গ্লিওমা
গ্লিওমা হচ্ছে এক প্রকার টিউমার যা মস্তিষ্কের বা মেরুদণ্ডের গ্লিয়াল কোষ থেকে সৃষ্ট।[১] মস্তিষ্কের ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিউমারের মধ্যে গ্লিওমার পরিমাণ প্রায় ৩০%, এবং মস্তিষ্কের সকল ম্যালিগনান্ট টিউমারের মধ্যে প্রায় ৮০%।[২]
গ্লিওমা | |
---|---|
মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যানে বাম প্যারিয়েটাল লোবে গ্লিওমা, ডব্লিউএইচও গ্রেড ২ | |
বিশেষত্ব | ক্যান্সারবিজ্ঞান, স্নায়ুচিকিৎসাবিজ্ঞান, স্নায়ুশল্যচিকিৎসা |
লক্ষণ ও উপসর্গ
সম্পাদনাগ্লিওমার লক্ষণ নির্ভর করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কোন অংশটি এই ধরনের টিউমার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরের গ্লিওমার ফলে মাথাব্যথা, বমি ভাব, খিচুনি, এবং মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ তৈরিতে সৃষ্ট ক্রেনিয়াল স্নায়ুর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। অপটিক নার্ভে সৃষ্ট গ্লিওমা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসে ভূমিকা রাখে। সুষুম্নাকাণ্ডের গ্লিওমা ব্যথা, দুর্বলতা, বা অসাড়তার কারণ হতে পারে। গ্লিওমা সাধারণত রক্তের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে (মেটস্ট্যাসাইজ) না, তবে সেরেব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের মাধ্যমে গ্লিওমা সুষুম্নাকাণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা ইংরেজিতে ‘ড্রপ মেটাস্ট্যাসিস’ (ইংরেজি: drop metastases) নামে পরিচিত।
চিকিৎসা
সম্পাদনামস্তিষ্কের গ্লিওমার চিকিৎসা এর অবস্থা, কোষের ধরন, এবং ম্যালিগন্যান্সির গ্রেডের ওপর নির্ভর করে। প্রায় সময়ই চিকিৎসা অস্ত্রোপচার, রেডিয়েশন থেরাপি, ও কেমোথেরাপির সমন্বয়ে করা হয়। বাহ্যিক বিমের মাধ্যমে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করা বা স্টেরিওট্যাকটিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রেডিয়েশন থেরাপি প্রদান করা হয়। সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমারের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ও তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়। টেমোযলোমাইড নামক কেমোথেরাপির ওষুধ সফলভাবে রক্ত-মস্তিষ্কের বাধ সফলভাবে অতিক্রম করতে পারায় তা উচ্চ গ্রেডের টিউমারের চিকিৎসায় তা ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Mamelak AN, Jacoby DB (মার্চ ২০০৭)। "Targeted Delivery of Antitumoral Therapy to Glioma and Other Malignancies with Synthetic Chlorotoxin (TM-601)": 175–86। ডিওআই:10.1517/17425247.4.2.175। পিএমআইডি 17335414।
- ↑ Goodenberger ML, Jenkins RB (২০১২)। "Genetics of adult glioma": 613–21। ডিওআই:10.1016/j.cancergen.2012.10.009। পিএমআইডি 23238284।