কোমল চাউল অসমে উৎপাদিত হওয়া একপ্রকারের চাল। সাধারণত চকোয়া, নানিয়া বা তেমনধরনের ধান থেকে কোমল চাউল উৎপাদন করা হয়। এই চাল রান্না না করে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় বলেই বিশেষ সমাদর লাভ করেছে। কুসুম বা গরম জলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে নিলে বা ঠাণ্ডা জলে ৩০ মিনিট ভেজালে এই চাল খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়। অসমীয়া লোকেরা কোমল চাউলকে জলখাবার হিসাবে খায়। মাঘ বিহুর এটিই অন্যতম খাদ্য

কোমল চাউল
আলু পিটিকা, তিওয়া বুট-মাষ ও ভোট জলকীয়ার আচারের সাথে কোমল চাউল
প্রকারসম্পূর্ণ খাদ্য, জলখাবার, বা আঙ্গিক খাদ্য
উৎপত্তিস্থলভারত
অঞ্চল বা রাজ্যঅসম
প্রধান উপকরণকোমল চাউল
ভিন্নতামিষ্টি বা নোনতা
অন্যান্য তথ্যবোকা চাউল

কোমল চাউলের একটি প্রকার বোকা চাউল ২০১৮ সালে ভারতের ভৌগোলিক স্বীকৃতি লাভ করে।[১][২]

উৎপাদন সম্পাদনা

অসমের প্রায় সব জেলায়[৩] কোমল চাউলের চাষ করা হয়। প্ৰধানত শালি ধান হিসাবে এই চালের চাষ করা হয়। এই চাষ জুন মাসে আরম্ভ হয় এবং ডিসেম্বর মাসে এই ধান তোলা হয়। ১৭ শতকে মোগলদের সাথে যুদ্ধ করা আহোম সৈন্যের জন্য এটিই ছিল দেহের শক্তিদায়ী ইন্ধন।

ভৌগোলিক স্বীকৃতি সম্পাদনা

২০১৬ সালে নলবাড়ির লটাস প্রগ্ৰেসিভ সেণ্টার এবং গুয়াহাটীর সেণ্টার ফর এনভারমেণ্ট এডুকেশন কোমল চাউলের একটি প্রকার বোকা চাউলের ভৌগোলিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিল। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বোকা চাউল ভৌগোলিক স্বীকৃতি লাভ করে।[৪]

পুষ্টি এবং ব্যবহার সম্পাদনা

কুসুম বা গরম জলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে নিলে বা ঠাণ্ডা জলে ৩০ মিনিট ভেজালে এই চাল খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়। নরম হওয়ার পর দই, কলা, দুধ বা গুড়ের সাথে কোমল চাউল খাওয়া হয়। তাছাড়া নুন-তেল-আদা কিংবা তিওয়া বুট-মাষ ও ভোট জলকীয়ার আচারের সাথে কোমল চাউল খাওয়ার রীতি আছে। অসমীয়া লোকেরা কোমল চাউলকে জলখাবার হিসাবে খায়। মাঘ বিহুর এটিই অন্যতম খাদ্য

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের জৈবপ্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ এই চালের ওপর গবেষণা করে এর পুষ্টিতত্ত্বগুলি চিহ্নিত করেছে। তাঁদের গবেষণা অনুসারে, কোমল চাউলে ১০.৭৩ শতাংশ ফাইবার ও ৬.৪ শতাংশ প্রোটিন থাকে এবং এই ধানের প্রজাতিতে মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ এমায়লোজ থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'The rice that needs no cooking': magic rice variety from Assam gets GI tag" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৪ 
  2. "ভৌগোলিক চিহ্ন প্রাপ্ত অসমর যাদুকরী চাউল–কোমল চাউল বা বোকা চাউল : — বিকাশপেডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৪ 
  3. "Boka Saul of Assam "That Needs No Cooking" Gets GI Tag » Northeast Today" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-১০। ২০১৮-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৪ 
  4. "Soft rice grown in Assam in line for GI tag" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৪ 

টেমপ্লেট:ভৌগোলিক স্বীকৃতি