ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ

ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ (ইংরেজি: Characters of Shakespear's Plays) হল ১৮১৭ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ-গ্রন্থ। বইটির রচয়িতা ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের বিশিষ্ট ইংরেজ প্রাবন্ধিক তথা সাহিত্য সমালোচক উইলিয়াম হ্যাজলিট এবং এটির বিষয়বস্তু ছিল শেকসপিয়রীয় নাট্যসাহিত্যের সমালোচনা। গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল স্যামুয়েল জনসন প্রমুখের নব্য-ক্ল্যাসিক দৃষ্টিভঙ্গিতে শেকসপিয়র মূল্যায়নের প্রতিক্রিয়া রূপে। জার্মান সমালোচক অগস্ট ভিলহেম শ্লেগেল সমালোচনার যে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন, সেই পদ্ধতিক্রমে ইংরেজি ভাষায় প্রথম প্রকাশিত শেকসপিয়র নাট্য-সমালোচনাগুলির অন্যতম ছিল এই বইটি। স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের রচনাবলির সঙ্গে এই গ্রন্থটিও শেকসপিয়রের মেধা মূল্যায়নের পথ সুগম করে দেয় এবং তা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগের সাহিত্য সমালোচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। বইটি লেখা হয়েছিল সাধারণ পাঠকের সহায়িকা হিসাবে এবং এটিই প্রথম বই যাতে শেকসপিয়রের সব ক’টি নাটক আলোচিত হয়।

ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ
ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা
লেখকউইলিয়াম হ্যাজলিট
দেশইংল্যান্ড
ভাষাইংরেজি
ধরনসাহিত্য সমালোচনা
প্রকাশকরোল্যান্ড হান্টার (সঙ্গে চার্লস ও জেমস ওলিয়ার)
প্রকাশনার তারিখ
৯ জুলাই, ১৮১৭
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ
পূর্ববর্তী বইদ্য রাউন্ড টেবল 
পরবর্তী বইআ ভিউ অফ দি ইংলিশ স্টেজ 

এই গ্রন্থ রচনার অব্যবহিত পূর্বেই হ্যাজলিট নাট্য সমালোচক হিসাবে পরিচিতি অর্জন করেছিলেন এবং সাহিত্যের অঙ্গ হিসাবেই নাটকের উপর অধিক পরিমাণে আলোকপাত করছিলেন। সেই সঙ্গে এডিনবরা রিভিউ সহ বিভিন্ন অগ্রণী পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা সাহিত্য সমালোচনামূলক বিভিন্ন রচনাও প্রকাশিত হচ্ছিল। ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ গ্রন্থটিই তাঁর প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত সাহিত্য পর্যালোচনা। যে পঁয়ত্রিশটি নাটককে হ্যাজলিট যথার্থ অর্থে শেকসপিয়রের লেখা নাটক মনে করতেন, সেগুলিকেই এই গ্রন্থে তিনি বত্রিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করেন। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অন্যান্য নিবন্ধ ও সমালোচনা থেকেও নতুন উপাদান সংগ্রহ করে হ্যাজলিট তাঁর গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বইটির মুখবন্ধে শেকসপিয়র সৃষ্ট চরিত্রগুলির অনন্যতা প্রসঙ্গে তাঁর প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলিকে উপস্থাপনা করার পাশাপাশি তিনি আলোচনা করেন পূর্ববর্তী শেকসপিয়র সমালোচনার কথাও। পরিশেষে "শেকসপিয়রের অনিশ্চিত নাটকসমূহ" ও "কবিতা ও চতুর্দশপদী" বিষয়ে দু’টি অধ্যায়ের মাধ্যমে তিনি বইটি সম্পূর্ণ করেন।

এই বইতে শেকসপিয়র সৃষ্ট চরিত্রগুলির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন হ্যাজলিট। চরিত্রগুলিকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এবং এই ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন স্মরণীয় সব শব্দগুচ্ছ ("ইট ইজ উই হু আর হ্যামলেট")। এই ব্যাখ্যায় প্রযুক্ত মনস্তাত্ত্বিক অন্তদৃষ্টি পরবর্তীকালে শেকসপিয়র সমালোচনার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল। প্রকাশের পর প্রথম দিকে বইটি তেমন প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও, শেকসপিয়রের নাটকের নাটকীয় গঠনভঙ্গি, কাব্য এবং প্রতিটি নাটকের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু ও সাধারণ প্রকৃতি সম্পর্কে হ্যাজলিটের মন্তব্যগুলি পরবর্তীকালের সমালোচকবর্গের বিস্তারিত ব্যাখ্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। হ্যাজলিট প্রায়শই বলেছেন যে, মঞ্চ-উপস্থাপনা শেকসপিয়রের নাটকগুলির প্রতি সুবিচার করতে পারে না। কিন্তু সেই সঙ্গে কয়েকটি নাটককে তিনি বিশেষভাবে অভিনয়যোগ্য বলেও মনে করেছেন। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তিনি এডমন্ড কিন প্রমুখ নির্দিষ্ট কয়েকজন অভিনেতার প্রশংসাও করেছেন।

বইটি প্রথম দিকে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল। কবি জন কিটস প্রমুখের উপর এই বইয়ের প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী। পরবর্তীকালে এটি বিশ্রীভাবে সমালোচিত হয়। হ্যাজলিটের বইখানি লেখকের জীব্দদশায় তার প্রভাবের অধিকাংশই হারিয়ে ফেলে। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এটি পুনরায় মূলধারার শেকসপিয়র সমালোচনায় প্রবেশ করে। বইয়ের প্রথম সংস্করণ দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। ১৮১৮ সালের মধ্যভাগে দ্বিতীয় সংস্করণের বিক্রি প্রথমে দ্রুত হলেও ক্রমে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ ছিল সমসাময়িক কালের টোরি সাহিত্য পত্রিকাগুলির অত্যন্ত প্রতিকূল, ব্যক্তি-আক্রমণমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনা। প্রাবন্ধিক হিসাবে হ্যাজলিটের রচনার প্রতি কেউ কেউ আগ্রহ দেখালেও তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পুনরায় তাঁর শেকসপিয়র ব্যাখ্যা নিয়ে উল্লেখযোগ্য আগ্রহের সঞ্চার ঘটে। বিংশ শতাব্দীতে প্রভাবশালী সমালোচক এ. সি. ব্র্যাডলে ও অপর কয়েকজন শেকসপিয়রের অনেক চরিত্র সম্পর্কে এই বইটির ব্যাখ্যাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপর হ্যাজলিট ও ব্র্যাডলে উভয়েই সমালোচিত হন শেকসপিয়রীয় সমালোচনা ধারার "চরিত্র" শাখার ত্রুটিবিচ্যুতি প্রদর্শনের জন্য; প্রধানত নাটকের পাত্রপাত্রীদের বাস্তব চরিত্রের মতো করে আলোচনা করার জন্য। পুনরায় শেকসপিয়রীয় সমালোচনায় হ্যাজলিটের অবদানগুলি প্রত্যাখ্যাত হয়।

চিন্তাবিদ হিসাবে হ্যাজলিটের রচনার প্রতি আগ্রহ আবার জেগে ওঠে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে। শেকসপিয়রের নাটক সম্পর্কে তাঁর সামগ্রিক চিন্তাভাবনা (বিশেষত ট্র্যাজেডিগুলি সম্পর্কে), শাইলক, ফলস্টাফ, ইমোজেন, ক্যালিবানইয়াগো প্রমুখ নির্দিষ্ট কয়েকটি চরিত্র সম্পর্কে তাঁর আলোচনা এবং নাটক ও কবিতার প্রকৃতি সম্পর্কে তাঁর সাধারণ বক্তব্য, যেমন কোরিওলেনাস-সংক্রান্ত নিবন্ধে ব্যক্ত হয়েছিল, সেগুলি নতুন করে প্রশংসিত হয় এবং অন্যান্য শেকসপিয়রীয় সমালোচনাকে প্রভাবিত করে।

অনেক নাটক সম্পর্কে হ্যাজলিটের ধ্যানধারণাগুলি তাঁর সমসাময়িক কোলরিজের বক্তব্যের চিন্তা-উদ্রেককারী বিকল্প হিসাবে মূল্যায়িত করা হয়। ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ বইটি এখন শেকসপিয়রের নাটকচর্চার অন্যতম প্রধান গ্রন্থ হিসাবে স্বীকৃত। হ্যাজলিটও শেগেল ও কোলরিজের পাশাপাশি রোম্যান্টিক যুগের তিন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেকসপিয়রীয় সমালোচকের অন্যতম হিসাবে গণ্য হন।

