চার সাহাবি
চার সাহাবি কিংবা সাহাবার চার স্তম্ভ হল একটি শিয়া ইসলামি পরিভাষা যা চারজন সাহাবিকে ইঙ্গিত করে যাঁরা ইসলামের নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর পর আলী ইবনে আবী তালিবের প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত ছিলেন:[২][৩]
এই শ্রেষ্ঠ চারজনের মধ্যে সালমানকে সাধারণত মহত্তম গণ্য করা হয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, মুহাম্মদ (স:) বলছেন:[৪]
বিশ্বাসের দশটি মাত্রা রয়েছে। সালমান দশম (অর্থাৎ সর্বোচ্চ) মাত্রাধারী, আবু জর নবম এবং অষ্টম মাত্রায় রয়েছে মিকদাদ।
মুহাম্মদের সাহাবীদের মধ্যে যাঁরা আলীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাঁদের মুহাম্মদ জীবদ্দশাতেই শীʿআতু ʿআলী (شِيعَة عَلِيّ; আলীর দল) বলা হত।[৫] এই দলভুক্তদের সম্বন্ধেই জাবির আল-আনসারি থেকে নিম্নোক্ত হাদিসটি বর্ণিত হয়:[৬]
قَالَ رَسُولُ ٱللَّٰهِ (صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ): يَا عَلِيُّ أَبْشِرْ فَإِنَّكَ وَأَصْحَابُكَ وَشِيعَتُكَ فِي ٱلْجَنَّةِ
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সুসংবাদ হে আলী! নিশ্চয় তুমি, তোমরা সাহাবা এবং তোমরা শীʿআ জান্নাতবাসী হবে।”[৭][৮][৯][১০][১১][১২][১৩]
এই সাহাবিদের পরবর্তীতে প্রকৃত শিয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল৷[১৪] আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস,[৬] উবাই ইবনে কাব,[১৫] বিলাল ইবনে রাবাহ,[৫] মুহম্মদ ইবনে আবী বকর,[১৫] মালিক আল-আশতার,[১৬] এবং হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান[১৭][১৮] ছিলেন এই প্রকৃত শিয়াদের অন্তর্ভুক্ত। তবে চার সাহাবি তাঁদের আলীভক্তিতে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য অর্জন করেছিলেন।[৩][১৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।
- ↑ Ali, Abbas (সম্পাদক)। "Respecting the Righteous Companions"। A Shi'ite Encyclopedia। Ahlul Bayt Digital Islamic Library Project। ৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা – al-islam.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Ja'fariyan, Rasul (২০১৪)। "Umars Caliphate"। History of the Caliphs। CreateSpace Independent Publishing Platform। পৃষ্ঠা 290। আইএসবিএন 9781312541085 – books.google.com-এর মাধ্যমে। lay summary – alseraj.net।
Abu Hatin al-Razi says, "It is the appellation of those who were attached to Ali during the lifetime of the Messenger of Allah, such as Salman, Abu Dharr Ghifari, Miqdad ibn al-Aswad and Ammar ibn Yasir and others. Concerning these four, the Messenger of Allah had declared, 'The paradise is eager for four men: Salman, Abu Dharr, Miqdad, and Ammar.'"
[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ Rizvi, Saeed Akhtar (২০০১)। "Slaves in the History of Islam"। Slavery: Islamic & Western Perspectives। South Africa: Ahlul Bait (a.s.) Foundation of South Africa। পৃষ্ঠা 24 – books.google.com-এর মাধ্যমে। lay summary – alhassanain.org।
- ↑ ক খ Dabashi, Hamid (২০১৭)। "The foundations of Sunnite Authority: The Routinization of Charisma"। Authority in Islam: From the Rise of Mohammad to the Establishment of the Umayyads। Routledge। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 9781351317108 – books.google.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Ali, Abbas (সম্পাদক)। "The Term Shi'a in Qur'an and Hadith"। A Shi'ite Encyclopedia। Ahlul Bayt Digital Islamic Library Project। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা – al-islam.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ Ahmad ibn Hanbal, Fadha'il al-Sahaba, (Beirut) vol. 2, p. 655
- ↑ Abu Nu'aym al-Isfahani, Hilyat al-Awliya, vol. 4, p. 329
- ↑ Al-Khatib al-Baghdadi, Ta’rīkh Baghdād, (Beirut) vol. 12, p. 289
- ↑ Al-Tabarani, Al-Mu'jam al-Kabir, vol. 1, p. 319
- ↑ Nur al-Din al-Haythami, Majma al-Zawa'id, vol. 10, pp. 21-22
- ↑ Ibn Asakir, Ta'rikh Dimashq, vol. 42, pp. 331-332
- ↑ Ibn Hajar al-Haytami, Al-Sawa'iq al-Muhriqah, (Cairo) Ch. 11, section 1, p. 247
- ↑ ক খ Ja'fariyan, Rasul (১৯৯৬)। "Shi'ism and Its Types During the Early Centuries"। alseraj.net। ৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০।
- ↑ ক খ Shomali, Mohammad A (২০০৩)। "Origins of Shi'ism"। Shi'i Islam: Origins, Faith and Practices। ICAS Press। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 9781904063117 – books.google.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ al-Sayyid, Kamal। Malik al-Ashtar। Alyawy, Jasim কর্তৃক অনূদিত – al-islam.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ ibn Muhammad al-Daylami, Hasan। The Narration by Hudhayfah ibn al-Yamani। Abu Shahaba, Jerrmein কর্তৃক অনূদিত। ১১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২০ – al-islam.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Hudhayfah ibn al Yaman, the famous companion of the Prophet"। ১১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২০।