চট্টগ্রামের সেনা বিদ্রোহ ১৯৭১

চট্টগ্রামের সেনা বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এই বিদ্রোহে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম শহর এলাকায় অবস্থিত ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস্-এর অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ মধ্য রাতে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙ্গালী নিধনের উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম শহরে বাঙ্গালী সেনাদের বিদ্রোহ শুরু হয়। সেনা বিদ্রোহের একমাত্র শাস্তি ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড জেনেও সাহসী বাঙ্গালী সেনাধ্যক্ষ এবং সৈনিকেরা মানসিকভাবে এই বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২৫শে মার্চ রাতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির আলামত পাওয়া গেলে ডিউটি অফিসার অলি আহমদ বাঙ্গালী সহকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ সময় মেজর জিয়াউর রহমান স্বীয় ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক নির্দেশে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। মেজর জিয়াকে সকল বিষয় অবহিত করার জন্য ক্যাপ্টেন খালেককে প্রেরণ করা হয়। দেওয়ান হাট রেলক্রসিংয়ের নিকট মেজর জিয়াউর রহমান আসন্ন বিপদ সম্পর্কে অবহিত হয়ে তৎক্ষণাৎ প্রত্যাবর্তন করেন এবং আনুমানিক রাত ১১:৪৫ মিনিটে সেনাসদরে পৌঁছানোর পর হাতে অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বন্দী করতে শুরু করেন। অন্যান্যদের সঙ্গে স্বীয় কম্যন্ডিং অফিসার কর্ণেল জানজুয়াকে বন্দীকে করে নিয়ে আসেন মেজর জিয়াউর রহমান। [১] এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের নিকটবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম সেনা বিদ্রোহের সূচনা হয়।

বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ’’রাষ্ট্রবিপ্লব’’, ড. অলি আহমদ, অন্বেষা প্রকাশন,ঢাকা, প্রকাশকাল ২০০৮, পৃ. ১৩২-১৩৪

আরো দেখুন সম্পাদনা

বহি:সংযোগ সম্পাদনা