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

 
উইলিয়াম হ্যাজলিট, আত্ম-প্রতিকৃতি, আনুমানিক ১৮০২

১৮১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উইলিয়াম হ্যাজলিট মর্নিং ক্রনিকল পত্রিকায় নাট্য সমালোচক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর ২৬ জানুয়ারি লন্ডনের ড্রুরি লেন থিয়েটারে উইলিয়াম শেকসপিয়রের মার্চেন্ট অফ ভেনিস নাটকে শাইলকের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন এডমন্ড কিন। দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন হ্যাজলিট। তিনি একটি চিত্তাকর্ষক সমালোচনামূলক নিবন্ধ রচনা করেন।[১] এরপর আরও অনেকেই কিং রিচার্ড দ্য সেকেন্ড, কিং রিচার্ড দ্য থার্ড, হ্যামলেট, ম্যাকবেথরোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-সহ শেকসপিয়রের অন্যান্য ট্র্যাজেডিগুলিতে কিনের অভিনয়ের প্রশংসা করেন (অবশ্য কেউ কেউ বিরূপ সমালোচনাও করেছিলেন)।[২] হ্যাজলিট ওথেলো নাটকে কিনের অভিনয়কেই সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করতেন।[৩] (এই সমালোচনাগুলি মর্নিং ক্রনিকল, চ্যাম্পিয়নদি একজ্যামিনার পত্রিকার জন্য লিখিত হয়েছিল; হ্যাজলিটকে শেষ দুই পত্রিকার প্রধান নাট্য সমালোচক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছিল।)[৪] এর আগে লন্ডনে হ্যাজলিট ছিলেন অপরিচিত। নাট্য সমালোচক হিসেবে হ্যাজলিটের কর্মজীবনও তখন বেশিদিনের নয় এবং নাট্য সমালোচনা বিষয়টিও সেই সময় খুব একটা সুপরিচিত ছিল না। তবুও হ্যাজলিটের লেখা এই নিবন্ধগুলি তাঁর ও কিনের প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।[৫]

সমালোচনামূলক নিবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে হ্যাজলিটের অভ্যাস ছিল, যে নাটকটি তিনি দেখতে চলেছেন, সেটি বার বার করে পড়া।[৬] সমালোচনাগুলিতেও তিনি নাটকগুলি থেকে প্রচুর টীকা সংযোজন করতেন। এর ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নাট্য সমালোচনা পরিণত হয় সাহিত্য সমালোচনায়।[৭] বিশেষ করে শেকসপিয়রের ক্ষেত্রে অভিনেতারা, নির্দিষ্টভাবে বললে তাঁর প্রিয় অভিনেতা কিন, নাটকের বার্তা কোন পন্থায় ব্যক্ত করছেন তা বিবেচনা করে দেখতেন। কিন্তু তিনি এও লক্ষ্য করেন যে কোনও কোনও পন্থায় অভিনেতার ব্যাখ্যা ও নাট্যকারের ধারণার মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাব রয়েছে।[৮]

এই জাতীয় লেখালিখিতে হ্যাজলিটের ধ্যানধারণার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সাময়িক পত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ রচনা শুরু করেন।[৯] ১৮১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এডিনবরা রিভিউ পত্রিকার জন্য অগস্ট ভিলহেম শ্লেগেলের লেকচার্স অন ড্রামাটিক লিটারেচার গ্রন্থটি পর্যালোচনা করেন। জার্মান সমালোচক শ্লেগেল শেকসপিয়রের নাট্যসাহিত্য মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এমন এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, যা তখনও পর্যন্ত হ্যাজলিটের স্বদেশে উপস্থাপিত হয়নি। হ্যাজলিট শ্লেগেলের অনেক ধারণার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং শেকসপিয়রের সব ক’টি নাটকের মূল্যায়নসূচক সমালোচনার জন্য এমন একটি গ্রন্থ রচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, যে বইতে মূল গ্রন্থ থেকে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা যাবে এবং চরিত্র ও প্রত্যেকটি নাটকের নির্দিষ্ট বিভিন্ন গুণাবলির উপর আলোকপাত করা সম্ভব হবে। হ্যাজলিটের মনে হয়েছিল, তিনি এই ধরনের বই লিখতে সক্ষম।[১০] তাঁর লেখালিখির অভিমুখ তখন এই দিকেই ঘুরতে শুরু করেছিল (এই পর্বে একজ্যামিনার ও অন্যত্রও তাঁর বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়)। পরিবারের ভরণপোষণের জন্যও তাঁর অর্থের প্রয়োজন ছিল।[১১] এদিকে নাট্য সমালোচক হিসেবে ক্রমবর্ধমান খ্যাতির প্রেক্ষিতে তাঁর নামও প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হতে থাকে (সাময়িক পত্রের সমালোচক হিসেবে প্রথম দিকে তাঁর রচনাগুলিতে সেযুগের রীতি অনুসারে লেখকের নাম উল্লিখিত হত না)।[৮]

এইভাবেই ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ গ্রন্থটি রচিত হয়। ইতিপূর্বে নাট্য সমালোচনার জন্য তিনি যা কিছু লিখেছিলেন তার একটি বড়ো অংশ তিনি এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করেন। আ মিডসামার নাইটস ড্রিম-সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ তিনি সম্পূর্ণত গ্রহণ করেন একজ্যামিনার পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর দ্য রাউন্ড টেবিল ধারাবাহিক থেকে। প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮১৫ সালের ২৬ নভেম্বর। সেই সঙ্গে একজ্যামিনার পত্রিকাতেই ২১ জানুয়ারি ১৮১৬ তারিখে প্রকাশিত একটি নাট্য সমালোচনার কিছু অংশ এই প্রবন্ধের শেষ অনুচ্ছেদ হিসেবে যুক্ত করে দেন। অন্যান্য প্রবন্ধগুলির ক্ষেত্রেও একইভাবে বহু উপাদান সংগৃহীত হয়েছিল। "শেকসপিয়র’স এক্সঅ্যাক্ট ডিসক্রিমিনেশন অফ নিয়ারলি সিমিলার ক্যারেকটার্স" প্রবন্ধের (একজ্যামিনার, ১২ মে, ১৮১৬) বেশিরভাগ অংশই কিং হেনরি দ্য ফোর্থ, কিং হেনরি দ্য সিক্সথওথেলো-সংক্রান্ত নিবন্ধগুলির মধ্যে গৃহীত হয়।[১২] "শেকসপিয়র’স ফিমেল ক্যারেকটার্স" নিবন্ধের (একজ্যামিনার, ২৮ জুলাই, ১৮১৬) কিছু অংশ স্থান পায় সিম্বেলাইনওথেলো-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলির মধ্যে।[১৩] ১৮১৬ ও সম্ভবত ১৮১৭ সালের গোড়ার দিকে হ্যাজলিট বাকি অংশ রচনা করে বইটি সম্পূর্ণ করেন।[১৪]

সেই বছর প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধ সংকলন দ্য রাউন্ড টেবিল-এর প্রচারণার দায়িত্বে ছিলেন গ্রন্থটির প্রকাশক। এই প্রচারণার ব্যাপারে হ্যাজলিট খুশি হতে পারেননি। তাই তাঁর নতুন বইয়ের প্রচারের দায়িত্ব তিনি নিজেই নেন। এই প্রচারকার্য আংশিকভাবে চলেছিল মুখে মুখে। এছাড়া এক বন্ধুর সহায়তায় দ্য টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয় হ্যামলেট-সংক্রান্ত অধ্যায়টি। এডিনবরা রিভিউ-এর সম্পাদক ফ্রান্সিস জেফ্রিকেও তিনি অনুরোধ করেছিলেন সেই পত্রিকায় নিবন্ধটি পড়ার জন্য।[১৫] সরাসরি প্রকাশকের হাতে দেওয়ার বদলে তিনি ইতিমধ্যেই সেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুদ্রিত করেছিলেন তাঁর বন্ধু মুদ্রক ক্যারেউ হেনরি রেনেলের দ্বারা। রেনেল ১০০ পাউন্ডে এটির গ্রন্থসত্ত্ব কিনে নেন। প্রচারের কৌশল হিসাবে বইয়ের কপি ব্যক্তিগতভাবে বিতরণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত রোল্যান্ড হান্টার ও চার্লস ও জেমস ওলিয়ার ভ্রাতৃদ্বয়ের যৌথ উদ্যোগে ১৮১৭ সালের ৯ জুলাই বইটি প্রকাশিত হয়।[১৫] বইটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ছয় সপ্তাহের মধ্যেই এটির প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত হয়ে যায়। ১৮১৮ সালে টাইলর ও হেসি কর্তৃক বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[১৬] সেই বছরই শেষের দিকে বস্টনে ওয়েলস ও লিলি কর্তৃক বইটির একটি লাইসেন্স-বিহীন সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[১৭] হ্যাজলিটের জীবদ্দশায় বইটির আরও কোনও সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি।[১৮]

