খাদিজাহ আফজাল ভজিরি

ইরানী সাংবাদিক

খাদিজাহ আফজাল ভজিরি (১৮৮৯ - ৩ জানুয়ারি ১৯৮১[১]) ছিলেন একজন নারী অধিকার কর্মী, সাংবাদিক এবং ইরানের শিক্ষাবিদ। তিনি চাদর প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান এবং কাশফ-ই হিজাবকে সমর্থন করেন।

খাদিজাহ আফজাল ভজিরী
خدیجه افضل وزیری
জন্ম
খাদিজাহ আফজাল খানুম

১৮৮৯
তেহরান, ইরান
মৃত্যু৩ জানুয়ারি ১৯৮১(1981-01-03) (বয়স ৯২)
তেহরান, ইরান
সমাধিবেহেস্ত-ই জাহরা
জাতীয়তাইরানি
পেশালেখিকা, শিক্ষক, নারী অধিকার আন্দোলনকর্মী
সন্তান৫ জন, মাহলাঘা সহ
পিতা-মাতামৌসা খান ভজিরি (পিতা)
বিবি খানুম আস্তরাবাদী (মা)

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

খাদিজাহ আফজাল খানুম ১৮৮৯ সালে তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি একজন নারী অধিকার কর্মী বিবি খানম আস্তারাবাদী এবং মুসা খান ভাজিরির পঞ্চম সন্তান ছিলেন।[২] কিছু ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, বিবি খানম যখন তার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেননি, তখন তিনি তার মেয়েকে ছেলেদের পোশাকে বিদ্যালয়ে পাঠাতেন, যাতে সে তার ভাইদের সাথে পড়াশোনা করতে পারে।[৩] তার ভাইবোনদের মধ্যে ছিল: হাসান আলী খান উজির, [৪] আলী নকি ভাজিরি ও মওলুদ খানুম, যারা তাদের মায়ের মতো একজন শিক্ষক ছিলেন।[৫]

যখন তিনি ১৬ বছর বয়সে পৌঁছান, তখন তিনি দোশিগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াতেন, যা তার মা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন,[৬] ফলে ইরানের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষকদের একজন হয়েছিলেন।[৩] পরে তিনি তার বোনের বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন। [৫]

তিনি তার কাকাতো ভাই আঘা বোজার্গ মাল্লাকে বিয়ে করেন।[৭] তাদের সন্তানদের মধ্যে রয়েছে: মাহলঘা মল্লা, আমির হুশাং, হুসাইনালি, মেহরাঙ্গিজ, খুসরো ও তৈমুর। তৈমুর ১১ মাস বয়সে মারা যান।[৭] পরিবারটি তীর্থযাত্রায় ভ্রমণের সময় মহলঘা একটি কারওয়ানসরাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন।[৮]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তিনি শিক্ষার পাশাপাশি নারী বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রের জন্য প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন।[৯] তার একটি উল্লেখযোগ্য নিবন্ধ শাফাক-ই-সোর্খ পত্রিকার জন্য লেখা হয়েছিল। [৯] এতে তিনি একজন বেনামী লেখকের দ্বারা প্রকাশিত মহিলাদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করেছিলেন, তার লেখায় শেষ কিছু বাক্য এমন ছিল: "নারীদের পড়াশোনা এবং পুরুষদের সাথে কাজ করতে দিন, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে কম নয়"।[৯] তিনি সারা জীবন শিক্ষকতা করেন এবং মেয়েদের বিদ্যালয়ের পরিচালক ছিলেন।[১০]

তিনি তার নিজের পোশাকও নকশা করেছিলেন।[১১] ১৯৩০ -এর দশকে, যখন অনেক মহিলা মুখের বোরখা পরা বন্ধ করতে শুরু করেছিলেন, সেই সময়ে চাদর পরিধান জনপ্রিয় ছিল।[১২] তিনি সেদিকাহ দৌলতাবাদীর পাশাপাশি ফ্যাশনে পরিবর্তন আনার পক্ষে ছিলেন, এবং তিনি এমন পোশাকের নকশা করেছিলেন যেখানে শরীরের বাহুগুলি আরও অবাধে চলাচল করতে পারে।[১২] তিনি ১৯৩০ সালে একটি খোলা চিঠিতে আলোচনা করেছিলেন যে কীভাবে তরুণ মহিলাদের (সাত বা আট বছর বয়সী) চাদর পরতে বাধ্য করা হয়।[১৩] তিনি ১৯৩৬ সালে সরকারকে নারীদের উন্মোচন সমর্থন করেছিলেন; কাশফ-ই হিজাব।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 2527 (২০২১-০১-০৩)। "خدیجه افضل‌وزیری؛ فعال و پیشگام در حوزه حقوق زنان"ایرنا (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৪ 
  2. Smith, Bonnie G. (২০০৮)। The Oxford Encyclopedia of Women in World History (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 229। আইএসবিএন 978-0-19-514890-9 
  3. "خدیجه افضل وزیری؛ نویسنده و پیشگام"ایران آنلاین। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Hassanalikhan Vaziri Website"hassanalikhanvaziri.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  5. The Education of Women and The Vices of Men: Two Qajar Tracts (ইংরেজি ভাষায়)। Syracuse University Press। ২০১০-১২-২৮। আইএসবিএন 978-0-8156-5151-2 
  6. Welle (www.dw.com), Deutsche। "مدرسه دوشيزگان | DW | 11.08.2006"DW.COM (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  7. Women's Worlds in Qajar Iran। "Women's Worlds in Qajar Iran"Women's Worlds in Qajar Iran। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  8. Tavaana (২০১৫-০২-২৩)। "Mahlagha Mallah: Mother of Iran's Environment"Tavaana (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  9. "Magiran | روزنامه سرمایه (1386/02/18): زنان پیشگام ایرانی /خدیجه افضل وزیری"www.magiran.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  10. Rostam-Kolayi, Jasamin (২০০৮)। "Origins of Iran's Modern Girls' Schools: From Private/National to Public/State": 58–88। আইএসএসএন 1552-5864জেস্টোর 10.2979/mew.2008.4.3.58ডিওআই:10.2979/mew.2008.4.3.58 
  11. Women's Worlds in Qajar Iran। "Khadijah Afzal Vaziri"Women's Worlds in Qajar Iran। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৩ 
  12. Moghissi, Haideh (২০০৫)। Women and Islam: Womens's movements in Muslim societies (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন 978-0-415-32421-2 
  13. Jakobsen, Janet R.; Pellegrini, Ann (২০০৮-০৩-১১)। Secularisms (ইংরেজি ভাষায়)। Duke University Press। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-0-8223-4149-9