ক্লাববোলে ক্র্যাফটভার্ক
ক্লাববোলে ক্র্যাফটভার্ক (সুইডীয়: Klabböle kraftverk) হল উত্তর সুইডেনের উমিয়া শহরে অবস্থিত একটি শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্র ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। ক্লাববোলে ক্র্যাফটভার্ক বর্তমানে উমে নদীর দক্ষিণ পাড়ের ক্লাববোলে গ্রামের নিচে অবস্থিত একটি জাদুঘর। উমিয়া থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে রয়েছে এটি।
ক্লাববোলে ক্র্যাফটভার্ক | |
---|---|
আনুষ্ঠানিক নাম | Klabböle kraftverk |
দেশ | সুইডেন |
অবস্থান | উমিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৬৩°৫০′৭.৭৮″ উত্তর ২০°৭′০.২৬″ পূর্ব / ৬৩.৮৩৫৪৯৪৪° উত্তর ২০.১১৬৭৩৮৯° পূর্ব |
জলাধার | |
মোট ধারণক্ষমতা | ৯৯৩ মেগাওয়াট (১৯০৯)[১] |
ঘূর্ণযন্ত্র | ২টি (১৮৯৯), ৩ (১৯০৪) |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৫০০ সালের দিকে ক্লাববোলেফোর্সেন-এ একটি পানিকল ছিল যা ময়দা তৈরি ও করাতকে ধার দেবার জন্য ব্যবহৃত হত।[২] উমিয়ার কেন্দ্রে একটি বাষ্পীয় শক্তিকেন্দ্র ছিল কিন্তু ১৮৯২ সালে একে স্থানান্তরিত করা হয় এবং উমিয়া শহর ১৮৯৭ সালে এখানে একটি জলবিদ্যুত প্রকল্প তৈরির কথা ভাবেন। আর্বোগার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান কিউভিস্ট এন্ড গিজার্স এর উপঠিকা করেন। কিউভিস্ট এন্ড গিজার্স নকশা, প্রকৌশলীর কাজ করেন এবং ৪০০ কিলোওয়াটের দুইটি অংশে প্রতিষ্ঠানকে বিভক্ত করার কথা ভাবেন। এর সাথে আরও দুটো অংশের জন্য স্থান থাকবে।[৩][৪]
অর্থনৈতিক কারণে এবং কুংসাদ্রা (পানিপথ বন্ধের বিরোধমূলক পুরাতন আইন) এর কারণে ঝর্ণার পুরো স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।[৫] এর পরিবর্তে একটি নির্দেশক (ডাইভার্টার) নির্মাণ করা হয় যা শক্তিকেন্দ্রে দিকে একটি পানির উৎস তৈরি করেন।[৬] ৬ই ডিসেম্বর, ১৮৯৯ সালে শক্তিকেন্দ্রটি প্রথমবারের মত উমিয়াতে শক্তি সরবরাহ করে। এর কয়েক সপ্তাহ পরে স্ল্যাশজনিত কারণে একটি পুনঃসঙ্গঠনশীল সমস্যার সৃষ্টি হয়।[৭] এর কারণ ছিল কেন্দ্রটি ঝর্ণার নিচের দিকে ছিল, নরফোরস ও ক্লাববোলের মাঝখানে যেখানে পানি ঠান্ডা হয়ে শীতল হয়ে যায়।[৫]
নদী প্রতি সেকেন্ডে ৪৩০ কিউবিক মিটার পানি ছাড়লেও এই কেন্দ্র কেবল প্রতি সেকেন্ডে ১০ কিউবিক মিটার পানিই ব্যবহার করতে পারত।[৮] এ কারণে ঝর্ণার পানির উৎস থেকে আরও অধিক সুবিধা পাবার উদ্দেশ্যে ১৯০৪ সালে ২০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় কেন্দ্র নির্মিত হয়। অ্যাক্সেল রুডলফ বার্গম্যান এরপরে ইট ও কনক্রিট দিয়ে একটি নতুন কেন্দ্র নির্মাণ করেন যা আগের কেন্দ্রের পরপরই অবস্থিত ছিল। ২৮শে মে, ১৯১০ সালে নতুন কেন্দ্রটির কাজও শেষ হয় এবং ১৯১৪ সালে একটি ছোট সম্প্রসারণও নির্মিত হয়। এরমধ্যে উমিয়া পৌরসভা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ভ্যাটেনফলকে নরফোর্সেনে একটি কেন্দ্র নির্মাণ করতে বলেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরে এই প্রকল্পের জন্য কোনরূপ অর্থ অবশিষ্ট ছিল না এবং তাই ১৯৩১ সালে পুনরায় ক্লাববোলে সম্প্রসারিত হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৮ সালে নরফোর্সেনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি স্টোরনরফোরস শক্তিকেন্দ্র উদ্বোধিত হয়।[৯] এই কেন্দ্রে নতুন প্রযুক্তির ফলে ধীরে ধীরে ক্লাববোলে কেন্দ্রটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পুরাতন যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য বস্তু এখন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাদুঘর হিসেবে এখানে রয়েছে। এটি উমিয়া শক্তিকেন্দ্রর অংশ হিসেবে কাজ করে।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ahnlund, p. 200.
- ↑ Ahnlund p. 136.
- ↑ "Klabböle"। Tekniska museet। ৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৪।
- ↑ "Klabböle kraftverk"। Västerbottens museum। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ Brunnstrom & Spade, p. 26
- ↑ Brunnström & Spade, p. 26
- ↑ "Klabböle besöksområde"। Umeå municipality। ৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৪।
- ↑ Brunnström & Spade, p. 24
- ↑ Lantz, p. 43
- ↑ Ahnlund, pp. 196-203
সাহিত্য
সম্পাদনা- Ahnlund Mats, সম্পাদক (১৯৮০)। Äldre industrier och industriminnen vid Umeälvens nedre del: [Older industries and industrial monuments in the lower part of the Ume river valley]। Norrländska städer och kulturmiljöer, 0348-2618 ; 6 (Swedish ভাষায়)। Umeå: Inst. för konstvetenskap, Umeå univ.। পৃষ্ঠা 196–203। libris=254350।
- Lantz, Gunnar (২০১৩)। Kommunal kraft : hamnar, elektricitet och systembyggare i Umeå 1920-1960 (PDF) (Swedish ভাষায়)। Umeå: Umeå universitet, Institutionen för geografi och ekonomisk historia।
- Olofsson, Sven Ingemar (১৯৭২)। Umeå stads historia 1888-1972। Umeå: Umeå kommunfullmäktige। পৃষ্ঠা 140–146। libris=88277। অজানা প্যারামিটার
|coauthor=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Lasse Brunnström & Bengt Spade (১৯৯২)। "Elkraft och Kraftverk"। Västerbotten: Västerbottens läns hembygdsförening। Umeå: Västerbottens läns hembygdsförening। 3। libris=3680032।