গোবর্ধন মঠ
গোবর্ধন মঠ হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরে অবস্থিত একটি হিন্দু মঠ। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত।[২] খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আদি শঙ্কর যে চারটি প্রধান মঠ স্থাপন করেছিলেন, তার একটি হল এই গোবর্ধন মঠ। এই মঠে জগন্নাথ (ভৈরব) ও বিমলা (ভৈরবী) পূজা হয়। এই মঠের মহাবাক্য হল "প্রজ্ঞানম্ ব্রহ্ম"। মঠের গোবর্ধননাথ কৃষ্ণ ও অর্ধনারীশ্বর শিবের বিগ্রহ আদি শঙ্কর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
নীতিবাক্য | Prajñānam brahma (Consciousness is supreme being) |
---|---|
গঠিত | 483 BCE [note ১] |
প্রতিষ্ঠাতা | Adi Shankara |
ধরন | Religious |
অবস্থান |
|
First Shankaracharya | Padmapadacharya |
Present Shankaracharya | Swami Nischalananda Saraswati |
ওয়েবসাইট | https://govardhanpeeth.org/ |
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাখ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে বৈদিক ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য আদি শঙ্কর যে চারটি প্রধান মঠ স্থাপন করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হল গোবর্ধন মঠ।[৩] এই চারটি মঠের দায়িত্বে ছিলেন আদি শঙ্করের চার প্রধান শিষ্য পদ্মপাদ, হস্তামলক, সুরেশ্বর ও তোটক। এই চারটি মঠ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের চারটি প্রধান ধর্মশিক্ষা কেন্দ্র।[৪] চার মঠের মঠাধ্যক্ষকে "শঙ্করাচার্য" উপাধিতে সম্বোধন করার প্রথা রয়েছে।[৫] তাঁরা দশনামী সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ধর্মগুরু এবং অদ্বৈত বেদান্তের রক্ষক।[৫] এই চারটি মঠ পুরী (ওড়িশা), শৃঙ্গেরি (কর্ণাটক), দ্বারকা (গুজরাত) ও জ্যোতির্মঠে (উত্তরাখণ্ড) অবস্থিত।[৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাপদ্মপাদ গোবর্ধন মঠের প্রথম মঠাধ্যক্ষ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে এই মঠের যোগ ঐতিহাসিক।[২] ১৯২৫ সালে দ্বারকা মঠের প্রধান ভারতীকৃষ্ণ তীর্থ গোবর্ধন মঠের মঠাধ্যক্ষ হন।[২] ১৯৬০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর যোগেশ্বরানন্দ তীর্থ মঠাধ্যক্ষ হন। ১৯৬১ সালে তিনিও মারা যান। এরপর ১৯৬৪ সালে ভারতীকৃষ্ণ তীর্থের ইচ্ছাপত্র থেকে নিরঞ্জনদেব তীর্থের নাম উদ্ধৃত করে দ্বারকা মঠের অঘিনব সচ্চিদানন্দ তীর্থ তাঁকে মঠাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন।[২] ১৯৯২ সালে নিশ্চলানন্দ সরস্বতীকে মনোনীত করে তিনি মঠাধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।[২][৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ govardhanpeeth.org
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Unknown author (May 5, 1999) archived here (Accessed: 2012-08-30) or here[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] The Monastic Tradition] Advaita Vedanta web page, retrieved August 28, 2012
- ↑ Pasricha, Prem C. (1977) The Whole Thing the Real Thing, Delhi Photo Company, p. 59-63
- ↑ Love and God, Maharishi Mahesh Yogi, Age of Enlightenment Press, 1973 p. 9
- ↑ ক খ গ Unknown author (2005) Indology ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে The Jyotirmaṭha Śaṅkarācārya Lineage in the 20th Century, retrieved August 4, 2012
- ↑ (1994)SUNY PRess, A Survey of Hinduism By Klaus K. Klostermaier
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি