কামরুল ইসলাম (রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম (জন্ম: ১ জুন ১৯৫০) হলেন বাংলাদেশের একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবদ যিনি ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অ্যাডভোকেট
কামরুল ইসলাম
বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯
পূর্বসূরীরমেশ চন্দ্র সেন
উত্তরসূরীসাধন চন্দ্র মজুমদার
ঢাকা-২ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীআব্দুল মান্নান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমোহাম্মদ কামরুল ইসলাম
১ জুন ১৯৫০
ঢাকা, পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সম্পর্কউবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ভগ্নিপতি)

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

কামরুল ইসলাম ১৯৫০ সালের ১লা জুন ঢাকার মোহাম্মদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাকিম খোরশেদুল ইসলাম এবং মাতা হালিমা খাতুন চৌধুরী তারা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি গভর্নমেন্ট ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮২ সালে এল.এল.বি পাশ করেন।

ঢাকা বারে যোগদানের মাধ্যমে আইন পেশা শুরু করেন কামরুল ইসলাম। পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৬-২০০১ সালে কামরুল ইসলাম ঢাকার পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

কামরুল ইসলাম ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক গণআন্দোলনে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে হন।[] ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় পুনরায় সংসদ সদস্য হন।[] ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনঃরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[] ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[]

তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়অরি ২০১৪ থেকে তিনি খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

কামরুল ইসলাম ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে বেগম তায়েবা ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতীর চার সন্তান - সায়েমা ইসলাম, সামিরা ইসলাম, সেগুপ্তা ইসলাম ও ডা. তানজির ইসলাম।

সমালোচনা

সম্পাদনা

হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম তার বড় ভাই,[] যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। শেখ মজিবুর রহমানসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকার তথা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে সাপ্তাহিক বিশেষ সম্পাদকীয় প্রকাশ করতেন। []

তাছাড়াও খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পঁচা গম কিনে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২২ 
  2. "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২ 
  3. "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৮-০৬)। "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬ 
  5. "হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলামের স্মরণসভা"সময়। সময় মিডিয়া লিমিটেড। ২৮ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২৩ 
  6. "হাকীম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত"ajkerdesh.com। জানুয়ারি ৩১, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২৩