চিত্রগুপ্ত
চিত্রগুপ্ত (সংস্কৃত: चित्रगुप्त) হলেন হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে বর্ণিত একজন হিন্দু দেবতা বিশেষ যিনি মর্ত্যের মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসাব রাখেন এবং কর্ম অনুসারে মানুষ কে স্বর্গ ও নরকে পাঠান। তিনি সৃষ্টির প্রথম ন্যায় ব্রহ্ম।
চিত্রগুপ্ত | |
---|---|
দেবনাগরী | चित्रगुप्त |
অন্তর্ভুক্তি | দেবতা |
মন্ত্র | ॐ श्री चित्रगुप्ताय नमः ওঁ শ্রী চিত্রগুপ্তায় নমঃ |
অস্ত্র | লেখনি (কলম), কাতনি (কালি) ও তলোয়ার |
সঙ্গী | দক্ষিণা নন্দিনী, ইড়াবতী শোভাবতী। |
ব্রহ্মার অঙ্গ থেকে চিত্রগুপ্তের জন্ম। ভগবান চিত্রগুপ্ত হলেন ব্রহ্মার সন্তান। সৃষ্টির নির্মাণের পর যখন মানুষের প্রাণ হরণ করার দায়িত্ব যমরাজ এর কাছে দেওয়া হয় তখন তিনি অস্বীকার করেন। তারপর ব্রহ্মা দীর্ঘ ১০হাজার বছর এর কঠোর তপস্যা করার পর ধ্যানমগ্ন ব্রহ্মার শরীর থেকে এক দিব্য পুরুষ হাতে কলম ,কালি এবং তলোয়ার নিয়ে প্রকট হয়। ব্রহ্মা বলেন হ্যা পুত্র তোমাকে আমি এই সৃষ্টির কল্যাণের জন্য আহ্বান করেছি। তুমি আমার কায়া অর্থাৎ শরীর থেকে জন্ম হয়েছো তাই তুমি হবে কায়স্থ।তোমার বংশধররা ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয় দুই বর্ণের অধিকারী হবে এবং কায়স্থ নামে পরিচিত হবে।।ভগবান চিত্রগুপ্ত এর সন্তান রায় বর্তমানে কায়স্থ নামে পরিচিত বাঙালি কায়স্থ দের মধ্যে রয়েছে- গুহ, নাহা, বসু, দাস, নাগ, ভদ্র, কর, ধর, দত্ত অবাঙালি কায়স্থ দের মধ্যে রয়েছে শ্রীবাস্তব, সাক্সেনা, ভট্টনগর, খারে ইত্যাদি।
ব্রহ্মা তাকে যমরাজের কাছে পাঠান এবং মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসাব রাখা এবং কর্ম অনুসারে মানুষ কে স্বর্গ, নরকে পাঠানোর দায়িত্ব প্রদান করেন।তিনি যমরাজ থেকে দশগুণ বেশি শক্তিশালী। ভাতৃদ্বিতীয়া র সময় ভগবান চিত্রগুপ্ত কে পূজা করা হয়। এবং সনাতনী শ্রাদ্ধে মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য পূজা করা হয় ভগবান চিত্রগুপ্ত এর।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ হাবিবুর রহমান প্রণীত, যার যা ধর্ম (ধর্ম বিষয়ক অভিধান)