প্রবন্ধাবলি সম্পাদনা

হ্যাজলিট যে নাটকগুলিকে সত্যই শেকসপিয়রের রচনা বলে মনে করতেন, ক্যারেকটার্স অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ গ্রন্থে প্রধানত সেই নাটকগুলি সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন।[১৯] এই ধরনের কোনও বই ইতিপূর্বে কেউ লেখেননি।[২০] হ্যাজলিটের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নাটকের চরিত্রগুলি। সেই সঙ্গে নাটকের রচনাশৈলী ও কাব্যগুণ সম্পর্কেও তাঁর বক্তব্য গ্রন্থভুক্ত করেন তিনি।[২১] এই কাজের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর পূর্বসূরি সমালোচকদের টীকাটিপ্পনী উদ্ধৃত করেন এবং চরিত্রগুলির মঞ্চ-উপস্থাপনা সম্পর্কেও আলোচনা করেন। এই বইতে মূল নাটক-সংক্রান্ত প্রবন্ধের সংখ্যা বত্রিশ। তবে দু’টি প্রবন্ধের বিষয়বস্তু মোট পাঁচটি নাটক। সেই হিসাবে বইটিতে আলোচিত নাটকের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি "মুখবন্ধ" তথা অনিশ্চিত নাটক (অর্থাৎ, যে নাটকগুলি প্রকৃতপক্ষে শেকসপিয়রের রচনা নাও হতে পারে) এবং কবিতা ও চতুর্দশপদী নিয়ে যথাক্রমে "ডাউটফুল প্লেজ অফ শেকসপিয়র" ও "পোয়েমস অ্যান্ড সনেটস" শীর্ষক দু’টি অধ্যায়। প্রতিটি অধ্যায় এক-একটি একক প্রবন্ধের আকারে লিখিত হলেও রচনাশৈলী ও দৈর্ঘ্যের দিক থেকে সেগুলি হ্যাজলিট ও লেই হান্ট কর্তৃক যৌথভাবে লিখিত দ্য রাউন্ড টেবিল (১৮১৭) নামক বিবিধ প্রবন্ধ সংকলনের প্রবন্ধগুলির অনুরূপ।[২২] উল্লেখ্য, দ্য রাউন্ড টেবিল গ্রন্থে শতাব্দীকাল পূর্বে দ্য স্পেক্টেটর পত্রিকায় সাময়িকপত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধের যে রচনাশৈলীর প্রবর্তন ঘটেছিল, তাকে অনুসরণ করা হয়।[১১]

কমেডিগুলির মধ্যে হ্যাজলিট প্রশংসার যোগ্য অনেক উপাদান পেলেও তাঁর কাছে ট্র্যাজেডি ছিল স্বাভাবিক গুণে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শেকসপিয়রীয় ট্র্যাজেডিগুলির প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।[২৩] এই ক্ষেত্রে জনসনের সঙ্গে তাঁর মতে অমিল লক্ষিত হয়। কারণ, জনসন মনে করতেন, শেকসপিয়রের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল তাঁর কমেডি। হ্যাজলিটের মতে, শেকসপিয়রের শ্রেষ্ঠ নাটকগুলি হল তাঁর ট্র্যাজেডিগুলি—বিশেষত ম্যাকবেথ, ওথেলো, কিং লিয়ার, ও হ্যামলেট। ট্র্যাজেডি প্রসঙ্গে হ্যাজলিটের মন্তব্যগুলির মধ্যে প্রায়শই মিশে গিয়েছিল সাধারণভাবে কাব্য ও কল্পনাশ্রয়ী সাহিত্যের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তাঁর ধ্যানধারণাগুলি।[২৪] কিং লিয়ার-সংক্রান্ত অধ্যায়ের শেষভাগে তিনি বলেন যে, ট্র্যাজেডি বর্ণনা করে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অনুভূতিগুলি এবং "প্রতিভাবানের শ্রেষ্ঠ শক্তি এখানে গ্রথিত হয়েছে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অনুভূতিগুলির বিবরণ দানে: কল্পনার শক্তির জন্য, আবিষ্কারের কাজে, স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার শক্তির অনুপারে, যা সেগুলির বিষয়বস্তু।"[২৫]

