চিন্ময় শংকর দে (জন্ম: ১৮ মার্চ ১৯৬১) হলেন একজন ভারতীয় আণবিক জীববিজ্ঞানী এবং দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কুসুমা স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক। তিনি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একজন জে.সি. বোস ন্যাশনাল ফেলো। তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী এবং ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইন্ডিয়া-র একজন নির্বাচিত সভ্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তার অসাধারণ অবদানের জন্য বৈজ্ঞানিক নীতি-নির্ধারন ও গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের শীর্ষ সংস্থা, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, তাকে ২০০৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার” প্রদান করে যা ভারতে বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণা ও অধ্যয়নে সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও তিনি জীবন উন্নয়নে জাতীয় জীববিজ্ঞান পদক লাভ করেন।

চিন্ময় শংকর দে
জন্ম (1961-03-18) ১৮ মার্চ ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন
পরিচিতির কারণমূত্র নিরোধক সম্পর্কিত গবেষণা
পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠানসমূহ

জন্ম ও শিক্ষাজীবনী সম্পাদনা

 
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

চিন্ময় দে ১৯৬১ সালের ১৮ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে একই প্রতিষ্ঠান হতে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] পরবর্তীতে, তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে তার ডক্টরেট অধ্যয়নের জন্য একজন রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানে গবেষণা পরবর্তীতে "Biochemical regulation of sperm motility" বিষয়ক তার থিসিস জমা দেন, যার ফলশ্রতিতে ১৯৯০ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] তিনি প্রাথমিকভাবে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসাবে এবং পরবর্তীতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসাবে বেইলর কলেজ অভ মেডিসিনে পোস্ট-ডক্টরাল পড়াশোনা করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৯২ সালে পোস্ট-ডক্টরাল সমাপ্তের পর ভারতে ফিরে এসে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজিতে পুল অফিসার হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন, কিন্তু সেখানে তিনি মাত্র দুই বছর চাকুরি করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ, মোহালিতে বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন যেখানে তিনি দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক (১৯৯৯–২০০২), অধ্যাপক (২০০২–২০১০) পদে অধিষ্ঠিত থাকার পাশাপাশি এবং ২০০৪ সালে তিনি বিভাগের প্রধান হন।

২০১০ সালে তিনি ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লির কুসুমা স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক এবং কেন্দ্রীয় গবেষণা ব্যবস্থার প্রধান[৪] হিসেবে যোগদানের জন্য নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরিত হন।[৫][৬] তিনি ইনসুলিন-প্রতিরোধী ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণায় জড়িত আইআইটি দিল্লির একটি পরীক্ষাগারের নেতৃত্ব দেন এবং অনেক পণ্ডিত এবং শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধান করেন।[৭] এছাড়াও তিনি মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এমডিআরএফ)-এ একজন ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Faculty Profile A" (পিডিএফ)। Bioschool, IIT Delhi। ২০১৭। ২৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৭ 
  2. "Faculty Profile B"। Bioschool, IIT Delhi। ২০১৭। 
  3. "Indian fellow"। Indian National Science Academy। ২০১৭। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "Contact Us"। Central Research Facility, IIT Delhi। ২০১৭। 
  5. "Faculty"। Bioschool, IIT Delhi। ২০১৭। 
  6. "Chinmoy Shankar Dey : Biological Sciences"। IIT Delhi। ২০১৭। 
  7. "Chinmoy S. Dey's Lab"। Bioschool, IIT Delhi। ২০১৭। 
  8. "MDRF honours IIT Delhi professor"। News 18। ২২ জুলাই ২০১১। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা