খাতুন সাপনারা

ব্রিটিশ আইনজীবী

খাতুন সাপনারা (জন্ম: এপ্রিল ২৯, ১৯৬৮) একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বিচারক। ২০০৬ সালে ক্রাউন কোর্টে তিনি রেকর্ডার হিসেবে নিয়োগ পান, প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিসেবে জ্যেষ্ঠ বিচারিক অবস্থানে নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে ক্রাউন এবং পারিবারিক আদালতে মামলার শুনানির জন্য বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।

সম্মানিত বিচারক
খাতুন সাপনারা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1967-04-29) ২৯ এপ্রিল ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
সিলেট জেলা, সিলেট বিভাগ, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ)
জাতীয়তাব্রিটিশ
সন্তান
পিতামাতামিম্বর আলী (পিতা)
বাসস্থানলন্ডন, ইংল্যান্ড
শিক্ষাআইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীলন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়
মিডল টেম্পল
পেশাব্যারিস্টার, বিচারক
ধর্মইসলাম

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সাপনারা সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং শিশু বয়সেই তিনি যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তার পিতাকে, প্রয়াত মিম্বর আলী, সম্মাননা প্রদান করে।[১][২][৩]

সাপনারা চাদওয়েল হেলথ স্কুলে (বর্তমানে চাদওয়েল হেলথ একাডেমী) পড়ালেখা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি লন্ডন স্কুর অব ইকোনমিক্ম এন্ড পলিটিক্যাল সাইন্স থেকে ব্যাচলর অব ল এ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[১][২][৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৯০ সালে মিডল টেম্পলের বারে (উকিলসভা) নিযুক্ত হন।[৩] তিনি লন্ডনের কোরাম ব্যারিস্টার চেম্বারে অনুশীলন করতে থাকেন এবং পারিবারিক আইনে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন।[৪][৫] ২০০৩ সালে তিনি জাতিগত সংখ্যালঘু ব্যক্তি হিসেবে ফ্যামিলি ল বার অ্যাসোসিয়েশন কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৪ সালে লর্ড চ্যান্সেলর ব্যারন চার্লস ফাল্কুনের অব থোরোটন কর্তুক ফ্যামিলি জাস্টিস কাউন্সিলে, একদল বিশেষজ্ঞ যারা সরকারকে পরিবার বিচার ব্যবস্থার সাথে সর্ম্পকিত সকল প্রকারের কাজে পরামর্শ দিয়ে থাকে, নিযুক্ত হন।[৪]

স্বীকৃতি সম্পাদনা

২০১৫ সালের জানুয়ারীতে ক্ষমতাবান ও প্রেরণাদায়ক ১০০ ব্রিটিশ বাংলাদেশি এ বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত হন।তিনি তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিসেবে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৬][৭][৮][৯][১০][১১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

সাপনারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তিনি বিবাহিত এবং তার দু্ইটি সন্তান রয়েছে।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Karim, Mohammed Abdul; Karim, Shahadoth (জুলাই ২০০৮)। British Bangladeshi Who's Who (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। British Bangla Media Group। পৃষ্ঠা 190। ১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২ 
  2. Karim, Mohammed Abdul; Karim, Shahadoth (অক্টোবর ২০০৯)। British Bangladeshi Who's Who (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। British Bangla Media Group। পৃষ্ঠা 117। ১১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২ 
  3. "Enforced marriage law forces couple apart" (ইংরেজি ভাষায়)। The Historical Association। ১৯ মার্চ ২০০৯। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২ 
  4. "Khatun Sapnara" (ইংরেজি ভাষায়)। Coram Chambers। ২২ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২ 
  5. Jones, Meirion (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "Tower Hamlets Liberal Democrats against Forced Marriage" (ইংরেজি ভাষায়)। Tower Hamlets Liberal Democrats। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  6. Broadbent, Giles (২৮ জানুয়ারি ২০১৫)। "Judge named Person of the Year at British Bangladeshi event" (ইংরেজি ভাষায়)। London: The Wharf। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  7. "Judge Khatun Sapnara first ever BBPI 'Person of the Year'" (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh: Bdnews24.com। ২৮ জানুয়ারি ২০১৫। ১০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  8. Barnett, Adam (২৮ জানুয়ারি ২০১৫)। "William Hague MP launches British Bangladeshi 'power list' in Canary Wharf" (ইংরেজি ভাষায়)। London: Docklands and East London Advertiser। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  9. "Judge Khatun Sapnara named BBPI Person of the Year" (ইংরেজি ভাষায়)। Asian Image। ৩০ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  10. "Judge Khatun Sapnara named BBPI Person of the Year" (ইংরেজি ভাষায়)। Newport: South Wales Argus। ৩০ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  11. "Judge Khatun Sapnara first ever BBPI 'Person of Yr'" (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh: The Financial Express। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা