ক্ষ
ক্ষ (উচ্চারণ: খিয়ো) একটি বাংলা যুক্তবর্ণ। বাংলা অক্ষর 'ক' ও 'ষ' পরপর যুক্ত করলে 'ক্ষ' তৈরি হয়। যুক্তবর্ণটিকে একসময় মূল বাংলা বর্ণমালার তালিকায় রাখা হলেও বর্তমানে রাখা হয় না। ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ ভাষায় এর সমতুল্য যুক্তবর্ণের অস্তিত্ব আছে। বর্ণটির শব্দে প্রয়োগের স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারণ হয়। ক্ষ ব্যতীত বাংলা ভাষার আর কোনো যুক্তবর্ণকে কোনো বিশেষ নামে ডাকা হয় না। এটি একটি অস্পষ্ট যুক্তব্যঞ্জন, অর্থাৎ একে দেখে এর গঠনকারী বর্ণসমূহকে ('ক' এবং 'ষ') শনাক্ত করা যায় না। তবে এটা বাংলায় এটার উচ্চারণ "খ্খ" (মর্ফিম-মিডিয়ালি) বা "খ" (মর্ফিম-ইনিশিয়ালি)।
ক্ষ | |
---|---|
ব্যবহার | |
লিখনপদ্ধতি | বাংলা লিপি |
ধরন | যুক্তবর্ণ |
উৎপত্তির ভাষা | বাংলা, অসমীয়া |
ইতিহাস | |
ক্রমবিকাশ |
|
অন্যান্য |
'ক্ষ' এর উচ্চারণ
সম্পাদনা‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ দু-রকম হয়ে থাকে।
১. মর্ফিমের শুরুতে থাকলে এর উচ্চারণ হবে ‘খ’-এর মত।
যেমন: ক্ষমা (খ-মা)। এখানে ‘ক্ষ’ শব্দের শুরুতে বসেছে। তাই এখানে এর উচ্চারণ হবে ‘খ’-এর মতো। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘খমা’।
২. মর্ফিম মধ্যে বা শেষে থাকলে উচ্চারণ হবে ‘ক্ + খ’-এর মত।
যেমন: রক্ষা (রক্-খা বা রোক্-খা)। এখানে ‘ক্ষ’ আছে শব্দের শেষে।
আরও উদাহরণ:
ক্ষয় (খয়্), ক্ষতি (খোতি), ক্ষেত্র (খেত্-রো), পক্ষ (পক্-খো), যক্ষ্মা (জক্-খাঁ), লক্ষ্মণ (লক্-খোঁন্), লক্ষ্মী (লোক্-খিঁ)।
ব্যতিক্রম: তীক্ষ্ণ। এর উচ্চারণ ‘তিখ্-নো’ (‘তিক্-খোঁ’ নয়)।[১]
ক্ষ-এর প্রয়োগ
সম্পাদনাস্বরবর্ণের সাথে যুক্ত হলে
সম্পাদনাস্বরবৰ্ণ | 'ক্ষ'র সাথে যুক্ত হলে |
---|---|
অ | ক্ষ |
আ | ক্ষা |
ই | ক্ষি |
ঈ | ক্ষী |
উ | ক্ষু |
ঊ | ক্ষূ |
ঋ | ক্ষৃ |
এ | ক্ষে |
ঐ | ক্ষৈ |
ও | ক্ষো |
ঔ | ক্ষৌ |
যুক্তবৰ্ণ (ক্ষ যুক্ত)
সম্পাদনা- ক্ + ষ্ + ম = ক্ষ্ম (উচ্চারণ: খঁ-খ্খঁ)
- ক + ষ + য = ক্ষ্য (উচ্চারণ: খ-খ্খ)
- ক্ষত্রিয়, অক্ষত
'ক্ষ' দিয়ে আরম্ভ শব্দ
সম্পাদনা- ক্ষমা
- ক্ষতি
- ক্ষত্রিয়
- ক্ষুধা
- ক্ষণ ইত্যাদি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'ক্ষ' এর উচ্চারণ"। bananandolon.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২২।