খায়রুজ্জামান

বাংলাদেশি সামরিক ব্যক্তিত্ব

খায়রুজ্জামান একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনা কর্মকর্তা এবং সাবেক কূটনীতিক, তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিনি। বর্তমানে পলাতক আছেন।

খায়রুজ্জামান
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদমর্যাদামেজর
দাম্পত্য সঙ্গীরিটা রহমান
সম্পর্কমশিউর রহমান (শ্বশুর)

কর্মজীবন সম্পাদনা

খায়রুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে মেজর পদে থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। যেখানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মুহাম্মদ মনসুর আলীআবুল হাসনাতকে হত্যা করা হয়। শেখ মুজিবের হত্যার পর তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিদেশি চাকরিতে পাঠানো হয়। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তখন তিনি ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে গ্রেপ্তার হন।[১][২]

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদা দেওয়া হয়। তাকে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত করা হয়। [৩] ২০০৪ সালে তাকে বাংলাদেশের নিম্ন আদালত জেল হত্যা মামলা থেকে দেয়া হয়।[৪][৫]

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তারা তাকে পুনরায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি ছুটি চেয়েছিলেন কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার স্থলে বাংলাদেশ সরকার এ কে এম আতিকুর রহমানকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন। তার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে না এসে " মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম " প্রোগ্রামের আওতায় মালয়েশিয়ায় থাকার আবেদন করেন।[৩] ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ান পুলিশ তাকে মালয়েশিয়ার আমপাং, সেলাঙ্গর এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে।[৬] মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানায় যে, বাংলাদেশের অনুরোধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।[৭] গ্রেপ্তারের পর তার আইনজীবীরা দাবি করেন, তাদের মক্কেল একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। এই আটকাদেশের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রিট আবেদন করলে মালয়েশিয়া আদালত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Envoy to Malaysia Khairuzzaman recalled"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "The shameful legacy of the jail killings of 3 November, 1975"theindependentbd.com। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. "Killer Majors Of Bangladesh – Analysis"eurasiareview.com। Eurasia Review। ২০ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. "Summon Moazzem, Khairuzzaman"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "No move taken to bring back accused"archive.thedailystar.net। The Daily Star। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. "মালয়েশিয়ায় খায়রুজ্জামান গ্রেপ্তার 'বাংলাদেশের অনুরোধেই', বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  7. বাংলাদেশের অনুরোধে সাবেক রাষ্ট্রদূত গ্রেপ্তার : মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমাদের সময়, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  8. সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান ছাড়া পেয়েছেন, প্রথম আলো, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২