খুরশিদ আলম বাবুল

বাংলাদেশী ফুটবলার

খুরশিদ আলম বাবুল (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৫৫; খুরশিদ আলম নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। বাবুল তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা আবাহনীর হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।

খুরশিদ আলম
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম খুরশিদ আলম বাবুল
জন্ম (1955-03-01) ১ মার্চ ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
জন্ম স্থান টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৩ ইউনিস্পোর্টিং ভার্সাল
১৯৭৪ ঢাকা
১৯৭৫–১৯৭৬ ভিক্টোরিয়া
১৯৭৭–১৯৮৬ ঢাকা আবাহনী
১৯৮৭ ঢাকা মোহামেডান
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ইউনিস্পোর্টিং ভার্সালের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। ১৯৭৪–৭৫ মৌসুমে তিনি ঢাকায় যোগদান করেছিলেন। অতঃপর ভিক্টোরিয়ায় ২ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ঢাকা আবাহনীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, ঢাকা আবাহনীর হয়ে তিনি ৫টি লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমে, তিনি ঢাকা আবাহনী হতে বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা মোহামেডানে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা মোহামেডানের হয়ে মাত্র ১ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

ব্যক্তিগতভাবে, বাবুল বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার জয় অন্যতম। দলগতভাবে, বাবুল সর্বমোট ৬টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ৫টি ঢাকা আবাহনীর হয়ে এবং ১টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

খুরশিদ আলম বাবুল ১৯৫৫ সালের ১লা মার্চ তারিখে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[২] ১৯৭৪ সালে কুমিল্লার কোর্টবাড়ীতে জাতীয় দলের প্রথম বিদেশী কোচ দ্বারা পরিচালিত ফুটবল ক্যাম্পে তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের ফুটবল লীগ হতে প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন বাবুল, এভাবেই তিনি ফুটবল খেলায় নিজের জীবন শুরু করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৮৪ সালে, বাবুল ফাতেমা আলম শিল্পীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের উভয়ের সানজিদা আলম, তানজিনা আলম এবং আফসানা আলম নামে তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে।[২]

পুরস্কার সম্পাদনা

১৯৮৩ সালে, বাবুল বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি হতে এবং ১৯৮৭ সালে সাংবাদিক কর্তৃক বর্ষসেরা ফুটবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।[২] ২০১২ সালে, বাংলাদেশ ফুটবলে অসামান্য অবদানের জন্য আশীষ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[৩][৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. নাইর ইকবাল (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "আবাহনী-মোহামেডানের 'সন্ধি' হয়েছিল যেদিন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১ 
  2. "দৈনিক জনকন্ঠ - - লড়াকু ফুটবলার খোরশেদ বাবুল"দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১ 
  3. "32 stars honoured with Bangladesh National Sports Award"। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২১ 
  4. Correspondent, Senior। "National Sports Award for 32 Bangladesh sportsperson for 2010-12"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০