ম্যারি উইলি গ্রেস মুর (৫ ডিসেম্বর ১৮৯৮ - ২৬ জানুয়ারি ১৯৪৭) ছিলেন একজন মার্কিন সোপরানো ও অভিনেত্রী।[১] "টেনেসির বুলবুলি" নামে পরিচিত মুর তার চলচ্চিত্র দিয়ে অধিকতর দর্শকের কাছে গীতিনাট্যকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তিনি ওয়ান নাইট অব লাভ (১৯৩৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

গ্রেস মুর
Grace Moore
১৯৩৩ সালে গ্রেস মুর
জন্ম
ম্যারি উইলি গ্রেস মুর

(১৮৯৮-১২-০৫)৫ ডিসেম্বর ১৮৯৮
মৃত্যু২৬ জানুয়ারি ১৯৪৭(1947-01-26) (বয়স ৪৮)
সমাধিফরেস্ট হিলস সেমাট্রি, টেনেসি
মাতৃশিক্ষায়তনওয়ার্ড-বেলমন্ট কলেজ
পেশাঅভিনেত্রী, সোপরানো
কর্মজীবন১৯২০-১৯৪৭
দাম্পত্য সঙ্গীভালেন্তিন পারেরা
(বি. ১৯৩১; মৃ. ১৯৪৭)

মুর ১৯৪৭ সালে ৪৮ বছর বয়সে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ইউ আর অনলি হিউম্যান ওয়ান্স নামে একটি আত্মজীবনী প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে তার জীবনের উপর ভিত্তি করে সো দিস ইজ লাভ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মুর ১৮৯৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর টেনেসি অঙ্গরাজ্যের কোক কাউন্টির স্ল্যাবটাউন সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রিচার্ড লসন মুর এবং মাতা টেসা জেন (বিবাহপূর্ব স্টোকলি)। তার যখন দুই বছর বয়স তখন তারা সপরিবারে নক্সভিলে চলে যান।[২] নক্সভিলে কয়েক বছর থাকার পর তারা পুনরায় টেনেসির জেলিকো চলে যান, সেখানে মুর তার কিশোর বয়স কাটান। জেলিকোতে মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর তিনি ন্যাশভিলের ওয়ার্ড-বেলমন্ট কলেজে কিছুদিন পড়াশোনা করেন।[৩] এরপর তারা ওয়াশিংটন, ডি.সি. ও পরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যান এবং তার সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান ও তার কর্মজীবন শুরু করেন।[৩] তার প্রথম পারিশ্রমিক প্রাপ্ত কাজ ছিল গ্রিনউইচ গ্রামের ব্ল্যাক ক্যাট কেফেতে সঙ্গীত পরিবেশনা।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

সবাক চলচ্চিত্র যুগের শুরুর দিকে হলিউডের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মুর ১৯৩০ সালে আ লেডিস মোরালস চলচ্চিত্রে জেনি লিন্ড চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। আরভিং থালবার্গ প্রযোজিত মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন সিডনি ফ্র্যাঙ্কলিন[৪] একই বছর তিনি পুনরায় এমজিএমের প্রযোজনায় লরেন্স টিবেটের সাথে নিউ মুন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি সিগমুন্ড রোমবার্গের গীতিনাট্য দ্য নিউ মুন-এর প্রথম চলচ্চিত্র সংস্করণ। কয়েক বছরের চলচ্চিত্র বিরতির পর তিনি কলাম্বিয়া পিকচার্সের ওয়ান নাইট অব লাভ (১৯৩৪) দিয়ে চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু সম্পাদনা

মুর ১৯৩১ সালের ১৫ই জুলাই কানে স্পেনীয় অভিনেতা ভালেন্তিন পারেরার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের কোন সন্তান ছিল না। ১৯৩০-এর দশকে হলিউড, কান ও কানেটিকাটে তাদের বাড়ি ছিল।

গ্রেস মুর ১৯৪৭ সালের ২৬শে জানুয়ারি কোপেনহেগেন বিমানবন্দরের নিকটে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। এই দুর্ঘটনায় সুইডেনের যুবরাজ গুস্তাফ আডলফও মারা গিয়েছিলেন।[৫] তাকে ফরেস্ট হিলস সেমাট্রিতে সমাহিত করা হয়।

চলচ্চিত্রের তালিকা সম্পাদনা

বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম ভূমিকা পরিচালক টীকা
১৯৩০ আ লেডিস মোরালস জেনি লিন্ড সিডনি ফ্র্যাঙ্কলিন পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্য ও ফরাসি ভাষার সংস্করণে জেনি লিন্ড শিরোনামে মুক্তি পায়
১৯৩০ নিউ মুন যুবরাজ্ঞী তানিয়া স্ত্রগফ জ্যাক কনওয়ে
১৯৩৪ ওয়ান নাইট অব লাভ ম্যারি বেরেট ভিক্টর শার্টজিঞ্জার মনোনীত - শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার
১৯৩৫ লাভ মি ফরেভার মার্গারেট হাওয়ার্ড ভিক্টর শার্টজিঞ্জার
১৯৩৬ দ্য কিং স্টেপস আউট যুবরাজ্ঞী এলিজাবেথ ইয়োসেফ ফন স্টার্নবার্গ
১৯৩৭ হোয়েন ইউর ইন লাভ লুইস ফুলার রবার্ট রিসকিন
১৯৩৭ আইল টেক রোম্যান্স এলসা টেরি এডওয়ার্ড এইচ. গ্রিফিথ
১৯৩৯ লুইস লুইস আবেল গঁস ফরাসি ভাষার চলচ্চিত্র

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "অবিচুয়ারি", ভ্যারাইটি, ২৯ জানুয়ারি ১৯৪৭, পৃষ্ঠা ৪৮।
  2. নিলি, জ্যাক (২০০৩)। "Grace Under Pressure." From the Shadow Side। ওক রিজ, টেনেসি: টেলিকো বুকস, পৃষ্ঠা ১৬৭–১৭৪।
  3. জেপ, জর্জ (২৬ এপ্রিল ২০০৬)। "Opera star trained at Ward-Belmont"দ্য টেনেসিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২০ 
  4. New York Times, "A Lady's Morals a.k.a Jenny Lind" and Mordant Hall, "The Swedish Nightingale ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-০৫-১০ তারিখে", New York Times, November 8, 1930.
  5. "Prince and opera star killed in plane crash"অটোয়া সিটিজেনএসোসিয়েটেড প্রেস। ১৪ মার্চ ১৯৫৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা