গেসুদারাজ প্রথম শায়খুল মাশায়েখ সৈয়দ মুহাম্মদ গেসুদারাজ বিন সৈয়দ আবদুল গাফফার ৩৯০ হিজরিতে বাগদাদের (বর্তমানে কিরগিজস্তান) উপকন্ঠ থেকে সুলাইমান পর্বতে আসেন এবং বার্মালে বসতি স্থাপন করেন যেখানে ইতিমধ্যেই ঘোরগাশত এবং শিরানী কায়সি পাঠানরা বসতি স্থাপন করেছিল।[১] তারিখ আফগানাহ এবং আনসাবের করণে সৈয়দ মুহাম্মদকে গেসুদারাজ হিসেবে স্মরণ করা হয়েছে।[২] সেই সময়ে তার লম্বা চুলের জন্য তিনি গেসুদারাজ নামে খ্যাত হন।[৩][১] তিনি কাকার, শেরানি এবং কার্লানি (লুকমানি) উপজাতির তিন নারীকে বিয়ে করেছিলেন, যাদের সাথে তার চারটি সন্তান ছিল।[৪] তিনি মুক্তাদর আব্বাসির শাসনামলে দেশান্তরিত হন। তিনি ছিলেন গজনীর বিখ্যাত বাদশাহ সুলতান মাহমুদের পারিবারিক পরামর্শদাতা। তিনি খাকসরিয়া সিলসিলার বড় সাধক এবং তার উপাধি চেরাগ আলী শাহ।[৫][৬]

মীর শায়খুল মাশায়েখ

সৈয়দ মুহাম্মদ

গেসুদারাজ প্রথম
লাল মাহারা (মীরান সমাধি)
জন্ম৩৭১ হিজরি | ৯৮১ সাল
মৃত্যু৪৩৭ হিজরি | ১০৪৫ হিজরি
উপাধিচিরাগ আলী শাহ
সন্তানসৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (পুত্র)
মীর সৈয়দ মুহাম্মদ সানী (পুত্র)
মীর সৈয়দ ফখরুদ্দিন মুহাম্মদ হানি (পুত্র)
মীর সৈয়দ নুরুদ্দিন আব্বাস (পুত্র)

জন্ম সম্পাদনা

তিনি বাগদাদের ওশ শহরে ৩৭১ হিজরি মোতাবেক ৯৮১ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন।[১]

নাম এবং বংশ পরিচয় সম্পাদনা

তার নাম সৈয়দ মুহাম্মদ,[৪] [৭] উপাধি গেসুদারাজ প্রথম, চেরাগ আলী শাহ (খাকসরিয়া সিলসিলা)[৮] [৪] [৯] [৭] [২] এবং শায়খুল মাশায়েখ,[১০] তিনি হোসাইনি জাফরি আরাজি সৈয়দ বংশের। তার পূর্বপুরুষরা ইরাক, সিরিয়া এবং কিরগিজস্তান হয়ে ওশে চলে যান। তিনি আফগানিস্তানের (বর্তমানে পাকিস্তান) বার্মালের কাছে সুলাইমান পর্বতে পৌঁছান। [১]

বংশপরিচয়: শায়খুল মাশায়েখ মুহাম্মদ গেসুদারাজ বিন সৈয়দ আবদুল গাফফার (মুহাম্মদ সৈয়দ ঘোর নামে পরিচিত) বিন সৈয়দ উমর আল-ওয়াশি বিন সৈয়দ হাসান আল-ফাতিহ বিন আবি আল-হাসান আলী কাব সানি বিন সৈয়দ হোসাইন (সৈয়দ কাফ নামে পরিচিত) বিন আবি জিন সৈয়দ আলী (সৈয়দ কায়েন নামে পরিচিত) বিন সৈয়দ মুহাম্মদ শাহরানী (যিনি সৈয়দ রিজাল নামে পরিচিত) বিন সৈয়দ আলী বিন ইসমাইল আল-আরজ বিন ইমাম জাফর সাদিক[১১] [৯] [৪] [১]

তার চারজন ছেলে ছিল। সৈয়দ আহমদ সাইফুদ্দিন (তার মা তারান উপজাতির) যিনি মাশওয়ানিদের দাদা, সৈয়দ মোহাম্মদ সানি (তার মা শিরানী উপজাতির) যিনি ইশতারানিদের দাদা, সৈয়দ নূরুদ্দীন আব্বাস এবং সৈয়দ ফখরুদ্দিন মুহাম্মদ (তাদের মা কার্লানি উপজাতির) যাদের উত্তরাধিকারী যথাক্রমে ওয়ারদাগ ও হানি। তার বংশধররা ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, মিশর, চীনে রয়েছে। তার বংশধরদের মধ্যে অনেকেই পশতুন এলাকায় আফগান জীবনযাপন করে। [১২] [৯] [১]

তিনি আফগানদের মধ্যে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি উপজাতির বংশগত প্রধান হিসাবে পরিচিত। [১২] [৯] [৪] [১] [৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. میر سید ثاقب عماد الحسینی، گلدستۂ عقائد و حقائق روحانی، باب شیخ المشائخ سید محمد حمزہ و اجداد و احفاد
  2. خواجہ نعمت اللہ ہروی، تاریخ خان جہانی مخزن افغانی، 1610 ء
  3. لطائف اشرفی حصہ اول، سید اشرف جہانگیر سمنانی، اشرفی انٹر پرائزر کراچی پاکستان
  4. سید عمر خطاب شاہ مشوانی، خطاب مشوانی، ص223
  5. مبانى سلوك درسلسلة خاكسارجلالى وتصوف، حسين ّ منجمى
  6. Dorn, Bernhard (১৮২৯)। History of the Afghans, , (English translation of Tarikh-i-khan jahani makhzan-i-Afghani), Volume 2। London। পৃষ্ঠা 56–57। 
  7. خواجہ عطاءاللہ کرمانی، روضہ الاحباب
  8. آغا عبدالحلیم اثر افغانی، روحانی رابطہ او روحانی تڑون، ص390
  9. تاریخ مرصع، افضل خان خٹک
  10. قطب الاقطاب شیخ سید آدم بنوری، مقدمہ، نکات الاسرار، ص3
  11. سید یوسف شاہ، حالات مشوانی مطبوعہ 1930 لاہور، ص97-102
  12. قطب الاقطاب شیخ سید آدم بنوری، نکات الاسرار