কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠি

চুয়াডাঙ্গা জেলার কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থিত একটি নীলকুঠি

কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠি নীল চাষ, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের জন্য ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। বৃটিশ আমলে নির্মিত কুঠিটি বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ভৈরব নদীর তীরে (বর্তমান রঘুনাথপুর-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের পাশে) অবস্থিত। সেসময় কুঠির স্থানটি 'নিশ্চিন্তপুর' গ্রাম নামে পরিচিত ছিল।[১][২]

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৬০-৬১ সালে নীল বিদ্রোহ হয়। এসময় নীল বিদ্রোহ দমন তথা প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য নদীয়া জেলাকে পাঁচটি মহকুমায় ভাগ করা হয়। এগুলো হলো কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, চুয়াডাঙ্গা , মেহেরপুর, ও কুষ্টিয়া। ১৮৬১ সালে চুয়াডাঙ্গা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম মহকুমার সদর দফতর ছিল দামুড়হুদা।[৩] তখন চুয়াডাঙ্গায় নীল চাষের জন্য এটি ব্রিটিশদের প্রধান ঘাঁটি ছিল।[১] বণিক ফ্রেডারিক অ্যাসকল এখানে প্রথম বাণিজ্যিক কুঠি স্থাপন করেন। অ্যাসকল কাসিমবাজার নবাব স্টেটের কাছ থেকে পত্তনি বন্দোবস্ত সূত্রে এ সম্পত্তি লাভ করেন। এই কুঠির অধীনে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রানাঘাট প্রভৃতি এলাকায় নিজস্ব ২৪৭ বর্গমাইল জমি ছিল। কুঠিটির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৩ হাজার ২শত বিঘা জমিতে ৯ শত মন নীল উৎপন্ন হতো। এটির অধীনস্থ চাষী ও কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৩ হাজার।[৪]

স্থাপনা সম্পাদনা

বর্তমানে কুঠিটির মূলভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত। টিকে থাকা ভবনটি ১৯৮৩ সালে সংস্কার করে কার্পাসডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়েছে। নীলকুঠির এলাকায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শ্বেতাঙ্গ কমকর্তাদের একটি সমাধিক্ষেত্র এখনো টিকে আছে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "উপজেলার ঐতিহ্য"চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আনুষ্ঠানিক বাতায়ন। ২০১৯-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০২ 
  2. সালেহ, আবু আফজাল (২০২০-০৫-২৩)। "কবি নজরুলের স্মৃতিধন্য চুয়াডাঙ্গা"জাগো নিউজ। ২০২০-১২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৬ 
  3. মোঃ মাহতাব উদ্দিন (২০১৩-০২-০৪)। "চুয়াডাঙ্গা নগরীর প্রাচীন ইতিহাস"দৈনিক সংগ্রাম। দৈনিক সংগ্রাম। ১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৮ 
  4. "নীল চাষ ও নীল বিদ্রোহের সূতিকাগার চুয়াডাঙ্গা"দৈনিক সংগ্রাম। ২০১৮-০৪-০৯। ২০২২-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০২