কে.এম. জাহিদ সারোয়ার
কে এম জাহিদ সারওয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।[১] তিনি বাংলাদেশের সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।[২]
কে এম জাহিদ সারোয়ার | |
---|---|
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১২ অক্টোবর ১৯৯৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৭১ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | বিচারক |
জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা
সারোয়ার ১৯৭১ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[৩]
কর্মজীবন সম্পাদনা
১৯৯৫ সালের ১২অক্টোবর এবং ১৯৯৭ সালের ৩০অক্টোবর যথাক্রমে জেলা আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন সারোয়ার।[৩]
২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক নির্বাচিত হন সারোয়ার।[৪]
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সারোয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩] তিনি বিডিআর বিদ্রোহের বিচারে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[৫]
২১:অক্টোবর ২০১৯ সালে সারোয়ার হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[৩]
২১অক্টোবর ২০১৯ সালে সারোয়ার হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[৩][৬]
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সারোয়ার এবং বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় জামিন দিতে অস্বীকার করেন।[৭] হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় প্রি ট্রায়াল ডিটেনশনে থাকার পর ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আটক হওয়া ঝুমন দাসকে জামিন দিয়েছেন সারোয়ার ও বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম।[৮] ২০২১ সালের ১৯শে অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ সারোয়ারকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক নিযুক্ত করেন।[৯] সেপ্টেম্বরে সারোয়ার এবং বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম একটি রায়ে ঘোষণা করেন যে নিম্ন আদালত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার পুলিশ হেফাজতে রেখে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।[১০][১১] তাঁরা এই মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণের সমালোচনা করেন।[১২] নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা তাঁদের কাজের জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।[১৩]
২১ এপ্রিল ২০২২ সালে সারোয়ার এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ একদিনের শুনানিতে ১৫০১টি মামলা নিষ্পত্তি করেন।[১৪]
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সরওয়ার এবং বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক কলাবাগান ও লেভেলের ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন নামঞ্জুর করেন।[১৫][১৬]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Chief justice forms 9 more HC benches for virtually disposing of 'very urgent cases'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "HC order not to torture Aman during interrogation"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "Court asks Sujan not to function as SCBA secy until May 25"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "9 Years of BDR Carnage: Still waiting for justice"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "High Court gets nine new judges"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "HC rejects Bashundhara Group MD's anticipatory bail plea"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "Jhumon Das granted bail"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "Nine new High Court judges take oath"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "Lower courts abused their authority: HC"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮।
- ↑ Staff Correspondent (২০২১-০৯-১৬)। "Pori Moni Remand: HC expresses discontent at explanation of 2 judges"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ Staff Correspondent (২০২১-০৯-৩০)। "Pori on Remand: 'They have undermined this court'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮।
- ↑ "Magistrates apologise for Pori Moni remand decisions"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮।
- ↑ "HC bench clears 1501 cases in a single day"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "Rape, murder of O-level student: HC denies bail to Fardin"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।
- ↑ "O-level student dead after rape in Dhaka's Kalabagan, family claims"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৯।