চণ্ডীগড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
চণ্ডীগড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: আইএক্সসি, আইসিএও: ভিআইসিজি) হল একটি শুল্ক বিমানবন্দর এবং এটি ভারতের চণ্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, পাঞ্জাব রাজ্যের মোহালি ও হরিয়ানা রাজ্যের পাঁচকুলা শহরে উড়ান পরিষেবা প্রদান করে।[৪] বিমানবন্দরের রানওয়েটি চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত, যেখানে টার্মিনালটি রানওয়ের দক্ষিণ দিকে মোহালির ঝিউরহেরি গ্রামে অবস্থিত।[৫] এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ২০২০ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরটিকে সেরা বিমানবন্দর হিসাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
চণ্ডীগড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ਚੰਡੀਗੜ੍ਹ ਕੌਮਾਂਤਰੀ ਹਵਾਈ ਅੱਡਾ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সামরিক ও বেসামরিক | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবাহিনী/ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | চণ্ডীগড়, মোহালি ও পাঁচকুলা | ||||||||||
অবস্থান | চণ্ডীগড় ও মোহালি (পাঞ্জাব), ভারত | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১,০৩০ ফুট / ৩১৪ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ৩০°৪০′২৪″ উত্তর ০৭৬°৪৭′১৯″ পূর্ব / ৩০.৬৭৩৩৩° উত্তর ৭৬.৭৮৮৬১° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০২০ - মার্চ ২০২১) | |||||||||||
| |||||||||||
ইতিহাস
সম্পাদনাচণ্ডীগড় বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমানবাহিনী স্টেশনের বেসামরিক ছিটমহল থেকে সমস্ত বেসামরিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ১৯৭০-এর দশকে চণ্ডীগড় ও দিল্লির মধ্যে উড়ান পরিচালনা শুরু করেছিল। বেসামরিক ছিটমহলে একটি নতুন বিমানবন্দর ভবন নির্মাণ করা হয় এবং এটি ২০১১ সালের ১৪ই এপ্রিল খোলা হয়।[৬] এই টার্মিনাল ভবনটিকে ২০১১ সালের ১৯শে আগস্ট শুল্ক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়, এটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য যোগ্য করে তোলে, কিন্তু এই টার্মিনাল থেকে কখনো কোনো আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালিত হয়নি।[৭]
পাঞ্জাব সরকার ২০০৮ সালে নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ₹৪৫২ কোটি (₹১১ বিলিয়ন বা ২০২০ সালে ইউএস$১৪০ মিলিয়নের সমতুল্য) খরচ করে ঝিউরহেরি গ্রামে বিদ্যমান রানওয়ের দক্ষিণ দিকে ৩০৪.০৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে, যা ₹৯৩৯ কোটি (₹১২ বিলিয়ন বা ২০২০ সালে ইউএস$১৬০ মিলিয়নের সমতুল্য) ব্যয়ে ২০১৫ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।[৮][৯][১০] নতুন টার্মিনাল ভবনে পাঞ্জাব সরকার ও হরিয়ানা সরকারের প্রত্যেকের ২৪.৫% অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট অবশিষ্ট ৫১% অংশীদারিত্ব রয়েছে।[১১]
মোহালি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বিমানবন্দরে ₹১,৪০০ কোটি (₹১৮ বিলিয়ন বা ২০২০ সালে ইউএস$২৪০ মিলিয়নের সমতুল্য) ব্যয় করার পরে আন্তর্জাতিক উড়ান না চালানোর জন্য ২০১৫ সালের ২৪শে ডিসেম্বর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করে। বিমানবন্দর।[১২][১৩] পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বহু শুনানি ও দীর্ঘ অপেক্ষার পর, ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস যথাক্রমে দুবাই ও শারজাহ যাওয়ার থেক উড়ান শুরু করেছিল।[১৪][১৫]
নতুন টার্মিনালটি সেক্টর ১৭-এর চণ্ডীগড় সিটি সেন্টার থেকে ১৪ কিমি (৮.৭ মাইল) দূরে অবস্থিত।
সু্যোগ-সুবিধা
সম্পাদনাটার্মিনাল
সম্পাদনানতুন টার্মিনাল ভবনটি ২০১৫ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। এই নতুন পরিবেশ-বান্ধব টার্মিনালটি লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।[১৬] বোটানিক্যাল গার্ডেনের অনুভূতি প্রদানের জন্য বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে গাছপালা রয়েছে। এটি পাঞ্জাবের ঝিউরহেরি গ্রামে অবস্থিত[১৭] এবং ২০১৫ সালের ১৯শে অক্টোবর চালু হয়েছিল।