মুখবন্ধ সম্পাদনা

"মুখবন্ধ" অংশে "চরিত্র"গুলির উপর আলোকপাত করার ক্ষেত্রে হ্যাজলিট পোপের মন্তব্য উদ্ধৃত করেন, "শেকসপিয়রের প্রত্যেকটি চরিত্র ততটাই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যপূর্ণ, যতটা তা বাস্তব জীবনে হয়ে থাকে"।[২৬] শেকসপিয়রের অন্যান্য সমালোচকদের রচনা পর্যালোচনার পর হ্যাজলিট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দু’জনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। এঁদের অন্যতম ছিলেন পূর্ববর্তী যুগের অগ্রণী প্রভাবশালী সাহিত্য সমালোচক ড. জনসন। তাঁর শেকসপিয়র সমালোচনার মধ্যে হ্যাজলিট বিভিন্ন গোলযোগের সন্ধান পান। ট্র্যাজেডির ক্ষেত্রে জনসনের মূল্যায়ন ছিল অপর্যাপ্ত। কাব্যরসের সারাংশের অনেকটাই তিনি উপেক্ষা করে গিয়েছিলেন; এবং তিনি "সব কিছু নামিয়ে এনেছেন প্রথাগত ঔচিত্যবোধের সাধারণ স্তরে [...] সর্বাপেক্ষা চমৎকারিত্বপূর্ণ ঔৎকর্ষ বা সূক্ষ্মতা যা তাঁর মনে ছাপ ফেলেছিল, তা শুধুমাত্র পরিমিত গদ্যের ভাষায় তাঁরা অনুবাদ করতে পারেন"।[২৭] জনসন এও বিশ্বাস করতেন যে, শেকসপিয়রের প্রত্যেকটি চরিত্রই একটি "বর্গ" বা "প্রজাতি"-র প্রতিভূ।[২৮] অন্যদিকে হ্যাজলিট পোপের পক্ষাবলম্বন করে শেকসপিয়র সৃষ্ট চরিত্রগুলির ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের উপর জোর দেন। তিনি এই চরিত্রগুলিকে যতটা সামগ্রিকতার সহিত আলোচনা করেছিলেন তা ইতিপূর্বে কেউ করেননি।

জার্মান সমালোচক অগস্ট ভিলহেম শ্লেগেলে নাটক-সংক্রান্ত বক্তৃতাগুলি অল্পকাল পূর্বেই ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছিল। কোনও ইংরেজ সমালোচকের পরিবর্তে তাঁকেই হ্যাজলিট শেকসপিয়রের নাটকের শ্রেষ্ঠ সমালোচক মনে করতেন। এই গ্রন্থে শ্লেগেলের রচনার একাধিক দীর্ঘ অংশ উদ্ধৃত করেন। শুধুমাত্র শ্লেগেলের ব্যাখ্যায় যাকে তিনি "অতিন্দ্রীয়বাদ" বলে উল্লেখ করেন, সেই ব্যাপারে তিনি দ্বিমত পোষণ করেন। হ্যাজলিটের মনে হয়, শেকসপিয়রের বিষয়ে শ্লেগেলের বিশেষ আগ্রহ ছিল এবং যা ড. জনসনের মধ্যে ছিল না। হ্যাজলিট উল্লেখ করেন, "শেকসপিয়র প্রসঙ্গে আগ্রহের অভাবের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহই মার্জনীয়; কারণ, আমাদের প্রশংসা সহজে তাঁর প্রতিভাকে অতিক্রম করতে পারে না।"[২৯]

