খেজুর পাতার পাটি
খেজুর পাতার পাটি হলো একটি ঐতিহ্যবাহী হস্তনির্মিত আসবাবপত্র এবং ঘরের সাজসজ্জা। এটি বাংলার গ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ, কিন্তু বর্তমানে এটি ব্যবহার থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে।[১]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a7/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF.jpg/220px-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8f/Plam-leaf_mat%2C_Tamil_Nadu472.jpg/220px-Plam-leaf_mat%2C_Tamil_Nadu472.jpg)
উপকরণ
সম্পাদনাপাটি বা সাধারণত বেত, বাঁশ এবং খড় দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু এটি একটি বিশেষ ধরনের পাটি, যা খেজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত মুসলিম এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যবহৃত হতো। যদিও বেশিরভাগ হিন্দু মাদুর প্রস্তুতকারক ছিলেন বৈষ্ণব বিশ্বাসের সদস্য, অন্যদিকে মুসলিম মাদুর প্রস্তুতকারীরা ছিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।[২]
ব্যবহার
সম্পাদনাখেজুর পাতার পাটি সাধারণত বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে বসার ও ঘুমানোর ঘরে ব্যবহার করা হয়।[৩] এটি রোদে শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে যেমন হিন্দু বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মুসলিমেরা সালাত আদায়ের পাটি বা জায়নামাজ হিসেবে ব্যবহার করে।[৪]
গঠন
সম্পাদনাপ্রথমে গাছ থেকে খেজুরের ডাল কেটে রোদে শুকানো হয়। ডালের গোড়ার অংশ এবং পাতার সামনের অংশ কেটে ফেলা হয়। ডাল থেকে পাতা ছাড়ানোর পরে, পাতা দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। ভাগ হয়ে গেলে, পাতার টুকরোগুলি পাটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় হিসাবে প্রস্তুত করা হয়। অবশেষে লম্বা অংশ বোনা হয়, এই লম্বা অংশ একটি সম্পূর্ণ পাটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়[৩] পাটির মোট দৈর্ঘ্য সাধারণত ০৪-০৬ ফুট হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ পাটি করতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে। একটি পাটিতে বিভিন্ন রং অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
-
খেজুর পাতার সেলাই
-
খেজুর পাতা দিয়ে বোনা একটি লম্বা অংশ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জেলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটি বিলুপ্তির পথে"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১৮।
- ↑ ""Pati""। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০১৫।
- ↑ ক খ "মুন্সিগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে পাটি শিল্প"। Priyo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৬।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৪ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৪।