পুরাতন অভ্যন্তরীণ টার্মিনালটি এখন ভিআইপি ও একটি ফ্লাইং ক্লাবের জন্য ব্যবহার করা হবে। নতুন টার্মিনাল নির্মাণের মধ্যে টার্মিনাল ও কার্গো কমপ্লেক্সে দুটি সংযুক্তকারী ট্যাক্সিওয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল। টার্মিনালে উড়োজাহাজের জন্য সরাসরি সংযোগকারী চারটি অ্যারো ব্রিজ বিশিষ্ট পার্কিংয় অ্যাপ্রোন ও আটটি দূরবর্তী পার্কিং স্ট্যান্ড রয়েছে। প্রস্থান এলাকা প্রথম তলায় এবং আগমন এলাকা নিচ তলায় অবস্থিত। ৫৩,০০০ বর্গ মিটার আয়তনের টার্মিনালের প্রথম ধাপে একই সময়ে ১,৬০০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা এবং ১৫৯ টি গাড়ির জন্য পার্কিং এলাকা রয়েছে। এটি একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নয়, তবে বর্তমান ভারতীয় বিমানবাহিনী ঘাঁটির রানওয়ে ব্যবহার করে।[১৮]
পার্কিং এলাকায় একটি এটিএম, টার্মিনালের ভিতরে ওয়াইফাই এবং প্রস্থান এলাকায় একটি শুল্ক-মুক্ত দোকান রয়েছে।[১৯][২০] বিমানবন্দরের সুবিধাসমূহ সিএইচআইএএল (চন্ডিগড় ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড) দ্বারা পরিচালিত হয়, কিন্তু বিমানবন্দরের নিজস্ব কোনো দাপ্তরিক ওয়েবসাইট নেই।
বিমান এবং গন্তব্যস্থল
সম্পাদনাযাত্রী
সম্পাদনাবিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া | বেঙ্গালুরু |
এয়ার ইন্ডিয়া | দিল্লি |
গো এয়ার | মুম্বই |
ইণ্ডিগো | বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বই, শ্রীনগর, হায়দ্রাবাদ |
স্পাইসজেট | দিল্লি, শ্রীনগর |
Vistara | দিল্লি, হায়দ্রাবাদ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Annexure III - Passenger Data" (পিডিএফ)। www.aai.aero। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Annexure II - Aircraft Movement Data" (পিডিএফ)। www.aai.aero। ১ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Annexure IV - Freight Movement Data" (পিডিএফ)। www.aai.aero। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Demanding int'l flights, Mohali industry body moves HC"। hindustantimes.com। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ India (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Land gone, Jheurheri villagers set up hotels near Chandigarh airport"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "The Tribune, Chandigarh, India - Chandigarh Stories"। Tribuneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "The Tribune, Chandigarh, India - Chandigarh Stories"। www.tribuneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "PM Narendra Modi inaugurates new terminal at Chandigarh airport - The Economic Times"। indiatimes.com।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "The Tribune, Chandigarh, India - Main News"। www.tribuneindia.com। ৪ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "PM inaugurates new terminal at Chandigarh airport"। Trinuneindia News Service। ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ The Tribune Chandigarh, Tribune News। "Mohali Industries Assn files PIL against Centre"। tribuneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ The Tribune Chandigarh, Tribune News। "Shut airport, if you can't make it operational: HC"। tribuneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Air India Express launches services to Dubai and Sharjah"। Gulf Business (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "IndiGo to start Chandigarh-Dubai flights from September"। www.businesstoday.in। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "India Has a New Eco-Friendly Airport Terminal. And It Is More than Just Amazing! - The Better India"। The Better India। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "PM Narendra Modi inaugurates new terminal at Chandigarh airport"। businesstoday.in।
- ↑ "Punjabnewsline.com"। Punjabnewsline.com। ১৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ NYOOOZ (২৫ জুন ২০১৭)। "Chandigarh International Airport: Two years after inauguration, new terminal to get Wi-Fi facility | CHANDIGARH NYOOOZ"। Nyoooz.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ Balachandran, Vappala (১৯ জুলাই ২০১৮)। "Airport gets another duty-free shop"। Tribuneindia.com। ২৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।