সিম্বেলাইন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Jones 1989, pp. 133–34.
  2. Maclean 1944, p. 300.
  3. Wardle 1971, p. 142; Jones 1989, p. 134.
  4. See A View of the English Stage, in Hazlitt 1930, vol. 5, pp. 179–90, 200–24.
  5. Maclean 1944, pp. 301–2; Jones 1989, pp. 133–35.
  6. Grayling 2000, p. 166.
  7. Maclean 1944, p. 302.
  8. Kinnaird 1978, p. 166.
  9. Wardle 1971, pp. 147–48.
  10. Wardle 1971, p. 197.
  11. Wu 2008, p. 184.
  12. Hazlitt 1930, vol. 20, p. 407.
  13. Hazlitt 1930, vol. 20, p. 408.
  14. It was complete by 20 April. Wardle 1971, p. 197. See also Maclean 1944, p. 352; Wu 2008, p. 184.
  15. Wu 2008, p. 211.
  16. Wardle 1971, p. 224.
  17. Wu 2008, p. 212.
  18. Wardle 1971, p. 226.
  19. Wardle 1971, pp. 197–204; Hazlitt 1818, pp. 335–45.
  20. Wardle 1971, p. 204.
  21. Kinnaird 1978, pp. 175–76.
  22. Kinnaird 1978 p. 173.
  23. As critic John Kinnaird observed, "only three of the book's first fourteen essays deal with non-tragic plays". Kinnaird 1978, p. 174.
  24. Kinnaird 1978, p. 174.
  25. Hazlitt 1818, p. 177. Quote: "the greatest strength of genius is shewn here in describing the strongest passions: for the power of the imagination, in works of invention, must be in proportion to the force of the natural impressions, which are the subject of them."
  26. Quoted in Hazlitt 1818, p. viii. Quote: "every single character in Shakespear, is as much an individual, as those in life itself".
  27. Hazlitt 1818, pp. xvi–xvii. Quote: "reduced everything to the common standard of conventional propriety [...] the most exquisite refinement or sublimity produced an effect on his mind, only as they could be translated into the language of measured prose".
  28. Kinnaird 1978, p. 173.
  29. Hazlitt 1818, p. xvi. Quote: "An overstrained enthusiasm", he remarks, "is more pardonable with respect to Shakespear than the want of it; for our admiration cannot easily surpass his genius."

