গুহ্যগর্ভতন্ত্র
গুহ্যগর্ভতন্ত্র বা র্গ্যুদ্ থম্স্ চদ্ ক্যি র্গ্যল্ পো দ্পল্ স্গ্যু 'ফ্রুল্ র্ৎস ব'ই র্গ্যুদ্ গ্সঙ্ ব স্ঞিঙ্ পো (তিব্বতি: རྒྱུད་ཐམས་ཅད་ཀྱི་རྒྱལ་པོ་དཔལ་སྒྱུ་འཕྲུལ་རྩ་བའི་རྒྱུད་གསང་བ་སྙིང་པོ, ওয়াইলি: rgyud thams cad kyi rgyal po dpal sgyu 'phrul rtsa ba'i rgyud gsang ba snying po) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের র্ন্যিং-মা ধর্মসম্প্রদায়ের মহাযোগ যানের মূল তন্ত্র।
ইতিহাস
সম্পাদনামহাসিদ্ধ কুকুরাজার নিকট হতে গুহ্যগর্ভতন্ত্র সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন প্রহেবজ্র।[১] পরবর্তীকালে বিমলমিত্রের নির্দেশে র্মা-রিন-ছেন-ম্ছোগ এবং জ্ঞানকুমার সংস্কৃত থেকে এই তন্ত্র তিব্বতী ভাষায় অনুবাদ করেন।
টীকাভাষ্য
সম্পাদনাবহু ভারতীয় ও তিব্বতী বৌদ্ধ পণ্ডিত এই তন্ত্র সম্বন্ধে টীকা ভাষ্য রচনা করেন। ভারতীয় পণ্ডিত বিলাসবজ্র গুহ্যগর্ভমহাতমতন্ত্ররাজিকা নামক যে টীকা রচনা করেন তা তিব্বতী ভাষায় দ্পাল-গ্সাং-বা-স্ন্যিং-পো'ই-'গ্রেল-পা-রিন-পো-ছে'ই-স্পার-খাব-স্লোব-দ্পোন-স্গেগ-পা'ই-র্দো-র্জেস-ম্দ্জাদ-পা (ওয়াইলি: dpal gsang ba snying po’i ’grel pa rin po che’i spar khab slob dpon sgeg pa'i rdo rjes mdzad pa) নামে অনূদিত হয়। বিখ্যাত পণ্ডিত বিমলমিত্র এই তন্ত্রের ওপর দুইটি টীকাভাষ্য রচনা করেন যা তিব্বতীতে র্দো-র্জে-সেম্স-দ্পা'ই-স্গ্যু-'ফ্রুল-দ্রা-বা'ই-র্গ্যুদ-দ্পাল-গসাং-বা'ই-স্ন্যিং-পো-শেস-ব্যা-বা'ই-স্প্যান-'গ্রেল-পা (ওয়াইলি: rdo rje sems dpa’i sgyu ’phrul dra ba’i rgyud dpal gsang ba’i snying po shes bya ba’i spyan ’grel pa) এবং দ্পাল-গ্সাং-বা-স্ন্যিং-পো'ই-দোন-ব্স্দুস-'গ্রেল (ওয়াইলি: dpal gsang ba snying po’i don bsdus ’grel) নামে অনূদিত হয়। রোং-জোম-ছোস-ক্যি-ব্জাং-পো নামক একাদশ শতাব্দীর তিব্বতী পণ্ডিত র্গ্যুদ-র্গ্যাল-গ্সাং-বা-স্ন্যিং-পো-দ্কোন-চোগ-'ব্রেল (তিব্বতি: རྒྱུད་རྒྱལ་གསང་བ་སྙིང་པོ་དཀོན་ཅོག་འགྲེལ, ওয়াইলি: rgyud rgyal gsang ba snying po dkon cog 'brel) নামক টীকাভাষ্য রচনা করেন। চতুর্দশ শতাব্দীর বিখ্যাত র্ন্যিং-মা শিক্ষক ক্লোং-ছে-রাব-'ব্যাম্স-পা-দ্রি-মেদ-'ওদ-জের এই তন্ত্রের ওপর তিনটি টীকাভাষ্য রচনা করেন, যা তিব্বতী বৌদ্ধধর্মে মুন-সেল-স্কোর-গ্সুম নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Dharma Fellowship (2005). Biographies: Pramodavajra, Regent of the Divine. Source: [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে (accessed: November 15, 2007)
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- Dudjom, Jikdrel Yeshe Dorje; Dorje, Gyurme (২০০৫)। The Nyingma School of Tibetan Buddhism, Its Fundamentals and History (2 সংস্করণ)। Boston: Wisdom Publications। আইএসবিএন 0-86171-199-8।
- Germano, David (২০০২)। "A Brief History of Nyingma Literature"। THDL। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Dorje, Gyurme (No Date)। "The Guhyagarbha Tantra: Introduction."। (Reading Room)। Wisdom Books। ৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)Parts:,2, 3, 4, 5, 6. - Garson, Nathaniel DeWitt (২০০৪)। "Penetrating the Secret Essence Tantra: Context and Philosophy in the Mahāyoga System of rNying-ma Tantra" (PDF) । PhD Thesis। Department of Religious Studies, University of Virginia,।
- Mipham, Jamgon (২০০৯)। The Luminous Essence: A Guide to the Guhyagarbha Tantra। Ithaca: Snow Lion Publications। আইএসবিএন 978-1-55939-327-0। ৬ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- Sherab, Khenchen Palden and Khenpo Tsewang Dongyal (2011). Splendid Presence of the Great Guhyagarbha: Opening the Wisdom Door of the King of All Tantras Sidney Center, New York: Dharma Samudra. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৮২০৯২২-০-০
- Roerich, George N. (১৯৪৯)। The Blue Annals (1998 reprint সংস্করণ)। Delhi: Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 81-208-0471-6। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Dorji, Wangchuk (২০০২)। "An Eleventh-Century Defence of the Authenticity of the Guhyagarbha Tantra"। Eimer; Germano, David। The Many Canons of Tibetan Buddhism। Leiden: Brill।
- Van Schaik, Sam (২০০৭)। "In search of the Guhyagarbha tantra"। EarlyTibet.com।