কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[১] এটি সন্দ্বীপ উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়।
কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
ঠিকানা | |
, | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩০′০১″ উত্তর ৯১°২৭′২২″ পূর্ব / ২২.৫০০৩° উত্তর ৯১.৪৫৬০° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯০২ |
প্রতিষ্ঠাতা | জে. ডি. কার্গিল |
বিদ্যালয় জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
ইআইআইএন | ১০৪৯৪৫ |
প্রধান শিক্ষক | এ. এইচ. এম. আহসান উল্লাহ নিযামী |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৭ |
শ্রেণি | ৬ষ্ঠ- ১০ম |
লিঙ্গ | সহশিক্ষা |
ক্যাম্পাস | গ্রাম্য |
শিক্ষায়তন | ১.১৫ একর |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ এপ্রিল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দ্বারা পুরানো সন্দ্বীপ শহরে ১২ জন ছাত্র নিয়ে একটি মাইনর স্কুল চালু করা হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে এই স্কুলটি মধ্য ইংরেজি স্কুলে পরিবর্তিত হয়। নোয়াখালীর তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট জে. ডি. কার্গিল ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ পরিদর্শন করেন। সন্দ্বীপে উচ্চশিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে উন্নিত করেন তিনি। জে. ডি. কার্গিল ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি স্কুলের ভিত্তি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে স্কুলটির নামকরণ করা হয় জে. ডি. কার্গিলের নামে।
বিদ্যালয়টির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন শ্রী শচীন্দ্র গুহ। ২৮ জুলাই ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য স্থায়ী অনুমোদন দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিদ্যালয় ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল আজম খান বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি বিদ্যালয় ভবন পুনর্গঠনের আশ্বাস দেন। ১৯৮৪ সালে, বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ. এম. এরশাদ বিদ্যালয়টির জাতীয়করণের জন্য সন্দ্বীপে গিয়েছিলেন। তিনি বিদ্যালয়টির জাতীয়করণ মঞ্জুর করেন। ১৯৯৪ সালে মেঘনার ভাঙ্গনে বিদ্যালয় এলাকা ধ্বংস হয়ে নদীর পানির নিচে চলে যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি হারামিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।[২]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সন্দ্বীপ উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- ↑ সন্দ্বীপঃ শিক্ষা-সমীক্ষা। Chittagong: Sandwip Education Society Chiittagong। ২০১২। পৃষ্ঠা 231–234। আইএসবিএন 978-984-33-4540-0।