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • [Anonymous]. "Art. IX. – Characters of Shakespear's Plays. By William Hazlitt. 8vo. London. 1817", The Quarterly Review. Volume XVIII (October 1817 & May 1818), London: John Murray, 1818, pp. 458–66.
  • [Anonymous]. "Hazlitt's Characters of Shakspeare's Plays" (review), The British Critic. Volume IX (July–December 1818), pp. 15–22.
  • Arac, Jonathan. "The Impact of Shakespeare", The Cambridge History of Literary Criticism: Volume 5: Romanticism, edited by Marshall Brown. Cambridge: Cambridge University Press, 2000, pp. 272–95.
  • Baker, Herschel. William Hazlitt. Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press, 1962.
  • Bate, Walter Jackson. Criticism: The Major Texts; Enlarged Edition. New York: Harcourt, Brace, Jovanovich, Inc., 1952, 1970.
  • Bate, Walter Jackson. John Keats. Cambridge, Massachusetts: Belknap Press of Harvard University Press, 1963.
  • Bloom, Harold. Falstaff. New York: Scribner, 2017.
  • Bloom, Harold. Introduction. Bloom's Shakespeare Through the Ages: Othello. New York: Checkmark Books, 2008.
  • Bloom, Harold. The Western Canon: The Books and School of the Ages. New York: Harcourt Brace & Company, 1994.
  • Bradley, A.C. "Coriolanus: British Academy Lecture 1912", in A Miscellany. London: Macmillan, 1929.
  • Bradley, A.C. Shakespearean Tragedy. Cleveland and New York: The World Publishing Company, 1955 (originally published 1904).
  • Bromwich, David. Hazlitt: The Mind of a Critic. New Haven: Yale University Press, 1999 (originally published 1983).
  • Chambers, R. W. Man's Unconquerable Mind: Studies of English Writers, from Bede to A.E. Housman and W.P. Ker. London: Jonathan Cape, 1939.
  • Coleridge, Samuel Taylor. The Collected Works of Samuel Taylor Coleridge – Lectures 1818–1819: On Literature II. London: Routledge, 1987.
  • Dusinberre, Juliet. "Introduction", The Arden Shakespeare As You Like It. Edited by Juliet Dusinberre. London: Arden Shakespeare, 2006.
  • Eastman, Arthur M. A Short History of Shakespearean Criticism. New York: Random House, 1968.
  • Gilman, Albert. "Introduction", The Signet Classic Shakespeare As You Like It. Edited by Albert Gilman. New York: New American Library, 1963.
  • Grayling, A.C. The Quarrel of the Age: The Life and Times of William Hazlitt. London: Weidenfeld & Nicolson, 2000.
  • Hazlitt, William. Characters of Shakespear's Plays. Second edition. London: Taylor and Hessey, 1818.
  • Hazlitt, William. The Complete Works of William Hazlitt. Edited by P.P. Howe. London: J.M. Dent & Sons, 1930.
  • Hazlitt, William. Criticisms and Dramatic Essays of the English Stage. London: G. Routledge, 1854.
  • Hazlitt, W. Carew. Memoirs of William Hazlitt, vol 1. London: Richard Bentley, 1867.
  • Heller, Janet Ruth. Coleridge, Lamb, Hazlitt, and the Reader of Drama. Columbia: University of Missouri Press, 1990.
  • Howe, P.P. The Life of William Hazlitt. London: Hamish Hamilton, 1922, 1947 (reissued in paperback by Penguin Books, 1949; citations are to this edition).
  • Hunt, Leigh. Leigh Hunt's Dramatic Criticism, 1808–31. Edited by Carolyn Washburn Houtchens and Lawrence Huston Houtchens. New York: Columbia University Press, 1949.
  • Hunt, Leigh. টেমপ্লেট:"'Characters of Shakespear's Plays' by William Hazlitt", The Examiner (26 October 1817).
  • Ireland, Alexander. William Hazlitt: Essayist and Critic; Selections from His Writings; With a Memoir, Biographical and Critical. London and New York: Frederick Warne and Co., 1889.
  • [Jeffrey, Francis]. "Art. IX. Characters of Shakespeare's Plays. By William Hazlitt." The Edinburgh Review, No. LVI (August 1817), pp. 472–88.
  • Jones, Stanley. Hazlitt: A Life from Winterslow to Frith Street. Oxford and New York: Oxford University Press, 1989.
  • Kinnaird, John. William Hazlitt: Critic of Power. New York: Columbia University Press, 1978.
  • Lamb, Charles. "Theatralia. No. 1. On Garrick, and Acting; and the Plays of Shakspeare, Considered with Reference to Their Fitness for Stage Representation", The Reflector: A Quarterly Magazine, on Subjects of Philosophy, Politics, and the Liberal Arts, vol. 2 (March–December 1811), pp. 298–313.
  • Maclean, Catherine Macdonald. Born Under Saturn: A Biography of William Hazlitt. New York: The Macmillan Company, 1944.
  • Mahoney, John L. The Logic of Passion: The Literary Criticism of William Hazlitt. New York: Fordham University Press, 1981.
  • McGinn, Colin. Shakespeare's Philosophy: Discovering the Meaning Behind the Plays. New York: Harper Perennial, 2006.
  • Natarajan, Uttara. Hazlitt and the Reach of Sense: Criticism, Morals, and the Metaphysics of Power. Oxford: Clarendon Press, 1998.
  • Paulin, Tom. The Day-Star of Liberty: William Hazlitt's Radical Style. London: Faber and Faber, 1998.
  • Raleigh, Walter, Johnson on Shakespeare. London: Henry Frowde, 1908.
  • Schneider, Elisabeth. The Aesthetics of William Hazlitt. Philadelphia: University of Pennsylvania Press, 1933; Second Edition, 1952.
  • Smith, Emma. Shakespeare's Comedies. Oxford: Blackwell, 2003.
  • Steppat, Michael. The Critical Reception of Shakespeare's Antony and Cleopatra from 1607 to 1905. Amsterdam: Grüner, 1980.
  • Thackeray, William Makepeace. Complete Works. New York: Harper, 1904.
  • Wardle, Ralph M. Hazlitt. Lincoln: University of Nebraska Press, 1971.
  • Wellek, René. A History of Modern Criticism: 1750–1950: The Romantic Age. New Haven and London: Yale University Press, 1955.
  • Wilson, John Dover. The Fortunes of Falstaff. Cambridge: Cambridge University Press, 1943.
  • Wu, Duncan. William Hazlitt: The First Modern Man. Oxford: Oxford University Press, 2008.

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা