureau (২৬ অক্টোবর ২০১১)। "平成 22 年国勢調査の概要" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১২।
- ↑ Chugoku Regional Tourism Promotion Association "Overview of Chugoku Region" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে, Chugoku Regional Tourism Portal Site: Navigate Chugoku. Accessed 15 September 2013.
- ↑ IUPAC এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণাপত্র