গাভা নরেরকাঠী গণহত্যা
গাভা নরেরকাঠী গণহত্যা হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দেশীয় সহযোগী রাজাকার কর্তৃক বরিশালের গাভা নরেরকাঠী গ্রামে বাঙালি হিন্দুদের ওপর ২ মে তারিখে সংঘটিত একটি পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যা।[১][২][৩][৪] বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারেরা ৯৫-১০০ জন বাঙালি হিন্দুকে হত্যা করেছিল।[১][৩]
গাভা নরেরকাঠী গণহত্যা | |
---|---|
১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যার অংশ | |
স্থান | গাভা নরেরকাঠী, বানারীপাড়া, বরিশাল, বাংলাদেশ |
স্থানাংক | ২২°৩৬′৩৩″ উত্তর ৮৯°০৫′৫৬″ পূর্ব / ২২.৬০৯১৮১১° উত্তর ৮৯.০৯৮৭৮১১° পূর্ব |
তারিখ | ২ মে ১৯৭১ (জিএমটি+৬) |
লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
হামলার ধরন | ব্রাশফায়ার, গণহত্যা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | মেশিনগান, বেয়োনেট |
নিহত | ৯৫-১০০ |
অপরাধীগণ | পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার |
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাগাভা নরেরকাঠী বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার অন্তর্গত একটি গ্রাম। স্থানীয় ঘোষ-দস্তিদার পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি হওয়ায় ১৯৭১ সালের আগে গাভা স্কুলবাড়ি ও গাভা বাজার এলাকা মূলত হিন্দু-প্রধান গ্রাম ছিল।
ঘটনা
সম্পাদনা১৯৭১ সালের ২ মে সকালে আশেপাশের গ্রামের রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী গাভা নরেরকাঠী গ্রামে প্রবেশ করে। অতঃপর “শান্তি কমিটি”র সভার (মিটিং) কথা বলে গ্রামের হিন্দু পরিবারের লোকদের বেরিয়ে আসতে বলে।[১] স্থানীয় রাজাকারেরা আটকে নিকটবর্তী খালের ধারে নিয়ে যায় এবং গুলি করে হত্যা করে। গুলি থেকে বাঁচতে যারা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ডুবে যায় কিংবা স্রোতে ভেসে চলে যায়।[১]
পরিণাম
সম্পাদনাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গণহত্যার স্থানটি গ্রামবাসীরা চিহ্নিত করে। কিন্তু অদ্যাবধি বধ্যভূমিতে কোনো স্মৃতিচিহ্ন স্থাপন করা হয়নি কিংবা গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের নাম খুঁঁজে বের করা হয়নি।[২][৩][৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "বধ্যভূমির গদ্য (Unicoded) Part 4"। সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৭। ২০১৯-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৬।
- ↑ ক খ "চিহ্নিত হয়নি ৬৮ বধ্যভূমি, নেই শহীদদের তালিকাও | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০২০-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৩।
- ↑ ক খ গ "আজো সংরক্ষণ হয়নি বানারীপাড়ার বধ্যভূমি | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪।
- ↑ ক খ "বানারীপাড়ায় আজও অরক্ষিত দুটি বধ্যভূমি! | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪।