এস এম এমদাদুল হক

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি

এস এম এমদাদুল হক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

এস এম এমদাদুল হক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৩ আগস্ট ২০০৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1963-11-07) ৭ নভেম্বর ১৯৬৩ (বয়স ৬০)
শিক্ষারাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

এমদাদুল হক ১৯৬৩ সালের ৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

এমদাদুল হক ১৯৯০ সালের ৭ অক্টোবর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।[২]

১৯৯২ সালের ২৬ নভেম্বর, এমদাদুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন আইনজীবী হন।[২]

২০০৪ সালের‌ ২৩ আগস্ট, এমদাদুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান।[২] পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট ২০০৬ সালে তিনি স্থায়ী বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন।[১]

এমদাদুল হক সহ অন্যান্য ১৮জন বিচারক হাইকোর্ট বিভাগের একটি রায়ের বিরোধিতা করেছিলেন, যা সরকারকে ১০ জন বিচারকের নিয়োগ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। রায়টি বিএনপি সরকার ২০০৮ সালের জুলাইয়ে অস্বীকার করেছিল।[৩]

২০০৯ সালের ২৭ আগস্ট, এমদাদুল হক ও বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান ২০০১ সালে দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলা থেকে সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে খালাস দেন।[৪]

২০১০ সালের ডিসেম্বরে, এমদাদুল হক ও বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম "অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কর জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই" মর্মে গুলশান ক্লাবের করা একটি পিটিশনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে গুলশান ক্লাবের আয়কর দিতে হবে উল্লেখ করে একটি আদেশ জারি করেন [৫]

এমদাদুল হক ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান তালসারা দরবার শরীফ ডাকাতির মামলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের আগস্টে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আদেশ জারি করেন।[৬]

এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ২০০২ সালে এক কিশোরীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নেত্রকোনার নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  3. Staff Correspondent (২০০৮-০৭-২৮)। "19 sitting judges oppose HC rule"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  4. Staff Correspondent (২০০৯-০৮-২৭)। "Joynal Hazari acquitted of charges"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  5. Staff Correspondent (২০১০-১২-১৪)। "Gulshan Club not exempted from paying income tax"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  6. jagonews24.com। "Ctg shrine looting: Trial against Rab men to go on"jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯ 
  7. Report, Star Online (২০২০-১২-১৪)। "HC acquits 5 death row convicts in a Netrokona rape case"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৯