ঘনিয়া
ঘনিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo boggut) (ইংরেজি: boggut Labeo) হচ্ছে সাইপ্রিনিডে (Cyprinidae) পরিবারের লেবিও (Labeo) গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
ঘনিয়া Labeo boggut | |
---|---|
মাছটির চিত্র | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী |
পর্ব: | মেরুদণ্ডী |
উপপর্ব: | কশেরুকা |
মহাশ্রেণী: | অস্টেইচথিয়েস |
শ্রেণী: | অ্যাক্টিনোপটেরিজি |
বর্গ: | সাইপ্রিনিফর্মস |
পরিবার: | সাইপ্রিনিডে |
গণ: | লেবিও |
প্রজাতি: | লেবিও বগাট /Labeo boggut |
দ্বিপদী নাম | |
Labeo boggut (সাইকস, ১৮৩৯) | |
প্রতিশব্দ | |
Tylognathus striolatus Günther, 1868[২] |
বর্ণনা
সম্পাদনাঘনিয়া মাছের পৃষ্ট দেশ অঙ্কীয়দেশ তুলনায় কিছুটা উত্তল। তুণ্ড পুরু এবং অল্প সংখ্যক ছিদ্র বিদ্যমান। মুখের হা মধ্যম আকারের। এক জোড়া খর্বাকার স্পর্শী উপরের চোয়ালে অবস্থিত। তুণ্ডে কয়েকটি ছিদ্র উপস্থিত। পার্শ্বরেখা সামান্য অবতল ও দেহের উভয় পাশে মাঝ বরাবর অস্থান করে। পার্শ্বরেখা সম্পূর্ণ অর্থাৎ কানকোর পর থেকে পুচ্ছপাখনার গোড়া পর্যন্ত বিস্তৃত। চোখ দুটি বড় আকৃতির। এদের দেহের উভয় পাশ রূপালি বর্ণের। পৃষ্ঠদেশ কালচে। পুচ্ছপাখনার গোড়ায় একটি গাঢ় কালো দাগ উপস্থিত। পাখনাসমূহ কমলা বর্ণের।[৪]
স্বভাব ও আবাস্থল
সম্পাদনাএই প্রজাতির মাছ প্রধানত নদী ও হ্রদে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে হাওর এলাকায় এই মাছ প্রাপ্তির তথ্য পাওয়া যায়। জলাশয়ের উপরিভাগ ও তলদেশ উভয় স্থানেই এদের দেখতে পাওয়া যায়।
খাদ্যাভ্যাস
সম্পাদনাঘনিয়া মাছ প্রধানত উদ্ভিদকণা গ্রহণ করে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
সম্পাদনাবাংলাদেশে একক প্রজাতি হিসেবে এই মাছের উৎপাদন তথ্য পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে বিরল প্রজাতির যত মাছ আছে তার মধ্যে এর অবস্থান প্রথম দিকে। এই মাছকে কৃত্রিম প্রজননসহ ও চাষের আওতায় আনা সম্ভব হলে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় তেমনই মৎস্য উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।
বিস্তৃতি
সম্পাদনাবাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এ মাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে এ মাছ উত্তর ভারত থেকে কাবেরী নদী অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
সম্পাদনাআইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সম্পর্কে বাংলাদেশে উপাত্তের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Hypophthalmichthys molitrix"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2011। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Menon, A.G.K. (1999) Check list - fresh water fishes of India., Rec. Zool. Surv. India, Misc. Publ., Occas. Pap. No. 175, 366 p.
- ↑ Talwar, P.K. and A.G. Jhingran (1991) Inland fishes of India and adjacent countries. vol 1., A.A. Balkema, Rotterdam. 541 p.
- ↑ ক খ মহসিন, এ বি এম (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৮০–৮১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।