গতি জনিত অসুস্থতা গুলো হচ্ছে বমিভাব, বমি, পানিশূন্যতা, পেটব্যাথা, মাথা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, ক্ষুধামন্দা, আতংকিত হওয়া এবং ভয় পাওয়া, ঘুমিয়ে যাওয়া, ক্লান্তি ও অবসাদ, বুক ধড়ফড় করা, খাবারের স্বাদ না পাওয়া, প্রভৃতি। গতির কারণে গতি জনিত অসুস্থতা ভুগতে হয়। সাধারণত প্রত্যাশিত গতির চেয়ে বেশি গতি হলে প্রত্যাশা ও প্রকৃত গতির পার্থক্যের কারণে শরীর গতিজনিত অসুস্থতায় ভোগে।ভরপেট খাদ্য পেটে স্হির থাকে কিন্তু গতির লাভের সময় পেটব্যথা, বমিভাববমি হওয়া প্রভৃতি গতিজনিত অসুস্থতায় ভোগায় ।[২][৩]বাস,কার, মাইক্রোবাস,বিমান,হেলিকপ্টার,সমুদ্রভ্রমণ বা নৌভ্রমণ,মহাকাশভ্রমণ,ভার্চুয়াল সিম্যুলেশন এবং মহাকাশ অভিমূখে ভ্রমণ প্রভৃতিতে অপ্রত্যাশিত গতির কারণে গতিজনিত অসুস্থতা দেখা যায়‌‌। ওষুধ গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হলেও প্রতিরোধের জন্য মানসিকভাবে শক্ত হতে হয় এবং খাপ খাইয়ে নিতে হয়। [৩]

গতি জনিত অসুস্থতা
প্রতিশব্দভ্রমণজনিত অসুস্থতা, নৌ ভ্রমণে অসুস্থতা, আকাশ ভ্রমণে অসুস্থতা, যানবাহনে ভ্রমণে অসুস্থতা, সিম্যুলেশনে অসুস্থতা, মহাকাশ ভ্রমণে অসুস্থতা, মহাকাশ গমনে অসুস্থতা
নৌ ভ্রমণে গতিজনিত অসুস্থতায় ভোগা একজন যাত্রী, ১৮৪১
বিশেষত্বনিউরোলজি
লক্ষণবমিভাব, বমি, সর্দি, লালা বা থুথু বেড়ে যাওয়া,ক্ষুধামন্দা,স্বাদহীনতা,পেটব্যথা,মাথাব্যথা প্রভৃতি[১]
জটিলতাপানিশূন্যতা, শরীরের আধান ভারসাম্যহীনতা, অশ্রু ঘাটতি হয়ে চোখ লাল হওয়া
কারণঅপ্রত্যাশিত গতি
ঝুঁকির কারণগর্ভবতী, মাথাব্যথা জনিত সমস্যায় ভুক্তভোগী, ঋতুবর্তী
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিলক্ষণ অনুযায়ী
প্রতিরোধমানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা
চিকিৎসামানসিক ভাবে প্রস্তুত থেকে গতির সাথে মানিয়ে নেয়া এবং ওষুধ গ্রহণ করা
আরোগ্যসম্ভাবনাসাধারণত কিছু সময়ে বা একদিনেই অসুস্থতা থেকে সেরে উঠে

লক্ষণ সম্পাদনা

মাথা ব্যাথা, পেটব্যথা, বমিভাব,বমি,চোখ লাল হওয়া,ক্ষদামন্দা, খাবারের স্বাদ না পাওয়া, ঘুম আসা, অতংকিত বা ভীত থাকা, থুথু বা লালা বেড়ে যাওয়া, পানিশূন্যতা,ক্লান ও অবসাদগ্রস্ত,জ্বর,সর্দি প্রভৃতি।[৩]

কারণ সম্পাদনা

গতিজনিত অসুস্থতা তিনটি শ্রেণীতে ধরা হয়:

১. গতিজনিত অসুস্থতা,কারণ গতি যেটা অনুভূত হয় অন্যান্য ইন্দ্রিয়ে কিন্তু দেখা যায়না।যেমন: পার্থিব গতিজনিত সমস্যা সমূহ।

২. গতি জনিত সমস্যা, কারণ গতি যেটা দেখা যায় কিন্তু অন্যান্য ইন্দ্রিয়ে বোঝা যায়না।যেমন: মহাকাশ ভ্রমণ।

৩. গতি ও স্হিতি উভয়ের কারণে সমস্যা,যেটা সব ইন্দ্রিয়ে বোঝা যায় এবং শরীরও ভোগে‌। যেমন: পৃথিবী হতে মহাকাশ অভিমূখে অভিকর্ষজ ত্বরণের বিপরীতে ভ্রমণ জনিত সমস্যা।

চিকিৎসা সম্পাদনা

মানসিক ভাবে উন্নয়ন এবং ওষুধ গ্রহণ ।

মানসিক ভাবে উন্নয়ন সম্পাদনা

ভ্রমণের সময় আসন মানানসই হতে হয়। গতির সাথে মানসিক ভারসাম্য এনে এবং মানসিক ভাবে শক্ত হয়ে গতিজনিত অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কোথাও ভ্রমণের সময় বা পূর্বে জটিল খাদ্য এবং ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়‌ । গান শোনা, শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ানো, চালকের মত দিগন্তে দৃষ্টিবদ্ধ থাকা, মোবাইলে দৃষ্টিবদ্ধতা কিংবা বই পড়া থেকে বিরত থেকে প্রভৃতি করে গতিজনিত অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। মহাকাশ ভ্রমণের দিগন্তে দৃষ্টিবদ্ধ থেকে এবং পৃথিবী হতে মহাকাশে ভ্রমণের সময় কম্পিউটার স্ক্রিনে দৃষ্টিবদ্ধ থেকে মানসিক ভারসাম্য এনে গতি জনিত অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। [৩]

ওষুধ সম্পাদনা

বমিভাব ও বমি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পানিশূন্যতার জন্য ওষুধ পাওয়া যায়। যেগুলো দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়া যায় ‌।[৩]

প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পাদনা

টক জাতীয় খাবার,আদা প্রভৃতি গতিজনিত অসুস্থতা তাৎক্ষণিক প্রতিকার করে। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Stat2019 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. Takov, V; Tadi, P (January 2019). Motion Sickness (in StatPearls). PMID 30969528.
  3. Golding, J. F. (2016). "Motion sickness". Handbook of Clinical Neurology. 137: 371–390. doi:10.1016/B978-0-444-63437-5.00027-3. ISBN 9780444634375. ISSN 0072-9752. PMID 27638085.
  4. Brainard A, Gresham C (2014). "Prevention and treatment of motion sickness". Am Fam Physician. 90 (1): 41–46. PMID 25077501.