কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী

কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী (জন্মঃ ১১৯৮ বঙ্গাব্দ — মৃত্যুঃ ১২৫১ বঙ্গাব্দ) রসসাগর উপাধিপ্রাপ্ত নদীয়ার রাজকবি।[১]

কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
জন্ম১৭৯১ খ্রিস্টাব্দ
বাড়ীবাঁকা গ্রাম, বুড়িপোতা, মেহেরপুর, বাংলাদেশ
মৃত্যু১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দ
পরিচিতির কারণনবদ্বীপ রাজবংশের সভাকবি, তার উপাধি ছিল রসসাগর

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মেহেরপুর জেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাড়ীবাঁকা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] বাল্যকাল থেকেই মুখে মুখে ছোট ছোট কবিতা রচনা করতে পারতেন। পরবর্তীতে দস্যু কর্তৃক পৈত্রিক সম্পদ লুণ্ঠিত হলে অর্থকষ্টে পড়েন এবং চাকুরির সন্ধানে কৃষ্ণনগর আসেন। তদানীন্তন রাজা গিরীশচন্দ্র তাকে মাসিক ত্রিশ টাকা বৃত্তিতে নদিয়া রাজপরিবারের সভাকবির পদ প্রদান করেন।

সভাকবি সম্পাদনা

নদীয়ার রাজা গিরিশচন্দ্রের সভায় হাস্যরসিক স্বভাবকবি হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন তিনি। সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দিফারসি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। মুখে মুখে পয়ার ত্রিপদী ও চতুষ্পদী ছন্দে সরস কবিতা রচনায় পারদর্শিতা দেখে মহারাজ তাকে রসসাগর উপাধিতে ভূষিত করেন। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সাথে রসসাগরের বিশেষ হৃদ্যতা জন্মে, তিনি গুপ্তকবির প্রশংসায় 'ঈশ্বর গুপ্তের নাম লুপ্ত নাহি হবে' এই কাব্য রচনা করলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তার সম্মানে 'রসসাগরের রস শুষ্ক নাহি হবে' কবিতা ততক্ষনাৎ রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। কবি শেষ জীবন শান্তিপুরে মেয়ের কাছে অতিবাহিত করেন।[৩]

রচিত গ্রন্থ সম্পাদনা

রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ 'সমস্যা পূরান'[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Rāẏa, Mohita (১৯৮৮)। Nadīẏa uniśa śataka। Amara Bhāratī। 
  2. রস-সাগর কবি কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পুরণ, পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন কর্তৃক সংগৃহীত ও সম্পাদিত, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এন্ড সন্স কর্তৃক প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ১৯
  3. "পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৭ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫ 
  4. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১০২। আইএসবিএন 81-85626-65-0