ক্ষিরোদচন্দ্র চৌধুরী

ক্ষিরোদচন্দ্র চৌধুরী (১৯০০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৭৩ ) ছিলেন একজন খ্যাতনামা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক।[১] তাকে ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের 'চূড়ামণি' তথা 'জনক' বলা হয়।[২]

ক্ষিরোদচন্দ্র চৌধুরী
জন্ম১৯০০
মৃত্যু১৯ অক্টোবর ১৯৭৩(1973-10-19) (বয়স ৭২–৭৩)
পেশাশিশুরোগ চিকিৎসক
পিতা-মাতাউপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী (পিতা)
সুশীলা সুন্দরী চৌধুরী (মাতা)

জন্ম ও শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

ক্ষিরোদচন্দ্র চৌধুরীর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। পিতা উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী এবং মাতা সুশীলা সুন্দরী চৌধুরী। তার বিদ্যালয়ের পড়াশোনা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। ডাক্তারী পড়তে চলে আসেন কলকাতায়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ড যান ও পরে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গিয়ে শিশুরোগ সম্পর্কে বিশেষ পড়াশোনা করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে কয়েক বছর কলকাতার চিত্তরঞ্জন শিশুসদনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ নামে এক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম শিশুরোগ চিকিৎসার এই প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু

শিশুরোগের প্রতিরোধ, নিরাময়সহ সুসংহত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে, শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করেন প্রতিষ্ঠানটি। ভারতে প্রথমবারের মতো ইতিবাচক এবং শিশু যত্নের সম্যক ধারণা জনসমক্ষে তুলে ধরার যেমন চেষ্টা করেছেন, তেমনই ভারতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেন তিনি।

এছাড়াও, ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বাধীনভাবে শিশুবিশেষজ্ঞদের জন্য জার্নাল- ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক্স প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান পেডিয়াট্রিক সোসাইটি শুরু করেন। যার মাধ্যমে তিনি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ দেশের বিভিন্ন শহরে জাতীয় পেডিয়াট্রিক কনফারেন্সের আয়োজন করে।[৩]

শিশুর স্বাস্থ্য ও শিশুরোগ সম্পর্কে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর খ্যাতনামা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.ক্ষিরোদচন্দ্র চৌধুরী কলকাতায় প্রয়াত হন। তার স্ত্রীও ছিলেন একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। মননশীল সুলেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ নীরদচন্দ্র চৌধুরী (১৮৯৭ - ১৯৯৯) ছিলেন তার অগ্রজ।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৬৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. Institute of Child Health
  3. "Indian Academy of Pediatrics - History"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০