কারিতাস বাংলাদেশ
কারিতাস বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা। এটি কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিসের সদস্য। ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব বাংলাদেশ সংস্থাটি পরিচালনা করে।। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেবাষ্টিয়ান রোজারি। এছাড়া পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এর দায়িত্ব পালন করছেন রিমি সুবাস দাশ (ডেজিগনেট) ও পরিচালক (কর্মসূচি) এর দায়িত্ব পালন করছেন দাউদ জীবন দাশ। [১]
পূর্বসূরী | কারিতাস পাকিস্তান |
---|---|
ধরন | অলাভজনক, এনজিও |
নিবন্ধন নং | ০০৯ |
আইনি অবস্থা | দান |
উদ্দেশ্য | মানবিক সহায়তা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সমাজ সেবা |
সদরদপ্তর | ২, আউটার সার্কুলার রোড, শান্তিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে | বাংলাদেশ |
সভাপতি | জের্ভাস রোজারিও |
সহ-সভাপতি | থিওটোনিয়াস পি. রেবেইরো |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিস |
ওয়েবসাইট | www |
প্রাক্তন নাম | ক্রিশ্চিয়ান অর্গানাইজেশন ফর রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (সিওআর) |
ইতিহাস
সম্পাদনাকারিতাস বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে কারিতাস পাকিস্তানের পূর্ব শাখা হিসাবে। ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পরে, এটি পুনরায় খ্রিস্টান ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থা (কোর) নামে সংগঠিত করা হয়। এটি ১৯৭১ সালের ১৩ ই জানুয়ারী একটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।[২]
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে এটি ১৯৭২ সালে সমিতি নিবন্ধন আইন, ১৮৬০ এর অধীনে পুনরায় নিবন্ধিত হয়। ১৯৭৬ সালে সংস্থাটির নামকরণ হয় কারিতাস বাংলাদেশ। ১৯৮১ সালের ২২ শে এপ্রিল কারিতাস এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, বাংলাদেশের অধীনে নিবন্ধিত হয়।[৩]
আঞ্চলিক কার্যালয়
সম্পাদনাকারিতাস বাংলাদেশের সদর দফতরটি ঢাকার শাহজাহানপুরের শান্তিবাগে অবস্থিত। এছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে এটি আটটি স্থানীয় অফিস রয়েছে।
ট্রাস্ট এবং প্রকল্পসমূহ
সম্পাদনাবর্তমানে তিনটি ট্রাস্টসহ মোট ৯৪টি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে।
- কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (সিডিআই)
- কোর দ্যা জুট ওয়ার্কস(সিজেডাব্লিউ
- মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ এন্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)
- আসক্তদের জন্য বাংলাদেশ পুনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র (বারাকা)[৪]
জরুরী প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাকারিতাস বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় আম্পান,[৫] ঘূর্ণিঝড় বুলবুল,[৬] বাংলাদেশে ২০১৭ সালের বন্যা,[৭] ঘূর্ণিঝড় সিডর,[৮] ইত্যাদির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এটি কোভিড-১৯ মহামারী,[৯] এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সহ চলমান জাতীয় সঙ্কটে সহায়তামূলক প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "General Body"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭।
- ↑ "Bangladesh"। www.caritas.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪।
- ↑ "Caritas Bangladesh"। internationalmigrantday2020ctg.org।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Trust / Project Offices"। Caritas Bangladesh।
- ↑ Conolly, Benjamin (২০২০-০৬-০৩)। "Cyclone devastated Bangladesh receives aid from Caritas"। The Catholic Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।
- ↑ "Cyclone Bulbul hits Bangladesh and India, killing more than 20 people and displacing two million"। Asia News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।
- ↑ "Caritas to aid flood victims in Bangladesh"। UCA News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।
- ↑ "Cyclone Sidr, Caritas Bangladesh rushes to aid population"। Asia News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।
- ↑ "করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৪৭ পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।
- ↑ "UN, Caritas Bangladesh aid Rohingya refugees after deadly fire"। Vatican News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৫।