গিলান বিশ্ববিদ্যালয়

ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়

গিলান বিশ্ববিদ্যালয় (ফার্সি: دانشگاه گیلان) হলো ইরানের উত্তরাঞ্চলের কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী গিলান প্রদেশের বৃহত্তম শহর রাশতে অবস্থিত একটি স্নাতক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

গিলান বিশ্ববিদ্যালয়
دانشگاه گيلان
অন্যান্য নাম
জিইউ
নীতিবাক্য"স্টে সায়েন্টিফিক, স্টে গ্রিন"
ধরনসরকারি
স্থাপিত১৯৭৪
অধিভুক্তিবিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
আচার্যআহমেদ রাজি
প্রশাসনিক উপাচার্যফরহাদ শিরিনি
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৬৫০+
শিক্ষার্থী১৮০০০ (প্রায়)
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনএকাধিক
ভাষাফারসি, ইংরেজি
ওয়েবসাইটwww.guilan.ac.ir

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮,০০০ জন।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ইরান ও পশ্চিম জার্মানির পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রকৌশল বিভাগ ও সাহিত্য বিভাগের ১৭০ জন শিক্ষার্থী ও ১০ জন শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি তৎকালে পুরকৌশলজার্মান সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ের ওপর কোর্স করার সুবিধা দিত।

১২০ জন ছাত্র নিয়ে গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান), কৃষিবিজ্ঞান, পশুপালন ও জার্মান সাহিত্য বিভাগ চালু করা হয়।

অধ্যয়ন সম্পাদনা

গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫টি বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি, ৩৫টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও সাতটি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এটি গিলান প্রদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাস্পিয়ান সাগর বিষয়ক গবেষণা বিভাগ চালু রয়েছে।

গিলান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত কাস্পিয়ান জার্নাল অব এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স হলো কাস্পিয়ান আঞ্চলিক রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন এইউসিআরএস (অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস অব কাস্পিয়ান রিজিয়ন স্টেটস) এর একটি আনুষ্ঠানিক অর্ধবার্ষিক প্রকাশনা। এছাড়াও ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু সাময়িকী প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞান, গণিত, প্রকৌশল, মানবিক, শারীরিক শিক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ এবং শিল্প ও স্থাপত্য মহাবিদ্যালয়ের অধীন বিপুল সংখ্যক কোর্স করার সুবিধা রয়েছে। গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫টি বিভাগ থেকে বিএসসি, এমএসসি, বিএ, এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য ১১২টিরও অধিক কোর্সের সুবিধা রয়েছে।

গিলান প্রদেশের বিভিন্ন স্থানব্যাপী সুবৃহৎ শিক্ষায়তনে তিনটি গবেষণা কেন্দ্র, নয়টি ফ্যাকাল্টি ও প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষকসহ গিলান বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর ইরানের সর্ববৃহৎ এবং অন্যতম প্রধান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।[১] স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও গবেষণাকার্যের ১১২টি ক্ষেত্রে প্রায় ১৮,০০০ শিক্ষার্থী গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

শিক্ষায়তন সম্পাদনা

চারটি শিক্ষায়তন (ক্যাম্পাস) বিশিষ্ট গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়তন ৩ বর্গ কিলোমিটার।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পাদনা

গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সক্রিয় ও পরিচিত বিজ্ঞানী রয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ১% বিজ্ঞানীদের অন্তত তিনজন গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী বিশ্বব্যাপী উচ্চ র‍্যাঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন। এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী অধ্যয়নার্থে গিলান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকাকে পছন্দ করেন।

গিলান ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বিগত দশকে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত বেশ কিছু সাময়িকী প্রকাশিত হয়েছে।

অনুষদ সম্পাদনা

গিলান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক ও চারটি স্থানীয় ক্যাম্পাস ও বেশ কিছু গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোতে মোট নয়টি অনুষদ বিদ্যমান। সেগুলো হলো:

  • স্থাপত্য ও শিল্পকলা অনুষদ
  • কৃষিবিজ্ঞান অনুষদ
  • প্রকৌশল অনুষদ
  • মানবিক অনুষদ
  • গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদ
  • যন্ত্রকৌশল অনুষদ
  • প্রাকৃতিক সম্পদ অনুষদ
  • শারীরিক শিক্ষা অনুষদ
  • বিজ্ঞান অনুষদ
  • প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ (পূর্ব গিলান)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Website of the University of Guilan"। ১২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা